হেডের সেঞ্চুরির পর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার দিন
দ্বিতীয় দিন শেষে
অস্ট্রেলিয়া ৪৬৭
নিউজিল্যান্ড ১৮ ওভারে ৪৪/২
মেলবোর্নে আজ বক্সিং ডের মতো দর্শক হয়নি। তবে আজ যে ৫৯ হাজার দর্শক এসেছিলেন, তারা দিন শেষে খুশিমনেই বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। খুশি হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইনেরও। ৪৬৭ রান করার পর যে এর মধ্যেই কিউইদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যার মধ্যে একটি আবার অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
সকালের শুরুটা করেছিলে স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেড। স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে, পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাস কিন্তু আগের দিনের সঙ্গে ৮ রান যোগ করার পরেই আউট হয়ে যান। এবারও ওয়াগনারের শর্ট বলটা ডিফেন্ড করতে গিয়ে ঠিকমতো সামলাতে পারেননি, ক্যাচ উঠে গেছে গালিতে। ৮৫ রানে ফিরে গেছেন স্মিথ।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পালটা আক্রমণ শুরু করেছেন অধিনায়ক টিম পেইন। ৭২ বলেই পেয়ে গেছেন ফিফটি, অন্যদিকে হেড করেছেন ১১০ বলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল পেইনই হেডের আগে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে যেতে পারেন। দুজনের জুটিতে যখন ১৫০ রান উঠল, এর পরেই পেইন এলবিডব্লু হয়ে গেলেন ওয়াগনারের বলে। আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি, নিউজিল্যান্ড রিভিউ নেওয়ার পর ৭৯ রানে ফিরে যেতে হয়েছে পেইনকে। ৪৩৪ রানে তখন ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এরপ্র অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারিয়েছে দ্রুত। স্টার্ক এসেই মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন সাউদির বলে। হেড এর মধ্যেই পেয়ে গেছেন বহুল কাঙ্খিত সেঞ্চুরি। এই টেস্টের আগে তার অবস্থানটা একটু নড়বড়ে ছিল, এই ইনিংসের পর সবকিছুর উত্তর দিলেন ব্যাট হাতেই। সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী হতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেছেন। ওয়াগনারের লো ফুলটস মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন হেড, ফিরেছেন ১১৪ রানে। অন্য পাশ থেকে এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স ও লায়নকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়েছেন সাউদি। ৪৬৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট নিয়ে ওয়াগনার আরও একবার সফলতম বোলার, আর ৩ উইকেট নিয়েছেন সাউদি।
বল করতে এসে প্রথম বলটাই স্টার্ক নো বল করেছিলেন। কামিন্স অন্য পাশ থেকে নতুন বল পেয়ে শুরু থেকেই আগুন ঝরাচ্ছিলেন। টম ব্লান্ডেল শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বলেই আলগা এক শট খেলে আউট হয়ে গেছেন ১৫ রানে। উইলিয়ামসন এসেছেন, প্যাটিনসনের শর্ট বলটা পুল করতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেছেন। দৌড়ে গিয়ে ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছেন পেইন, কিউই অধিনায়ক ১২ রানে। রস টেলরও ১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন প্যাটিনসনের আবেদনে। পরে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তটা নিজের পক্ষে আনতে পেরেছেন। তবে ৪৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঠিক স্বস্তিতে নেই নিউজিল্যান্ড।