• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    সিলেটকে জিততে দিলেন না সিমন্স-নুরুল

    সিলেটকে জিততে দিলেন না সিমন্স-নুরুল    

    সিলেট থান্ডার ১২৯/৮, ২০ ওভার 
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩০/৬, ১৮ ওভার 
    চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    ঘরের মাঠে সিলেট তাদের চেপে ধরেছিল, তবে লেন্ডল সিমন্সের ৩৭ বলে ৪৪ রানের পর নুরুল হাসান সোহানের ২৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ১২ বল বাকি থাকতেই ১২৯ রান তাড়া করে জিতে গেছে চট্টগ্রাম। ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত সিলেটকে হতাশ করেই ছেড়েছে তারা। 

    ১৩০ রানের লক্ষ্যে সিমন্স ছাড়া চট্টগ্রামের টপ ও মিডল অর্ডারে ছিল বিশাল শূন্যতা, দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি কেউ। নুরুলের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে সিমন্স ফিরেছিলেন জয় থেকে ৪৬ রান দূরে থাকতে, তবে এরপর সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নুরুল। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মোসাদ্দকের ‘আক্রমণাত্মক’ অধিনায়কত্ব। পঞ্চম বোলার নাঈম হাসানকে তিনি প্রথমবার এনেছিলেন ১৬তম ওভারে, ওপ্রান্ত থেকে এবাদতের বাকি ছিল শুধু ১ ওভার। ডেথ ওভারে শুধুই স্পিনারদের ওপর ভরসা করার তত্ত্বটা কাজে আসেনি তার। সঙ্গে মেজাজও হারিয়েছিলেন তিনি, বোলার এবাদত তেড়ে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসের দিকে, সঙ্গে ছিলেন তিনিও। নুরুলই শান্ত করেছিলেন তাদের। 

    নুরুল অবশ্য রানতাড়ার চাপ আলগা করেছিলেন পেসার দেলোয়ার হোসেনের করা ১৫তম ওভারেই টানা দুই ছয় মেরে। রান-বলের ব্যবধান কমে এসেছিল তাতেই, অন্যপ্রান্তে কেসরিক উইলিয়ামস নাঈমকে আরেকটি ছয়ের পর সিলেটকে আরেকদফা হতাশ করেছিলেন। এরপর এবাদতকে চার-ছয়ে কাজ সেরেছেন নুরুল, আনুষ্ঠানিকতা পরে সম্পন্ন করেছেন উইলিয়ামস।  

    এর আগে নাজমুলকে ছয় মেরে ইনিংস শুরু করেছিলেন সিমন্স, সিলেটকে আরেকটি একপেশে পরাজয় উপহার দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল যেন সেটি। তবে দারুণ এক ইনসুইংয়ে আভিশকা ফার্নান্ডোর স্টাম্প উপড়ে সিলেটের টোন সেট করেছিলেন সান্টোকি। পরে ইমরুল ও মুক্তারের উইকেট নিয়েছেন তিনি, মাঝে দারুণ এক ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেছিলেন এবাদত। আর চ্যাডউইক ওয়ালটনের উইকেট নিয়েছিলেন দেলোয়ার। 

    আগের ম্যাচে যেখানে রান-উৎসব হয়েছে, সেখানে এ ম্যাচটা হলো লো-স্কোরিং। শোয়েব মালিক মুশফিকুর রহিমরা যেটা করেছিলেন, সিলেট ব্যাটসম্যানরা ঠিক সেরকম কিছু করতে পারেননি। চট্টগ্রামের উইকেটের পেস বুঝতে হিমশিম খেলেন তারা, ধরা পড়লেন ওই টাইমিংয়ের গরমিলেই। মেহেদি হাসান রানার ৪ উইকেটের সঙ্গে রুবেল হোসেনের ২ ও মুক্তার আলি-কেসরিক উইলিয়ামসদের ১টি করে উইকেটে সিলেট গুটিয়ে গিয়েছিল ১২৯ রানেই। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে, আন্দ্রে ফ্লেচার বা পরে মোসাদ্দেক হোসেন শুরু করলেও মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। সিলেটের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে অথবা বলের পেস বুঝতে না পেরে। 

    শুরুটা করেছিলেন রনি তালুকদার, রানাকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বল ডেকে এনেছিলেন স্টাম্পে, নেমে একটা ছয় মেরে কট-বিহাইন্ডা শফিকউল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে ফ্লেচার ও মিঠুনের জুটিতে উঠেছিল ৩৯ রান, ফ্লেচারকে বোল্ড করে সে জুটি ভেঙেছেন মুক্তার আলি। 

    ১২তম ওভারে ডাবল-উইকেট মেডেন পেয়েছেন রানা, ৬৯ রানে ৫ম উইকেট হারানো সিলেট খাদের কিনারে চলে গেছে এরপর। শেষ ৮ ওভারে তারা তুলতে পেরেছে ৬০ রান, মোসাদ্দেকের ২২ বলে ৩০ ও দেলোয়ার-সান্টোকির ক্ষুদ্র দুই ক্যামিওতে। 

    শেষ ওভারে ১১ রান দিয়ে সান্টোকির ও ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটটি নিয়েছেন রানা, শেষ পর্যন্ত খরচ করেছেন ২৩ রান। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে ৩টি উইকেট ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই।