• লা লিগা
  • " />

     

    বিলবাওয়ের কাছে পয়েন্ট হারিয়ে বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ

    বিলবাওয়ের কাছে পয়েন্ট হারিয়ে বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ    

    ফুল-টাইম 

    রিয়াল মাদ্রিদ ০-০ অ্যাথলেটিক বিলবাও


    গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে কাতালানদের চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্স নিয়েই প্রশংসা হয়েছিল বেশি। গোল না পেলেও আক্রমণে উজ্জ্বল ছিল রিয়ালই। বার্সেলোনা, আলাভেসকে হারানোর পর অ্যাথলেটিক বিলবাওকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের হারানোর পক্ষেই বাজি ধরার লোকের সংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু লা লিগায় আবারও গোল করতে ব্যর্থ হল জিনেদিন জিদানের দল, পিছিয়ে পড়ল বার্সা থেকেও। বিলবাওয়ের সাথে বার্নাব্যুতে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল।

    বিলবাওয়ের কাছে পয়েন্ট হারানোতে হয়তো নিজেদের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভাগ্যের ওপরই হতাশ বেশি হবেন জিদান। টনি ক্রুস, নাচো ফার্নান্দেজ এবং লুকা ইয়োভিচরা বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে পরাস্ত করলেও প্রতিবারই ফিরেছেন খালি হাতে, বারপোস্ট বা ক্রসবারের কাছে হার মেনে। ক্লাসিকোতে দারুণ খেলা ইস্কোকে বসিয়ে আক্রমণে ভিনিসিয়াস জুনিয়রে আস্থা রেখেছিলেন জিদান। ইস্কোর মত বেঞ্চে ছিলেন গ্যারেথ বেলও, ডানপ্রান্তে নেমেছিলেন আরেক ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো গোজ। করিম বেনজেমার দুই পাশে দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিয়ে সাজানো আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই বিলবাওকে চেপে ধরে রিয়াল। গোলের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াসই, কিন্তু মার্টিনেজকে কাটিয়ে তার নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোন। প্রথমার্ধে আক্রমণের ধার ধরে রেখেছিল রিয়াল। ১৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় বাস্ক অঞ্চলের ক্লাবটির তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডিবক্সে ঢুকে পড়েন ক্রুস, কিন্তু তার শট সিমোনের গায়ে লেগে প্রতিহত হয় ক্রসবারে।

     

     

    কপালকে দুষতে পারেন বেনজেমাও। ৩৩ মিনিটে সিমোনকে কাটিয়ে ফাঁকা পোষ্টে তার শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মার্টিনেজ। বিলবাও-ও অবশ্য থেমে থাকেনি। কাসেমিরোর বহিষ্কারাদেশের কারণে তার জায়গায় খেলেছিলেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। কিন্তু ‘ডেস্ট্রয়ার’ রোলে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। তার ভুল পাসে লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ইনাকি উইলিয়ামস। কিন্তু তার শট দক্ষহাতে ফিরিয়ে দেন থিবো কর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষদিকে রিয়ালের জালে বল ঠিকই পাঠিয়েছিল ভেসগা, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও ক্রসবারের কারণে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে রিয়ালকে।

    ৫৮ মিনিটে ক্রুসের কর্নার থেকে বদলি ডিফেন্ডার নাচোর হেড সিমোনকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় ক্রসবারে। মিনিট দশেক পর আবারও গোলের সুযোগ পায় রিয়াল, কিন্তু আবারও বেনজেমাকে হতাশ করেন বিলবাও গোলরক্ষক। ভাগ্য সহায় না হওয়ার সাথে সিমোনের দক্ষতায়ও গোলটাই আর পাওয়া হয়নি রিয়ালের। ম্যাচের শেষদিকে গোলের আশায় ইয়োভিচ, বেলকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন জিদান। আরেকটু হলেই টোটকাটা কাজে দিত রিয়ালের। ৮৬ মিনিটে দানি কারভাহালের ক্রসে ইয়োভিচের দারুণ হেড বারপোস্টে প্রতিহত হলে ফিরতি বলও জালে পাঠাতে পারেননি রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস।

    শেষ পর্যন্ত টানা দুই গোলশূন্য ড্রয়ে বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্টে পিছিয়ে লা লিগার শীতকালীন বিরতিতে গেল রিয়াল। ১৮ ম্যাচে শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ৩৭। এককভাবে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সংগ্রহ ৩৯ পয়েন্ট। রিয়ালের হয়ে টানা দুই গোলশূন্য ড্রয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডেরও মালিক হয়েছেন জিদান। ২০০৬ সালের মার্চে শেষবার লা লিগায় টানা ২ ম্যাচে গোল পায়নি রিয়াল। সেবার 'লস ব্লাঙ্কোস’দের একাদশেই ছিলেন ‘জিজু’। এবারের টানা দুই গোলশূন্য ড্রয়ের সাক্ষী হলেন রিয়ালের ম্যানেজার হয়ে।