• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    আফিফের ৭৬, বোপারার ৪০*-এ ম্লান মালানের সেঞ্চুরি

    আফিফের ৭৬, বোপারার ৪০*-এ ম্লান মালানের সেঞ্চুরি    

    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১৭০-৮, ২০ ওভার 
    রাজশাহী রয়্যালস ১৭১-৩, ১৭.৫ ওভার 
    রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী 


    আগেরদিন খুলনাকে টপকে গিয়েছিল রাজশাহী, এবার তারা কুমিল্লাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে টপকে গেল ঢাকাকে। আফিফ হোসেনের ৭৬, রবি বোপারার ২২ বলে ৪০* ও আন্দ্রে রাসেলের ৮ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে কুমিল্লার ১৭০ রান ১৩ বল ও ৭ উইকেট বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে রাজশাহী। আর তাতেই ম্লান হয়ে গেছে ডাভিড মালানের সেঞ্চুরি, অবশ্য মালানকে সেভাবে সমর্থন দিতে পারেননি কুমিল্লার কেউ, ম্যাচশেষের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে সেসবই। 

    লিটন দাস ও আফিফ হোসেন রানতাড়ায় শুরুটা করেছিলেন দাপুটে। পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রান তোলার পর ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৬০ রানে, মুজিব উর রহমানের নিচু হওয়া গুগলিতে ব্যাট নামিয়েও নাগাল না পেয়ে বোল্ড হয়েছেন লিটন দাস, ১৯ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ২৭ রান করে। আল-আমিনকে স্লাইস করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে শোয়েব মালিক ক্যাচ দিয়ে ফিরলে একটু উজ্জীবিত হয়েছিল কুমিল্লা, তবে বোপারা নেমে সে আশায় জল ঢেলেছেন তাদের। আর ওপাশে আফিফ তো ছিলেনই। 

    ১৬তম ওভারে গিয়ে আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন আফিফ, এর আগে খেলেছেন দারুণ সব শট। ৩৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ৭৬ রান করতে খেলেছেন ৫৩ বল, ৮ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। আফিফের উইকেটের পর ১৭ বলে ৩৯ রান তুলে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে রাজশাহী, ২১ রানের ক্যামিওতে রাসেল ৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। আর বোপারা ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। 

    শুরুতে ব্যাটিং করা কুমিল্লাও একসময় দারুণ পজিশনেই ছিল, তবে নিয়মিত উইকেট হারানো কাল হয়েছে তাদের। ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারি ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস করেছেন সেঞ্চুরি করা ডাভিড মালান, তবে তার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন সৌম্য, ২২ বলে। মালান ছাড়া বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলিয়ে করেছেন ৫৭ রান। 

    তৃতীয় ওভারে আফিফের সোজা হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন আগের ম্যাচে ৯৬* রান করা ভানুকা রাজাপাকসা। পাওয়ারপ্লেতে ৫৪ রান তুলেছিল কুমিল্লা, তবে হারিয়েছিল সাব্বির রহমানের উইকেটও, ৬ বলে ৫ রান করে রাসেলের বলে বোল্ড হয়েছিলেন তিনি। সৌম্যর সঙ্গে মালানের জুটি ছিল ৫০ রানের, বোপারার বলে সৌম্য ক্যাচ দেওয়াতে ভেঙেছে সে জুটি। 

    ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৩ রানের স্কোর নিয়ে ভাল ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে ছিল কুমিল্লা। তবে এরপর আর মালানকে কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। গুচ্ছাকারে উইকেট হারিয়েছে তারা- আবু জায়েদ রাহির এক ওভারে বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন দাসুন শনাকা ও ইয়াসির রাব্বি, এর মাঝে শনাকার লোপ্পা একটা ক্যাচ শুরুতে ফেলেছিলেন ফরহাদ রেজা, তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। 

    মালান এর মাঝে রাহিকে টানা দুই ছয়ে চেষ্টা করেছেন কুমিল্লাকে এগিয়ে নেওয়ার, তবে ওপাশে ১০ বলের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা। রাসেলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মোহাম্মদ ইরফানের পরপর দুই ফুললেংথের বলে বোল্ড ও এলবিডব্লিউ হয়েছেন রবিউল ইসলাম রবি ও সুমন খান। 

    রাসেলকে ছয় মেরে ৯৯ রানে যাওয়া মালান তিন অঙ্কে গেছেন শেষ ওভারের ৫ম বলে। ৫৪ বলে ঠিক ১০০ রানেই অপরাজিত ছিলেন তিনি, ৯টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়।