• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    রংপুরকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়ে শীর্ষে রাজশাহী

    রংপুরকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়ে শীর্ষে রাজশাহী    

    রাজশাহী রয়্যালস ১৭৯/৪, ২০ ওভার 
    রংপুর রেঞ্জার্স ১৪৯/৭, ২০ ওভার 
    রাজশাহী ৩০ রানে জয়ী 


    টানা দুই ম্যাচ জিতে আশা জুগিয়েছিল রংপুর, আর টানা দুই ম্যাচ হেরে ছন্দপতন হয়েছিল রাজশাহীর। তবে সিলেটে আবারও দুই দলের লড়াইয়ে রংপুর রেঞ্জার্সকে প্রায় খাদের কিনারে ঠেলে দিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে রাজশাহী রয়্যালস।

    রবি বোপারার ২৯ বলে ফিফটিতে ১৭৯ রান পর্যন্ত যাওয়া রাজশাহী রংপুরকে আটকে দিয়েছে ১৪৯ রানেই, মোহাম্মদ নওয়াজ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গে কামরুল ইসলাম রাব্বির দারুণ বোলিংয়ে। এ জয় দিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে রাজশাহী। ৯ ম্যাচে চট্টগ্রামের সমান ১২ পয়েন্ট তাদের, তবে রানরেটে এগিয়ে তারা। 

    ১৮০ রানের লক্ষ্যে রংপুরের প্রয়োজন ছিল কোনও বড় ইনিংস বা জুটি। টম অ্যাবেল ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি মাঝে চেষ্টা করেছিলেন সেটি, তবে তাদের ৬৪ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত পার করাতে পারেনি রংপুরকে। ৩ বলের ব্যবধানে ফিরেছেন দুজন, রংপুরের আশাও মোটামুটি শেষ হয়ে গেছে ওই ৩ বলেই। 

    শুরুতে শেন ওয়াটসন ব্যর্থ হয়েছেন আরেকবার, মোহাম্মদ নওয়াজের লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে করতে পেরেছেন ৯ বলে ২ রান। ৫, ১, ৭, ২- রংপুরের নতুন অধিনায়কের বিপিএলটা ব্যাটিংয়ে এখন পর্যন্ত হয়ে আছে দুঃস্বপ্নই। 

    ৭ বলে ১৪ রানের ইনিংসটা হয়তো আরেকটু বড় করতে চাইতেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট, মালিক সেটি হতে দেননি। ১৮ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ২৭ রান করে মালিকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন নাঈম শেখ। ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া রংপুরকে উদ্ধার করেছিল ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও টম অ্যাবেলের ৬৪ রানের জুটি। 

    তবে বাড়ছিল রান-বলের ব্যবধান। সে চাপেই কিনা ৩ বলের ব্যবধানে ফিরলেন রাব্বি, অ্যাবেল দুজনই। প্রথমে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ক্যাচ দিলেন টম অ্যাবেল, নওয়াজের বলে দিলেন রাব্বি। এরপর মোহাম্মদ নবিও ফিরেছেন রাব্বির বলে, আর ১৭ বলে ১৮ রান করা আল-আমিনকে বোল্ড করে শেষে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন ইরফান। 

    এর আগে শুরু আর শেষের ঝড়ে ১৭৯ পর্যন্ত গিয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস, নিয়মিত অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলের পরিবর্তে এদিন তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন শোয়েব মালিক। 

    শুরু থেকেই আফিফ হোসেন আর লিটন দাস হাত খুলে খেলছিলেন। সিলেটের উইকেটে বল গ্রিপ করলেও আফিফ-লিটন সুবিধা করে নিচ্ছিলেন। প্রথম ওভারেই ছয় মেরে শুরু করেছিলেন আফিফ। মোস্তাফিজের পরের ওভারে এলো দুই চার। তবে ঝড় গেল আরাফাত সানির ওভারে, পর পর দুই ছয়ের পর একটি চারও মারলেন আফিফ। চার ওভার শেষে রান হলো ৪৮।

    এরপরেই ছন্দপতন। পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন লিটন, আউট হলেন ১৯ রানে। আফিফ নবির বলটা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড। ১৭ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন। এরপর রাজশাহীর রানের চাকা একটু স্লথ হয়ে এসেছে। শোয়েব মালিক ও ইরফান শুক্কুর দেখেশুনেই খেলছিলেন। ১০ ওভার শেষে রান উঠল ৭৬।

    এরপর মালিক একটু গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন, শুক্কুরও সানির বলে একটি ছয় মারলেন। শেষ পর্যন্ত সানির বলেই আউট হলেন ২০ রান করে। মালিক যখন হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন, মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিলেন নবীকে। আউট হলেন ৩১ বলে ৩৭ রান করে। 

    তবে বোপারা এসে রাজশাহীকে নিয়ে দিয়েন উড়ান। নবীর পর পর দুই ওভারে দুই ছয় মেরেছেন, আর শেষ ওভারে মোস্তাফিজের শেষ তিন বলে একাই নিয়েছেন তিন চারে ১২ রান। ২৯ বলে ফিফটি করেছেন, শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ১০৩ রান করেছে রাজশাহী।