• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    লাবুশেইনের ডাবলের দিন ঘুরে দাঁড়াল নিউজিল্যান্ড

    লাবুশেইনের ডাবলের দিন ঘুরে দাঁড়াল নিউজিল্যান্ড    

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৪৫৪ অলআউট

    নিউজিল্যান্ড ৬৩/০


    তীব্র দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে অনেক জায়গায়। সেই আগুনের হলকা এসে লাগল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে মারনাস লাবুশেইনের ব্যাটে। কালই জ্বলে উঠেছিল তার ব্যাট, আজ আরও গনগনে হয়ে উঠে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। তবে দিনটা শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে। অস্ট্রেলিয়াকে ৪৫৩ রানে আটকে দেওয়ার পর যে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তুলে ফেলেছে কিউইরা।

    ৩ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু ওয়েড আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই আউট হয়ে গেছেন সকালে। সমারভিলের বলটা সুইপ করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু লাইন মিস করে হয়ে গেলেন বোল্ড। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড আজ শুরুটা করেছিলেন সতর্ক। ওদিকে ম্যাট হেনরি বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েই বল করছিলেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করার জন্য যথেষ্ট দূরে ছিল না, কিন্তু সেটা করতে গিয়েই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলেন হেড। ফিরলেন ১০ রান করেই। পেইন আর লাবুশেইন লাঞ্চের আগে এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি।

    লাবুশেইন ১৫০ করে ফেলেছিলেন অনেক আগেই, এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। পেইনের সঙ্গে জুটিতে ৫০ রান উঠে গিয়েছিল, ৪০০র দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেইন এরপর পেয়ে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরি। ৩৪৬ বলে পৌঁছে গেলেন সেই মাইলফলকে, স্বপ্নের অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে আরও একটি পালক যোগ হলো তার মুকুটে। এখন পর্যন্ত গড়ে ছাড়িয়ে গেলেন স্টিভ স্মিথকেও। তবে এর পরেই ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে।

    তবে এরপরেই ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। ডি গ্র্যান্ডোমের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে গেছেন টিম পেইন। ৯২ বলে ৩৫ রান করে ফিরলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এরপরেই সবচেয়ে বর উইকেট পেয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টলের বলটা লেগ সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন লাবুশেইন, কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। ফিরতি ক্যাচ চলে যায় অ্যাস্টলের কাছে, সুযোগটা ফেলে দেননি। ২১৫ রান করে ফিরলেন লাবুশেইন, সিডনির দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন তাঁকে। এরপর বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। দুই অংক ছোঁয়ার আগেই প্যাটিনসন বোল্ড হয়ে গেছেন ওয়াগনারের বলে, কামিন্স অ্যাস্টলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট লেগে। মিচেল স্টার্ক চার-ছয় মেরে একটু বিনোদন দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওয়াগনারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে বোল্ড হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৪৫৪ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, শেষ ৪৪ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট।

    দুই কিউই ওপেনার টম ল্যাথাম ও টম ব্লান্ডেল পণ করে রেখেছিলেন, উইকেট দেবেন  না। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিয়েছে, টানা চাপ দিয়ে গেছে- কিন্তু দুজনকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। ২৯ ওভার ৬৩ রান তুলে শেষ সেশনটা পার করে দিয়েছেন দুজন।