গুরবাজ-রুশোর ঝড়ে খুলনার কাছে উড়ে গেল চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২০ ওভারে ১৪৪/৬
খুলনা টাইগার্স ১৩.৫ ওভারে ১৪৬/২
খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী
রহমনউল্লাহ গুরবাজের ১৯ বলে ৫০ ও রাইলি রুশোর ৩৮ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। এর আগে বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামকে ১৪৪ রানে আটকে দিয়েছিল খুলনা।
রানতাড়ায় চতুর্থ বলেই নাজমুল হোসেন শান্ত স্টাম্পড হয়ে ফিরেছিলেন নাসুম আহমেদের বলে। তবে এরপর থেকেই ঝড় শুরু করেছিলেন গুরবাজ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে গিয়ে মুক্তারকে তুলে মারতে গিয়ে যখন লং-অনে ক্যাচ দিলেন তিনি, ততক্ষণে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটি হয়ে গেছে তার, খুলনার রান হয়ে গেছে ৭৪!
এর মাঝে তৃতীয় থেকে ৬ষ্ঠ ওভারে তারা তুলেছে ৬৪ রান। ৫টি ছয় মেরেছেন গুরবাজ, মুক্তারকে চার-ছয়-চার-ছয় ক্রমের শটে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাত্র ১৮ বলে। বিপিএলে দ্রততম ফিফটির রেকর্ড আহমেদ শেহজাদের, ১৬ বলে, ২০১২ বিপিএলের প্রথম আসরে।
গুরবাজকে ফেরালেও রুশোকে আর আউট করতে পারেনি চট্টগ্রাম। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ৭২ রানের, রুশো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৬৪ রানে। আর মুশফিক করেছেন ২২ বলে ২৮ রান।
এর আগে চট্টগ্রাম ১৪৪ পর্যন্ত গিয়েছিল মুক্তার আলির শেষদিকে খেলা ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে।
শুরুতে সিমন্স ও ওয়ালটন শুরুটা ভালই করেছিলেন, একটু স্লথ হলেও পাওয়ারপ্লেতে দুজন তুলেছিলেন ৩৯ রান। সিমন্স শফিউলের বলে একটি ছয় মারলেন, কিন্তু ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে বল টেনে নিয়ে এলেন স্টাম্পে। ২৩ বলে ২৬ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেন সিমন্স, ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারাল চট্টগ্রাম।
ইমরুল আজ উঠে এসেছিলেন তিনে, আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়ের দুই নায়ক ওয়ালটন ও ইমরুল আবার ক্রিজে। কিন্তু আজ আজ ওয়ালটন কালকের মতো কিছু করতে পারলেন না, ১৮ বলে ১৮ রান করে শহীদুলের বল পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে এলেন রুশোকে। ইমরুলও কালকের মতো কিছু করতে পারলেন না, ১৪ বলে ১২ রান করে হয়ে গেলেন রান আউট। ৬৪ রানে ৩ উইকেট নেই চট্টগ্রামের।
নাসির আর সোহান অবশ্য রান রেট বাড়াতে পারেননি সেভাবে। দুজনের জুটিতে ৩৭ রান উঠে গিয়েছিল, এরপর অসম্ভব একটা দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে গেলেন সোহান। ১৭ বলে ১৯ রান করে ফিরলেন। নাসিরও এরপর টিকলেন না বেশিক্ষণ, বিপ্লবকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেলেন ২৭ বলে ২৪ রান করে।
মুক্তার আলী নেমেই একটি ছয় মেরেছেন বিপ্লবকে, পরের ওভারে ফ্রাইলিংককে মারলেন আরও একটি। শেষ ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে আছড়ে ফেললেন লং অফের ওপর দিয়ে। শেষ বলে মারলেন আরও একটি, ১৪ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করলেন। আর তাতেই ১৪৪ রান পর্যন্ত পৌঁছল চট্টগ্রাম। ছয়টি চার হলেও চট্টগ্রামের ইনিংসে ছয় হয়েছে দশটি।