• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    'টাইগার' এর থাবায় বিক্ষত 'রেঞ্জার্স'

    'টাইগার' এর থাবায় বিক্ষত 'রেঞ্জার্স'    

    সরাসরি স্কোর দেখুন


    রংপুর রেঞ্জার্স ১৩৭/৯, ২০ ওভার 
    খুলনা টাইগার্স ১৩৮/২, ১২.৩ ওভার 
    খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী 


    একটি জয়ের খোঁজে ছিল রংপুর, খুলনা তাদেরকে উপহার দিল বিশাল পরাজয়। শফিউল-আমিরদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রংপুরকে ১৩৭ রানে আটকে দেওয়ার পর রাইলি রুশোর সঙ্গে রহমনউল্লাহ গুরবাজের ঝড়ে ৪৫ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে খুলনা। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল তারা, আর ৪ ম্যাচ খেলেও জয়শূন্য থাকলো রংপুর।

    রানতাড়ায় প্রথম চার বল একটু চাপে ছিল যেন খুলনা, মোস্তাফিজের এলোমেলো লাইন-লেংথে সেট হয়ে গেল টোন। মুকিদুলকে এক ওভারে দুই ছয় মেরে শুরুটা করলেন গুরবাজ, শান্তর উইকেট হারালেও ৪.১ ওভারে ৫০ ছুঁয়ে ফেললো, পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে তুললো ৮৩ রান। এরপর বাকি ছিল যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। 

    ২২ বলে ৩৭ রান করে মুকিদুল ফিরলেও থামলেন না রুশো, আরাফাত সানিকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করলনে মাত্র ২৩ বলে। এরপর দারুণ এক উদযাপনে মাতালেন চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন গত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক, ৯ টি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনি দুটি ছয়। 

    এর আগে বোলিংয়েও দুর্দান্ত ছিল খুলনা টাইগার্স। এদিন তারা নেমেছিল বোলিংয়ে দারুণ সব পরিকল্পনা নিয়ে, সেসবের বাস্তবায়নও করলো তারা। পেসনির্ভর আক্রমণ রংপুরকে সুযোগই দিল না সেভাবে- কি পাওয়ারপ্লে, কি মাঝের ওভার বা ডেথ ওভারে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির পর লুইস গ্রেগরি চেষ্টা করলেন, তবে তারা যেতে পারলেন না ১৩৭ রানের বেশি।  

    টু-পেসড উইকেটে শর্ট অফ আ লেংথ থেকে শর্ট লেংথে হিট করেছেন খুলনা পেসাররা, প্রয়োজনে গেছেন ফুললেংথেও। ৪৭টি ডট বল করেছেন খুলনা বোলাররা, রবি ফ্রাইলিঙ্কসহ মুশফিক এনেছেন ৫ জন পেসারকে। ফ্রাইলিঙ্কের ১ ওভারে ৯ রান বাদ দিলে এক শহিদুল ইসলাম ছাড়া খুলনার সব বোলারই করেছেন ৭-এর নিচে ওভারপ্রতি রান দিয়ে বোলিং। যে শহিদুল ১০.৬৬ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন, তিনিও শেষ ওভারে গিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। 

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর শুরুটা ঝড়ো করেছিল, এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গেছে তারা। আমিরের শর্ট অফ আ লেংথ বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন শাহজাদ, শফিউলকে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। চারে নামা নাদিফ চৌধুরির সময়টা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো, ৯ বল খেলে ০ রানে ফিরেছেন তিনি শফিউলকে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে। 

    একপাশে টিকে থাকা নাঈম শেখের সঙ্গে ফজলে রাব্বির জুটি একটু আশা জোগাচ্ছিল রংপুরকে। সোজা ব্যাটে দারুণ টাইমিংয়ে ব্যাটিং করছিলেন নাঈম, ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩২ বলে ৪৯ রান করে তাকে হতে হয়েছে রান-আউট। মিড-অনে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন, যেখানে সেটি ছিল না। সে ওভারে ১৮ রান তুলেছিলেন তারা, এরপরও নাঈমের সেই ভুলের চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে রংপুরকে। 

    মোহাম্মদ নবিও কিছু করতে পারেননি, আমিরের শর্ট বলে ভড়কে গিয়ে তুলেছেন ক্যাচ। লুইস গ্রেগরি ও রাব্বি এরপর ৩৮ রান যোগ করেছেন, তবে শফিউলের বাইরের ফুললেংথের বলে ব্যাট চালিয়ে কট-বিহাইন্ড হয়ে রাব্বি ফিরলে আর উড়ান দেওয়া হয়নি রংপুরের। রাব্বি করেছেন ৩৩ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ৪২ রান, শেষ বলে গিয়ে আউট হওয়ার আগে গ্রেগরির রান ছিল ২০ বলে ২২।