তামিম-মাহেদির ফিফটিতে সিলেটকে উড়িয়ে দিল ঢাকা
সিলেট থান্ডার ১৭৪/৪, ২০ ওভার
ঢাকা প্লাটুন ১৭৫/২, ১৮.৩ ওভার
ঢাকা ৮ উইকেটে জয়ী
তামিম ইকবালের ৪৯ বলে ৬০ রানের সঙ্গে মাহেদি হাসানের ঝড়ো ২৮ বলে ৫৬ রানে ভর করে সিলেট থান্ডারের ১৭৪ রান শেষ পর্যন্ত সহজেই পেরিয়ে গেছে ঢাকা প্লাটুন। চট্টগ্রামের এ উইকেটে সিলেটের ১৭৪ রান শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে পার-স্কোরের চেয়ে বেশ কিছু কম।
অথচ প্রথম ইনিংসের প্রথম অর্ধে ৯১ রান তুলে দারুণ পজিশনে থাকা সিলেট আরেকটি বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, জনসন চার্লসের ৪৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে। মূলত তার উইকেটেই মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলে সিলেট, যেটা পুরো ম্যাচেই আর সেভাবে খুঁজে পায়নি তারা।
রানতাড়ায় তামিম ও এনামুল হক বিজয় শুরুটা করেছেন স্কোর নাগালের মধ্যে আছে, সে স্টাইলে ব্যাটিং করেই। ৫৮ রানের ওপেনিং জুটির পর ২৩ বলে ৩২ রান করে ফিরেছিলেন এনামুল। তামিম খেলেছেন বেশ দেখেশুনে। সিলেটের প্রথম ১০ ওভারে যে ৯১ রান উঠেছিল, ঢাকার শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ঠিক সেটিই।
আগের ম্যাচের নায়ক মাহেদি এদিন বোলিংয়ে একটু খরুচে ছিলেন, ব্যাটিংয়ে সেটা পুষিয়ে দিলেন। সোহাগ গাজিকে চার-ছয়ে ঝড়টা শুরু করেছিলেন, রাদারফোর্ডকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাত্র ২৩ বলে। তামিম তার আগেই পৌঁছে গেছেন সে মাইলফলকে, তার লেগেছিল ৩৯ বল।
এবাদতকে স্কুপ করতে গিয়ে বল স্টাম্পে ঠেলে দিয়েছিলেন মাহেদি, তবে তামিম ছিলেন শেষ পর্যন্ত। জাকের আলির ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে ঢাকা লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ৯ বল বাকি থাকতেই। আর সিলেট পুড়েছে আর কয়েকটা রানের আক্ষেপে।
আগেরদিন ফ্লেচার-চার্লস মিলে সিলেটকে নিয়ে গিয়েছিলেন রানের পাহাড়ে। এদিন ফ্লেচার কিছুই করতে পারলেন না, চার্লস তুললেন ঝড়। শুরুতে অবশ্য সিলেটের অবস্থা ছিল টালমাটাল। ইনিংসের প্রথম বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার ফিরেছিলেন ঢাকার আগের ম্যাচের নায়ক মাহেদি হাসানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে। সিলেটের সে ক্ষত সারানোর প্রথম কাজটি চার্লস করেছিলেন আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে। অবশ্য ৭ম ওভারে শাহিদ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে আসার আগে রনি করেছিলেন ১০ বলে মাত্র ৮ রান, তবে চার্লসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫১ রানের।
চার্লস তার ঝড় থামাননি শীঘ্রই। স্লটে পেলেই টেনে মেরেছেন, ৮টি ছয়ের বেশিরভাগই মেরেছেন লং-অন থেকে মিডউইকেটের মাঝ দিয়ে। অপেক্ষায় থেকেছেন, সুযোগ পেলেই সদ্ব্যবহার করেছেন সেসবের। আগেরদিন ৯০ রানে ফিরেছিলেন, সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার এদিনও। শাদাব খানকে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন সীমানায়।
চার্লসের উইকেট একটু চাপে ফেলেছিল সিলেটকে, তবে তার আগেই ভিতটা পেয়েছিল তারা। চার্লসের পর মোসাদ্দেক হোসেনও দ্রুত ফিরলে খেই হারাতে বসেছিল তারা। মোহাম্মদ মিঠুন ও শারউইন রাদারফোর্ড ঠিক সেটি হতে দেননি। মিঠুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৪৯ রান করে, রাদারফোর্ড করেছেন ২৮ বলে ৩৮।
শেষ ৫ ওভারে ৪০ রান তুলতে পেরেছে সিলেট।.৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার আফ্রিদি, শাদাব ১ উইকেট নিয়েছেন ২৩ রানে। মাহেদি ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়েছেন, উইকেট ১টি।