• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই মুগ্ধ করতে চান মুকিদুল

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই মুগ্ধ করতে চান মুকিদুল    

    দুই বছর আগে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের দলে থাকার ছিল তার। কিন্তু চোট শেষ মুহূর্তে ভেস্তে দিয়েছিল স্বপ্ন, বিশ্বকাপে আর কাউকে মুগ্ধ করা হয়নি মুকিদুল ইসলামের। তবে মুগ্ধ ডাকনামের ছেলেটা বিপিএল অভিষেকের প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন গতি দিয়ে। প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আরও বড় সাহসের কথা বললেন মুগ্ধ, খেলতে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

    তাসকিন আহমেদের জায়গায় রংপুর রেঞ্জার্সের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন আজ। প্রথম ওভারেই গতি দিয়ে ভড়কে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকারকে। পরের ওভারেও ভালো বল করেছিলেন। তবে উইকেট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তৃতীয় ওভার পর্যন্ত। সৌম্যকে ক্যাচ বানিয়েছেন নবীর, সেই ওভারেই অবশ্য একটি ছয় হয়েছে। চতুর্থ ওভারেও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে দারুণ বল করেছেন, ম্যাচ শেষে করেছেন ৪ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়ে। সেটা রংপুরকে জেতাতে না পারলেও মুকিদুলে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।

    ম্যাচ শেষে এই তরুণ পেসার বললেন, রংপুরের মেন্টর ও জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশারের জন্য আজ সুযোগটা পেয়েছেন, ‘সবকিছুই ভালো আর যেটা বললেন চান্স পাওয়ার কথা সেটা হল প্রথমে পাইনি পরে হাবিবুল বাশার স্যার সুযোগটা দিয়েছে। প্রথম ম্যাচ যেহেতু একটু নার্ভাস ছিলাম টিমমেটরা অনেক সাহায্য করছে। অভিজ্ঞতা বলতে ভালো কেননা প্রথমবার বিপিএলের মত বড় মঞ্চে আমার খেলা। আর ভালো করার জন্য সবাই হেল্প করছে।’

    গতিটা ১৩৫-১৪০ এর মধ্যেই ছিল মুগ্ধর, নিজে বললেন ১৪৩ কিলো পর্যন্ত তুলতে পেরেছিলেন। তবে নিজে গতির দিকে খুব একটা নজর দেননি, ‘সত্যি বলতে স্পিডের দিকে আজ খুব একটা নজর দেইনি, প্রথমবার বলে লাইন লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। গতি বলতে প্রথম ম্যাচ তাই ভয়ে ছিলাম বলে খুব বেশি দিতে পারিনি। পরেরবার হয়তো আরও বেশি দিতে পারি।’

    আগে একবার বলেছিলেন, শোয়েব আক্তারকে আইডল মানেন। আজ অবশ্য কারও কথা বললেন না, ‘ফলো বলতে নিজে ভালো করার চেষ্টা করতেছি। ফলো তেমন কাউকে করছিনা নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। টার্গেট হল, সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাই বিশ্বকাপেই নজর।’

    চোটের সঙ্গে সংগ্রাম চলছিল এর মধ্যেই। সেটি নিয়ে একটু যেন আক্ষেপ ঝরল মুগ্ধর কন্ঠে, ‘ আসলে ইনজুরিতে পড়লে একটা প্লেয়ার পিছিয়ে যায়।ইনজুরিতো কেউ ইচ্ছে করে হয়না। হয়তোবা কোন কারণে হতে পারে তবে সবাই চায় ইনজুরি মুক্ত থাকতে। সবাই জানে ইনজুরিতে পড়া মানে তার এক প্রকার পিছিয়ে যাওয়া। তো কামব্যাক করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। ইনজুরি থেকে মুক্ত হতে হলেও ফিটনেস, রিহ্যাব এসব নিয়ে কাজ করতে হয়। এখন ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি, রিহ্যাব এখন চলছে না।’

    আপাতত চোটের দুঃস্বপ্ন থেকে দূরে থাকাটাই বড় চাওয়া মুগ্ধর।