'রাজকীয়' রাজশাহী টপকে গেল খুলনাকে
খুলনা টাইগার্স ১৪৫/৯, ২০ ওভার
রাজশাহী রয়্যালস ১৪৯/৩, ১৮ ওভার
রয়্যালস ৭ উইকেটে জয়ী
আন্দ্রে রাসেলের বোলিং তোপের পর লিটন দাসের ফিফটিতে খুলনার ১৪৫ রান সহজে পেরিয়ে গিয়ে পয়েন্ট টেবিলেও তাদেরকে টপকে গেছে রাজশাহীয় রয়্যালস। চট্টগ্রামে ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকা খুলনাকে মোটামুটি একটা স্কোরে নিয়ে গিয়েছিলেন শামসুর রহমান, তবে সে স্কোর যথেষ্ট হয়নি তাদের। টানা ৩ ম্যাচ জয়ের পর টানা ২ ম্যাচ হারলো খুলনা, রাজশাহীকে দুই নম্বর জায়গা ছেড়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিনে নেমে যেতে হয়েছে তাদের।
স্বল্প সংগ্রহ নিয়ে খুলনার প্রয়োজন ছিল দ্রুত ব্রেকথ্রু, তবে লিটন ও আফিফ হোসেন সেটি হতে দেননি। উলটো ৮ ওভারে ৭০ রান তুলে দ্রুতই ম্যাচ শেষ করে দিতে ধরেছিলেন তারা, আফিফের রান-আউটে একটু ছন্দপতন হয়েছিল তাদের। ফিফটির পর ফিরেছেন লিটনও, শহিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৪ বলে করেছেন ৫৮ রান, ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়ে।
শেষ ৮ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ৫১ রান, শোয়েব মালিক ১৯ বলে ১৮ রান করে ফ্রাইলিঙ্কের বলে ক্যাচ দিলেও রাসেলের ১৯ বলে ২৮ রানের সঙ্গে রবি বোপারার ৮ বলে ১৩ রানে ২ ওভার বাকি রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে রাজশাহী। খুলনার কাছে প্রথম দফা হারের পর এবার প্রতিশোধও নিশ্চিত হলো তাদের।
এর আগে চট্টগ্রামের উইকেটে রাজশাহীর বিপক্ষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল খুলনা। প্রথম ওভারেই আন্দ্রে রাসেলের শর্ট বলের তোপে পড়েছেন খুলনার দুই ওপেনার। রহমনউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজকে পাঠিয়েছিল খুলনা, তবে দুজন রাসেলের শর্ট বলে বৃত্তের বাইরে দুই ফিল্ডারকে খুঁজে নিয়েছেন।
শুরুর উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার বদলে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বিপদ আরও বেড়েছে খুলনার, পরপর দুই বলে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন। শর্ট বলে অফস্টাম্পের বাইরে গিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে মুশফিক ধরা পড়েছেন উইকেটকিপারের হাতে, শান্ত ইনসুইং না বুঝে হয়েছেন এলবিডব্লিউ।
এর আগেই রুশো নেমে রাসেলের ওপর চড়াও হয়েছিলেন, টানা তিন চারের পর রাসেলের বাউন্সারে রুশোর ডাক করায় দ্বৈরথটা জমছিল। অবশ্য রাসেল পরের স্পেলে ফেরার আগেই ফিরে গেছেন রুশো, আফিফকে তুলে মারতে গিয়ে লাইনে ধরা পড়ে।
৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা খুলনাকে কাঁধে করে পার করার চেষ্টা করেছিলেন শামসুর, রাব্বির করা ১৭তম ওভারে ১৫ রান তুলে চেষ্টা করেছিলেন গিয়ার বদলেরও। সে ওভারেই চার মেরে ফিফটি হয়েছে শামসুরের, তবে ১৯তম ওভারে আফিফের চারবারের চেষ্টায় নেওয়া ক্যাচে ফিরতে হয়েছে তাকে। বোপারাকে তুলে মেরেছিলেন, ওয়াইড লং-অনে সীমানার এপার-ওপার করে ক্যাচ নিয়েছেন আফিফ। সে ওভারে শহিদুলও ক্যাচ দিয়েছেন রাসেলের বলে, রয়্যালস অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন ৪ উইকেট।
ফ্রাইলিঙ্ক শেষ চেষ্টা করেছিলেন, বোপারাকে ছয়ের পর অবশ্য ফিরতে হয়েছে তাকেও। প্রথম ইনিংসে এভাবেই খুলনার চেয়ে একধাপ করে এগিয়ে থেকেছে রাজশাহী। পরে সেটিরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসেও।