• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    সিলেটকে পাত্তা না দিয়ে চট্টগ্রামের পর শেষ চারে রাজশাহীও

    সিলেটকে পাত্তা না দিয়ে চট্টগ্রামের পর শেষ চারে রাজশাহীও    

    সিলেট থান্ডার ১৪৩/৬, ২০ ওভার 
    রাজশাহী রয়্যালস ১৪৫/৪, ১৫.১ ওভার
    রয়্যালস ৬ উইকেটে জয়ী 


    আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম, পরের ম্যাচে রাজশাহী- শেষ চার নিশ্চিত হলো দুই দলেরই। সিলেট থান্ডার নিজেদের মাঠেও থাকলো জয়শূন্যই। বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে সিলেটকে ১৪৩ রানে আটকে দেওয়ার পর লিটন দাস-আফিফ হোসেনের ঝড়ো ইনিংসে ২৯ বল ও ৬ উইকেট বাকি রেখেই দাপুটে জয় নিশ্চিত হয়েছে রয়্যালসের। রান-রেটের ব্যবধানে চট্টগ্রামকে টপকে টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে তারা। 

    সিলেটের এ উইকেটের বাউন্সের বৈচিত্র এদিন ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছে, তবে লিটন-আফিফ রানতাড়ায় আউট হওয়ার আগে তেমন ঝামেলায় পড়েননি। দুজনই খেলেছেন দারুণ সব শট, পাওয়ারপ্লেতে ৫৯ রান তুলে সিলেটকে ছিটকে দেওয়ার কাজটা এগিয়ে নিয়েছেন দুজন। তবে ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও পাননি কেউ। রাদারফোর্ডকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে লিটন করেছেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৬, রান-আউট হওয়ার আগে আফিফ করেছেন ৮ চারে ৩০ বলে ৪৬ রান। 

    তাদের উইকেটে অবশ্য রাজশাহীর কিছু হয়নি শেষ পর্যন্ত। শোয়েব মালিক ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি, ২২ বলে ২৭ রান করে দেলোয়ারের বলে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। সে ওভারেই মালিকের আগে দেলোয়ারের প্রথম শিকার ছিলেন ইরফান শুক্কুর। অবশ্য মোহাম্মদ নওয়াজের ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে তাড়াতাড়িই জয়  নিশ্চিত হয়েছে রাজশাহীর, যারা বোলিংয়েই এগিয়ে রেখেছিল বেশ খানিকটা কাজ। 

    মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৮ বলে ৪৭, শেফর‍্যান রাদারফোর্ডের ১১ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে সিলেট ইনিংসের তৃতীয়ভাগে একটা ঝড় তুললেও এর আগে পরে ঠিক সুবিধা করতে পারেনি খুব একটা। তাদের যাওয়া-আসা শুরু হয়েছিল আব্দুল মজিদকে দিয়ে, ২ ছয়ে ১৬ রান করার পর আবু জায়েদ রাহিকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে নীচু হওয়া বল মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি, রাজশাহীর প্রথম ব্রেকথ্রু সেটিই। অধিনায়ক ফ্লেচারের ব্যাটিংয়ে সময়টা সুবিধার যায়নি মোটেও, ৩৩ বলে ২৫ রান করেছেন, হয়েছেন রান-আউট, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে লিটন দাসের সরাসরি থ্রোয়ে। এর আগেই ফিরেছেন জনসন চার্লস, মোহাম্মদ ইরফানের বাড়তি বাউন্সকে ঠেলতে গিয়ে এজড হয়ে। 

    ৯.২ ওভারে ৫০ ছোঁয়া সিলেট পরের ৫০ করতে খেলেছে মাত্র ৩০ বল। এ সময়ে ফ্লেচারের উইকেটের পরও রাদারফোর্ড ও মিঠুন গিয়ার বদলাচ্ছিলেন। দুজনের ভুল বুঝাবুঝির বলি হয়ে মিঠুন ফিরেছেন, এর আগে মেরেছেন ৩ চার ও ২ ছয়। মিঠুনের পরও রাদারফোর্ড একটু ঝড় তুলেছিলেন, কাপালির ঘটনাবহুল ওভারেই অবশ্য ফিরতে হয়েছে তাকে। 

    সে ওভারে প্রথমে সোহাগ গাজি ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মিস করে স্টাম্পড হয়েছেন, এরপর রাদারফোর্ড কাপালিকে মেরেছিলেন ২টি ছয়, যার মধ্যে পরেরটি লং-অফে ক্যাচ মিস করে ছয় করে দিয়েছিলেন ফরহাদ রেজা। পরের বলেও প্রায় একই রকম শট খেলতে গিয়ে একই জায়গায় ধরা পড়েছেন তিনি, এবার রেজাকে সরিয়ে সেখানে এসেছিলেন শোয়েব মালিক। 

    সে ওভারের পর শেষ ১৮ বলে মাত্র ১৪ রান তুলতে পেরেছে সিলেট, কামরুল রাব্বিকে নাজমুল মিলনের মারা ছয়ই হয়ে আছে একটি বাউন্ডারি। রাজশাহীর প্রথম চার বোলারের ইকোনমি ছিল বেশ ভাল, ৭.২৫ এর ওপরে ওভারপ্রতি রান দেননি কেউ। তবে ৫ম বোলার হিসেবে ব্যবহার করা ৪ জন তাদের ৪ ওভারে দিয়েছেন মোট ৪৭ রান। 
    তবে দিনশেষে রাজশাহীর বাধা হতে পারেনি সেটিও।