আমলা যে ব্যাটিংয়ে, সেটা মাথায় রাখেননি রানা
বিপিএলে যতটা ভালো করছেন, সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ততটাই কম। মেহেদী হাসান রানা শনিবার পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, খুলনা টাইগারসের বিপক্ষেও দুর্দান্ত বল করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে নিজের প্রাপ্তি নিয়ে তেমন কিছুই বললেন না। এর মধ্যেই হাশিম আমলার উইকেট নিয়ে বললেন, আমলা ব্যাট করছেন নাকি অন্য কেউ সেটা তার মাথায় ছিল না।
রানার আজকের প্রথম উইকেট ছিল সম্ভবত তার সেরা ডেলিভারি। মেহেদী হাসান মিরাজকে করা ইনসুইঙ্গারটা পিচ করে ঢুকেছিল বেশ ভেতরে, এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। এক বল পর আমলা একটি চার মারলেন তাকে, পরের বলেই রানার হাসি। এবারের বলটা সামান্য ভেতরে ঢুকেছিল শেষ মুহূর্তে, লাইন মিস করে বোল্ড আমলা। পরে ফ্রাইলিংকের উইকেটও নিয়েছেন রানা, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটও তার।
রানা অবশ্য বললেন, আমলার বিপক্ষে করছেন না অন্য কাউকে বল করছেন সেটা তার মাথায় ছিল না, ‘ব্যাটসম্যান যখন নামে,,,তখন চিন্তা করি না যে কে আমলা কে ওটা। আমি এসব চিন্তা করি না। আমি শুধু চিন্তা করি আমার যে স্ট্যান্ডার্ড আছে ওই অনুযায়ী বোলিং করার। ওই বোলিংটা করেই আমি সাকসেসফুল।’
আজ অবশ্য শুধু রানা নন, পুরো চট্টগ্রামের বোলিং-ই ছিল দারুণ। রানা তাই সতীর্থদের কথাও বললেন, ‘ম্যাচ জেতানো ম্যাচ বের করা সেটা শুদু আমার একার কাজ না। টিম ওয়াইজ সবার সাহায্য লাগে। আমার জুটি রুবেল ভাই আজ ভালো বোলিং করছে। নাসুম ভালো করছে। আমার জন্য জিনিসটা সহজ হয়ে গিয়েছে।’
মোস্তাফিজ শুধু তার সমসাময়িক নন, বন্ধুও বটে। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা লড়াইও চলছে। সেটা উপভোগ করছেন রানা। তবে নিজের উইকেটসংখ্যা নিয়ে আলাদা কোনো চিন্তা নেই, ‘উইকেট আমি গুনছি না। একেকটা ম্যাচ আমি চিন্তা করছি। একটা ম্যাচ কিভাবে ভালো করবো সেটা চিন্তা করছি। ওভাবেই ভাবছি।’
এই সিলেটেই গত আসরে স্বাগতিক দলে সিলেট সিক্সারসের হয়ে দুঃস্বপ্নের একটা স্মৃতি ছিল রানার, ৫৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশুন্য। সেই স্মৃতি অবশ্য মনে রাখতে চাননি এবার, ‘না এগুলো….পেছনে কি হয়েছে সেটা নিয়ে আমি ভাবিনা। আমি বোলিং নিয়ে ভাবি। ভবিষ্যতে কি করতে হবে সেটা নিয়েই ভাবি।’
আপাতত যেভাবে খেলছেন, তাতে ভবিষ্যতে ভাবনার অনেক কিছুই আছে রানার।