• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    চট্টগ্রামের জয়রথ থামিয়ে তৃষিত জয় রংপুরের

    চট্টগ্রামের জয়রথ থামিয়ে তৃষিত জয় রংপুরের    

    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন 


    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৭, ২০ ওভার 
    রংপুর রেঞ্জার্স ১৬৭/৪, ১৮.৪ ওভার
    রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী 


    টানা চার ম্যাচ হারের পর দিনের প্রথম ম্যাচে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছিল সিলেট, পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা খুলনাকে হারিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামকে আটকে দিয়ে টানা চার ম্যাচ হারের পর নিজেদের প্রথম জয় পেল রংপুরও। এ ম্যাচে অধিনায়ক বদলে ফেলাসহ চার পরিবর্তন এনেছিল রংপুর, জয়ের জন্য তৃষিত দলটির শেষ পর্যন্ত কাজেই এসেছে সেসব। 

    আগের দুই ম্যাচে রান-উৎসবে মাতা চট্টগ্রাম এদিন তুলেছিল ১৬৩ রান, একসময় সেটিকে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট স্কোরের চেয়েও বেশি কিছু বানিয়ে ফেলেছিলেন রুবেল হোসেন-লিয়াম প্লাঙ্কেটরা। লুইস গ্রেগরির ৩৭ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের সঙ্গে ফজলে রাব্বির ২১ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেষ পর্যন্ত হেসেছে রংপুর। ১২তম ওভারে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাদমান ইসলাম আউট হওয়ার পর ৪৮ বলে ৮৬ রান প্রয়োজন ছিল রংপুরের। গ্রেগরি ও রাব্বির প্রতি-আক্রমণে সে বাধা পেরিয়ে গিয়েছিল তারা। 

    ১৬৪ রানতাড়ায় শুরুতে খেই হারিয়েছিল অবশ্য তারা, রুবেলকে চার মারার পর ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়েছিলেন নাঈম শেখ। এরপর প্লাঙ্কেটের ইয়র্কারে স্টাম্প হারিয়েছেন ক্যামেরন ডেলপোর্টও, ১৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পাওয়ারপ্লেতে রংপুর তুলতে পেরেছিল মাত্র ৩২ রান। গ্রেগরি নেমেই শট খেলা শুরু করেছিলেন, তবে একপাশে সাদমানের উইকেট চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল তার। রাব্বি নেমে সেটি আলগা করেছেন, দুজনের জুটি শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ছিল ৯১ রানে। গ্রেগরি তার ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়, রাব্বি মেরেছেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। 

    মেহেদি হাসান রানা ও নাসুম আহমেদ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন চট্টগ্রামের। প্রথমদিকে দারুণ বোলিং করতে থাকা রুবেল-প্লাঙ্কেটের সঙ্গে খেই হারিয়ে ফেলেছেন মুক্তার আলিও, এ তিনজনই দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৯-এর ওপর করে রান। এর আগে শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করেছিল রংপুরও। অবশ্য আভিশকা ফার্নান্ডো খেলেছিলেন ৪০ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস। 

    প্রথম ওভারে উইকেট-মেইডেন করে রংপুরের টোনটা সেট করেছিলেন মোস্তাফিজ, এদিন তিনি দেখিয়েছেন কিছু পুরোনো ঝলক। দারুণ সেট-আপে লেন্ডল সিমন্স প্রথমে হয়েছিলেন বোল্ড, ফুললেংথ থেকে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছিলেন তিনি। লুইস গ্রেগরির বলে আগেভাগে শট খেলে ক্যাচ তুলেছিলেন ইমরুল কায়েস, ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল চট্টগ্রাম। 

    তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করছিলেন যেন আভিশকা ফার্নান্ডো। তার টাইমিং ছিল দুর্দান্ত, ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছয়। সনজিত সাহাকে দুই ছয়ের পর আবার মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন, দলীয় ৯৫ রানের মাঝে ৭২ রানই ছিল তখন তার। 

    ফার্নান্ডোর আগেই নবিকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাসির হোসেন, ১৩ বলে ৯ রান করেছেন এদিন তিনি। বিপিএলে এখনও নিজেকে খুঁজে ফিরছেন এই অলরাউন্ডার। এরপর চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১৪ বলে ১৬, নুরুল হাসান সোহানের ১৮ বলে ২০, মুক্তার আলির ৯ বলে ১২ রানের পর লিয়াম প্লাঙ্কেটের ১২ বলে ১৭ রানের ছোট ছোট ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রান পর্যন্ত গেছে চট্টগ্রাম। 

    শেষ ওভারে ১৪ রান দেওয়ার পরও ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেছেন মোস্তাফিজ। ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন গ্রেগরি। ১টি করে নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবি ও সনজিত সাহা।