• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    মুশফিকের ৯৬-এ ১৮৯ তাড়া করল খুলনা

    মুশফিকের ৯৬-এ ১৮৯ তাড়া করল খুলনা    

    রাজশাহী রয়্যালস ১৮৯/৪, ২০ ওভার 
    খুলনা টাইগার্স ১৯২/৫, ১৯.৪ ওভার 
    টাইগার্স ৫ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


     

    মুশফিকুর রহিমের ৫১ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে রাজশাহী রয়্যালসের দেওয়া ১৮৯ রান ২ বল বাকি রেখে তাড়া করে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। মুশফিকের ইনিংসের সঙ্গে রাইলি রুশোর ৩৫ বলে ৪২ এবং রুশো ও শামসুরের সঙ্গে মুশফিকের যথাক্রমে ৭২ ও ৬১ রানের জুটি ভূমিকা রেখেছে খুলনাকে দারুণ জয় এনে দিতে। আর তাতেই ম্লান হয়ে গেছে শোয়েব মালিকের ৫০ বলে ৮৯ ও রবি বোপারার অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসের সঙ্গে এ দুজনের ১০৬ রানের জুটি। 

    মিরপুরের উইকেটে রান ছিল, বিপিএলে সেটি ছিল অনিয়মিত ঘটনা। তবে চট্টগ্রামে বড় স্কোর নিয়মিতই- বিপিএলে সর্বোচ্চ ৮ দলীয় স্কোরের ৬টিই এখানে। বন্দর-নগরীতে বিপিএলের এবারের প্রথম ম্যাচেই হলো রান-উৎসব। উইকেটে বাউন্স একটু কম থাকলেও সময় নিলে ব্যাটে আসছিল বল, মালিক-মুশফিকের ইনিংস ছিল সেসবেরই সদ্ব্যবহার। 

    অবশ্য রানতাড়ায় শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলেছিল খুলনা, ২৫ রানের ভেতরই ফিরেছিলেন দুই ওপেনার। মুশফিক ও রুশো এরপর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন, প্রথম ১০ ওভারে ৯১ রান তুলে রানতাড়ায় দারুণ ভিতও এনে দিয়েছিল এ দুজনের জুটি। কামরুল ইসলাম রাব্বি রাজশাহীকে ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন, তার বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছিলেন রুশো। 

    তবে দমেননি মুশফিক। শামসুরের ২০ বলে ২৯ রানের ইনিংস তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছে, দিয়েছে নিজের ইনিংসের গতিপথ না বদলানোর স্বাধীনতাও। রাসেলের বলে শামসুর ২০ বলে ২৯ রান করে ফেরার পরও তাই অসুবিধা হয়নি খুব একটা খুলনার। বড় শট ও তিন অঙ্কের মাইলফলকের চেষ্টায় জয় থেকে ২ রান বাকি থাকতে মুশফিক ফিরলেও ফ্রাইলিঙ্কের আউটসাইড-এজে পাওয়া চারে নিশ্চিত হয়েছে খুলনার জয়। মুশফিক তার ইনিংসে ৪টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছেন ৯টি ছয়। 

    লিটন ও জাজাই ছাড়া রাজশাহীর হয়ে বোলিং করেছেন বাকি ৯ জনই, তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দুজনই ফিরেছিলেন  পাওয়ারপ্লের মাঝেই। এরপর ৬৬ রানে আফিফ হোসেনকেও হারিয়ে ফেলা রাজশাহীকে টেনেছিলেন মালিক-বোপারা। 

    ২য় ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে পুল করতে গিয়ে আন্ডার-এজড হয়েছিলেন জাজাই, এরপর জোরের ওপর খেলতে গিয়ে রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন লিটন দাসও। জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে শহিদুলের শিকার আফিফ। অন্যদিকে মালিক ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন, তবে আফিফ তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। 

    যে সঙ্গটা দিয়েছেন বোপারা। উইকেটের পেস বুঝে দুজন খেলেছেন দারুণভাবে, সঙ্গে মুশফিকের হাতে মালিকের জীবন পাওয়া করেছে বুস্ট-আপ। ১৫ ওভারের পর দুজন মিলে তুলেছেন ঝড়, ৭ ওভারের পর থেকেই ৭-এর ওপরে রান তোলা রাজশাহী শেষ ৫ ওভারে তুলেছে ১৩.৬ হারে। 

    মালিক সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন, আমিরের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮৭ রানের ইনিংসে ৮টি চার ও ৪টি ছয়, এর মাঝে ৩টি ছয়ই তিনি মেরেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের এক ওভারে। বোপারা ৪০ রানের ইনিংসে ২টি করে চার ও ছয় মেরেছেন, শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ৫ বলে ১২ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে খুলনাকে দারুণ এক চ্যালেঞ্জ দিয়েছে রাজশাহী। 

    মালিকের ইনিংসটি ছিল বিপিএলের এ আসরে তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ইনিংস, বোপারার সঙ্গে জুটি যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ। মালিককে পরে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক, টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর হারের স্বাদ পেল রাজশাহী।