• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য আক্ষেপ সিলেট কোচ গিবসের

    বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য আক্ষেপ সিলেট কোচ গিবসের    

    আট ম্যাচের মধ্যে একটি জয়, গাণিতকভাবে না হলেও বাস্তবতায় এর মধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে সিলেট থান্ডার। কোচ হার্শেল গিবসের কাছে আজ সিলেট পর্বের অনুশীলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল অলরাউন্ডারের অভাবে দলের এই অবস্থা কি না। কোচ বললেন, ড্রাফট থেকে থাকলে দলে আরও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও বাঁহাতি পেসার অবশ্যই নিতেন।

    সিলেট থান্ডারের ড্রাফটের সময় গিবস ছিলেন না। দলে এসেছেন এর পরেই। সেটা বনিয়ে হতাশাও আছে তার,  ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ড্রাফটের সময় আমি ছিলাম না। আমাকে একটি স্কোয়াড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি যদি ড্রাফটের সময় থাকতাম, অবশ্যই ভালো দুয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলে নিলাম। বাঁহাতি পেসার নিতাম। বৈচিত্র থাকত। কিন্তু আমাকে এই স্কোয়াডই দেওয়া হয়েছে।’

    এর পরেই আক্ষেপ করলেন একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিয়ে, ‘কোচ হিসেবে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি, সেটা আমাকে দেখতে হবে। আমরা যখন মাঠে নেমেছি, প্রতিপক্ষ দেখেছে যে আমাদের কেবল একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য তাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা সহজ হয়েছে, কারণ আমাদের সবই প্রায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান। স্কোয়াডে কেবল একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এমন স্কোয়াড আর কোথাও সম্ভবত দেখতে পাবেন না। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে অন্তত দুজন বাঁহাতি থাকবে, এটিই ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড হওয়া উচিত। যাতে প্রতিপক্ষের বোলাদের চাপে রাখা যায়। আমার সেই সুযোগ ছিল না। কাজটি তাই কঠিন ছিল।’

    সিলেট দলে ড্রাফটের সময় শুধু শেরফান রাদারফোর্ডই পুরো স্কোয়াডে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। তাকেও শুরু থেকে পায়নি সিলেট, চট্টগ্রাম পর্ব থেকে যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে।

    সিলেটে একাধিক ডান হাতি বাঁহাতি স্পিনার থাকার পরও না পারার কারণ হিসেবে স্কিলের কথা বললেন গিবস, ‘আরেকটা দিকের কথাও বলি। আমাদের দলে ডানহাতি স্পিনার আছে, বাঁহাতি স্পিনার আছে। কিন্তু বল টার্ন করেনি, এবার উইকেট দারুণ (ব্যাটিংয়ের জন্য)। ডানহাতি বা বাঁহাতি, দুই ধরণের স্পিনারদের জন্যই কাজটি হয়ে উঠেছে কঠিন। গতির বৈচিত্র ও লাইন-লেংথ এথানে গুরুত্বপূর্ণ স্পিনারদের জন্য।

     

    বল যখন টার্ন করে না, তখনই কিন্তু একজন স্পিনারের সত্যিকার মান বোঝা যায়। তখনই বোঝা যায় কার স্কিল কেমন, কোথায় উন্নতি করতে হবে। এজন্যই রশিদ খানের মতো স্পিনার বেশি ভালো করে সেই উইকেটে, যেখানে টার্ন করে না। এবার অনেক স্পিনারই প্রচুর রান দিয়েছে, কারণ উইকেট ছিল খুব ভালো (ব্যাটিংয়ের জন্য)।’

    এত কিছুর পরও অবশ্য আশা হারাচ্ছেন না গিবস, ‘আমি বলব না কাজটা কঠিন। কঠিন হোক বা না হোক, এই পরিস্থিতিতে থাকাটা আসলে খুব ভালো কিছু নয়। আমরা সবাই এই অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছি আগেও। দিনশেষে সবাইকে গভীরভাবে ভাবতে হবে যে আমরা একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে, একটি ব্র্যান্ডকে এই লিগে প্রতিনিধিত্ব করছি। পারফরম্যান্সে তাই গর্ব খুঁজে নিতে হবে। সেই সুযোগ মিলিয়ে যাচ্ছে না। পরের চার ম্যাচে সবার সামনেই সুযোগ থাকছে নায়ক হওয়ার। ঘুরে দাঁড়ানোর।

    অবশ্যই আমরা এখন আর প্লে অফে খেলতে পারব না। কিন্ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ঠিকই আছে। আমি গতকাল রাতে ওদেরকে বলেছি, নতুন বছর এসেছে। শারীরিক, মানসিক ও টেকনিক্যাল, খেলার সব দিকে উন্নতি করতে হবে একজন ক্রিকেটার হিসেবে। সামনে তাকিয়ে এটিই দলের কাছে আমার প্রথম চাওয়া।