• লা লিগা
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ    

    ১৭ বছর পর এল ক্লাসিকোতে গোলের দেখা পেল না কোনো দলই। ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোতে কেমন খেলেছেন মেসি-সুয়ারেজ? ন্যু ক্যাম্পে কেমন ছিল বেল-বেনজমেয়ার পারফরম্যান্স? তরুণ ফেদেরিকো ভালভার্দে বা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং পাবেন কত?


    বার্সেলোনা

    মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান ৭/১০
    প্রথমার্ধে রিয়ালের সব আক্রমণই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্রসে কিছুটা দূর্বল মনে হয়েছে। পিকে গোললাইন থেকে কাসেমিরোর হেড না ফেরালে স্টেগানের ভুলেই পিছিয়ে পড়ত বার্সেলোনা।

    নেলসন সেমেদো ৬.৫/১০

    বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত রক্ষণে ভাল খেলেছেন। কিন্তু ফুলব্যাক হিসেবে আক্রমণে মেসি-সুয়ারেজদের তেমন সাহায্য করতে পারেননি। 

    জেরার্ড পিকে ৮/১০

    খুব সম্ভবত এই মৌসুমে তার সেরা পারফরম্যান্সটা লা লিগার শিরোপারেসে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন। ভুল করেননি একেবারেই, লম্বা পাসে আক্রমণেও সাহায্য করেছেন। প্রথমার্ধে গোললাইন ক্লিয়ারেন্সে দলকে রেখেছিলেন সমতায়।

    ক্লেমেন্ত লংলে ৭/১০

    ইস্কো-বেনজেমার ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বা চকিত মুভমেন্টের সামনে কিছুটা বিচলিত ছিলেন তিনি। তবে ম্যান মার্কিংয়ের কাজটা করেছেন দারুণভাবে।

    জর্দি আলবা ৮/১০

    আবারও প্রমাণ করলেন, কেন লেফটব্যাকদের মধ্যে অন্যতম সেরা তিনি। আক্রমণে ছিলেন দুর্দান্ত, গ্যারেথ বেলকেও দমিয়ে রেখেছিলেন বেশ। তবে প্রথমার্ধে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া না করলে হয়তো শেষ হাসি হাসতে পারতেন বার্সেলোনার হয়ে।

    সার্জি রবার্তো ৭.৫/১০

    সাম্প্রতিক এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার অন্যতম সেরা পারফরমার তিনি। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পে শুরুর দিকে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে ভিদাল নামার পর ফুলব্যাক পজিশনে দারুন খেলেছেন। 

    ইভান রাকিটিচ ৬.৫/১০

    ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সার্জিও বুস্কেটসকে বসিয়ে তাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন ভালভার্দে। বুস্কেটসের রোলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আক্রমণেও সাহায্য করতে পারেননি তেমন। নিজের পছন্দের পজিশনে খেলতে পারেননি, পারফরম্যান্সও ছিল হতাশার।

    ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ৮/১০

    এই মৌসুমে বার্সেলোনার সবচেয়ে ধারাবাহিক মিডফিল্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লাসিকোতে ছিলেন দুর্দান্ত। গত মৌসুমে আয়াক্সের হয়ে রিয়ালের মিডফিল্ডারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন, এবারও তাকে আটকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ক্রুস-কাসেমিরোদের। 

     

     

    লিওনেল মেসি ৭/১০

    প্রথমার্ধে আলবার জন্য দুর্দান্ত এক ডিফেন্সচেরা বল বানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কড়া মার্কিংয়ে ঠিক মেসিসুলভ খেলতে পারেননি তিনি। মেন্ডি, কাসেমিরো, বা ভালভার্দে- অন্তত দুজন সবসময়ই তাকে মার্কিংয়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেছেন।

    লুইস সুয়ারেজ ৬/১০

    প্রায় এক বছর আগে এই ফিক্সচারে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। এক মৌসুম পরে তাকে যেন চেনাই দায়। ভারান-রামোসরা রীতিমত পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন। মেসির সাথে বোঝাপড়া ছিল না তার।

    আঁতোয়া গ্রিযমান ৫.৫/১০

    মেসির জন্য বল বানিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু বাকিটা ম্যাচ কারভাহালের পকেটেই ছিলেন। আক্রমণে আবারও হতাশ করলেন তিনি। 

     

    বদলি

    আর্তুরো ভিদাল ৮/১০

    তার মাঠে নামার পরই আক্রমণাত্মক মানসিকতা ফিরে পায় বার্সা। মেসি, গ্রিযমানদের জন্য দারুণ দুটি বল বানিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কেউই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বার্সার অন্যতম সেরা পারফরমার। 

    আনসুমান ফাতি

    শেষদিকে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি, বনে গিয়েছেন এই শতাব্দীতে ক্লাসিকো খেলা কনিষ্ঠতম ফুটবলার।

     

    রিয়াল মাদ্রিদ

    থিবো কোর্তোয়া ৭/১০

    তেমন কিছুই করতে হয়নি পুরো ম্যাচে। কিন্তু প্রথমার্ধে তার ক্লিয়ারেন্স থেকে ডিবক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি, রামোসের জন্য শেষমেশ সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন। ক্রস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে ছিলেন দুর্দান্ত।

    দানি কারভাহাল ৫.৫/১০

    আক্রমণেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়। কিন্তু আলবার বিপক্ষে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ট্যাকেলগুলোও ঠিক কাজে দেয়নি। ম্যান মার্কিংয়ের কাজটা করতে পারেননি ঠিকভাবে।

    রাফায়েল ভারান ৮.৫/১০

    দুর্দান্ত। অন্য যেকোনো দিন হয়তো পেনাল্টিও আদায় করতে পারতেন। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজদের আটকে দিয়েছেন দারুণভাবে। ক্রস, বা ওয়ান টাচ পাসিং- ভারানকে ভেদ করে যেতে পারেনি কিছুই।

    সার্জিও রামোস ৮.৫/১০

    অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স। দারুণ ক্লিয়ারেন্সে দলকে সমতায় রেখেছিলেন। রক্ষণেও ভারানের সাথে ছিলেন দুর্দান্ত। সুয়ারেজকে পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন, শারীরিক শক্তিটাও ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে।

    ফার্লান্ড মেন্ডি ৬.৫/১০

    মার্সেলোর অনুপস্থিতিতে রক্ষণে ভাল করেছেন, মেসিকে আটকে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু আক্রমণে ছিলেন নিষ্প্রভ। ক্রসগুলো কাজে দেয়নি। বেলের বাতিল হওয়া গোলে অফসাইড ছিলেন।

     

     

    কাসেমিরো ৯/১০

    ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স। আবারও প্রমাণ করলেন, কেন অনেকেই এখন বুস্কেটসের বদলে তাকে বিশ্বসেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মানেন। হলুদ কার্ড পাওয়ার পরও ম্যাচের শেষদিকে যেভাবে পেছন থেকে ট্যাকেল করে বল কেড়ে নিয়েছিলেন, রীতিমত অবিশ্বাস্য। আরেকটু হলে গোলও পেতে পারতেন অন্তত একটি।

    টনি ক্রুস ৭/১০

    ঠিক ক্রুসসুলভ খেলতে পারেননি। আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সেটপিসগুলোও কাজে দেয়নি তেমন।

    ফেদেরিকো ভালভার্দে ৮.৫/১০

    এই মৌসুমে তার ধারাবাহিকতা এতদিন শুধু ভালভাবে জানতেন রিয়াল সমর্থকরাই। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পের পারফরম্যান্স দিয়ে ভালভার্দেকে দেখল পুরো বিশ্ব। আক্রমণ, রক্ষণ- দু’দিকেই ছিলেন সমান দক্ষ। স্টেগান না থাকলে হয়তো পেতে পারতেন গোলও।

    ইস্কো ৮/১০

    কীভাবে ভস্ম থেকে ফিনিক্স পাখি মাথা তুলে দাঁড়ায়- সেটাই যেন এই মৌসুমে প্রমাণ করছেন ইস্কো। ন্যু ক্যাম্পে রিয়ালের আক্রমণের নিউক্লিয়াস ছিলেন। দারুণ সব পাস, রক্ষণে সাহায্য করা, চমৎকার ফ্লিক- কী ছিল না তার খেলায়। আবারও জিদানের আস্থা ফিরে পেয়েছেন তিনি।

    গ্যারেথ বেল ৬.৫/১০

    খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। প্রতি-আক্রমণে ভালভার্দের পাস থেকে সুযোগটা কাজে লাগালে হয়তো রিয়ালের নায়ক হতেন তিনিই। জাল অবশ্য খুঁজে পেয়েছিলেন, কিন্তু মেন্ডি অফসাইডে থাকায় গোলবঞ্চিত হন। এই দুটি মুহূর্ত ছাড়া আক্রমণে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন।

    করিম বেনজেমা ৭/১০

    ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। সময় যত গড়িয়েছে, গোল করার চেয়ে গোল করানোর দিকেই যেন মনযোগ বেশি ছিল তার। কিছুটা হতাশই হয়তো হবেন জিদান তার পারফরম্যান্সে।

     

    বদলি

    লুকা মদ্রিচ

    ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি

    রদ্রিগো গোজ  

    ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি