• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    ওপেনার মিরাজে উড়ে গেল সিলেট

    ওপেনার মিরাজে উড়ে গেল সিলেট    

    সিলেট থান্ডার ১৫৭/৪ (রুবেল মিয়া ৩৯, ফ্লেচার ৩৪; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহীদুল ইসলাম ২/২৬)  
    খুলনা টাইগার্স ১৫৮/২ (মেহেদি মিরাজ ৮৭*, নাজমুল হোসেন ৪১)  
    ফল : খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী 


    সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের টার্গেটটা শেষ পর্যন্ত মামুলি বানিয়ে জিতল খুলনা টাইগার্স। তাতে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদি হাসান মিরাজের। এবারের বিপিএলে ওপেনার হিসেবেই খেলছিলেন, কিন্তু সেভাবে সফল হতে পারছিলেন না। যেদিন সাফল্য ধরা দিল সেদিন নিজের অতীত রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেলেন মিরাজ। ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ৮৭ রান করে সিলেটকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন তিনিই।

    খুলনা ম্যাচ জিতেছে ১৩ বল হাতে রেখে। অবশ্য শুরুতে আরও গতিতে ছুটছিল খুলনা। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ১১৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন মিরাজ। ১৩ তম ওভারে এবাদত হোসেনের বলে ৪৩ রানে শান্ত ফিরলেও মিরাজকে আর থামাতে পারেনি সিলেট।

    ৯ চার আর ৩ ছয়ে ৬২ বলে ৮৭ রান করেন মিরাজ। এর ভেতর অবশ্য ৭৬ রানে একবার নাইম হাসানের বলে আউট হয়ে ফিরতে পারতেন। তবে সান্টোকি সহজ ক্যাচ ছাড়ায় আর হারের ব্যবধানও কমেনি সিলেটের। রাইলি রুশো ১৫ রান করে রাদারফোর্ডের বলে ফেরার পর মুশফিককে নিয়ে বাকি কাজ সেরেছেন মিরাজ।

    এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুশফিক। তবে আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো শুরুতে সিলেটও আশা দেখেছিল। ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় ওভার থেকেই এসেছিল ২১ রান। ফ্লেচার ৩৪ রানে থামলে ৬২ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ফ্লেচারকে ফেরান সেই ফ্রাইলিঙ্কই। এর পর আর ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সিলেট।

    রুবেল মিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ রান তুলে ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় শিকার হয়ে নাজমুল হোসেনকে ক্যাচ দেন জনসন চার্লস। রুবেল শুরুটা ধীরগতিতে করলেও শেষে ৪৪ বলে ৩৯ রান করে থামেন শহীদুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। দুই বল পরই শহীদুল আবার চাপে ফেলেন দেন সিলেটকে। মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানেই ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন। এরপর রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে ইনিংস শেষ করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৮ বলে  ২৩ রান করেছিলেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক আর রাদারফোর্ড থেমেছেন ২৬ এ।  

    ফ্রাইলিঙ্ক আর শহীদুল মিলে দুইটি করে উইকেট নিলেও সিলেটকে আটকে রেখেছিলেন আসলে মোহাম্মদ আমির। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। বোলিংয়ে অবশ্য এদিন মিরাজকে আর ব্যবহার করেননি মুশফিক। এভাবে ব্যাট করতে পারলে সামনেও হয়ত ইনিংসের এক অংশের জন্যই মিরাজকে তুলে রাখবেন তিনি।