কুমিল্লাকে জিইয়ে রাখলেন সৌম্য-মালান
সিলেট থান্ডার ১৪১/৫, ২০ ওভার
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১৪৪/৫, ১৯.১ ওভার
কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী
সিলেটের বিদায়ঘন্টা বেজে গেছে আগেই, নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লার সর্বনাশ প্রায় করতে ধরেছিল তারা। ১৪২ রানের লক্ষ্যে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তোলা কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সৌম্য সরকারের ৩০ বলে ৫৫ রানের সঙ্গে ডাভিড মালানের ৪৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে। মালান শেষ করে আসতে না পারলেও সৌম্য সফল হয়েছেন ঠিকই।
প্রথমে নাঈম হাসান ও এবাদত হোসেনের দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ে শিকার হয়েছিল কুমিল্লা, ৪ ওভারে ১০ রান তুলতে তারা হারিয়েছে ২ উইকেট। ২ ওভারের স্পেলে এবাদত দিয়েছিলেন মাত্র ৩ রান, আর নাঈম ৬ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। প্রথমে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ফারদিন হাসান অনি, সিলেট এ উইকেট পেয়েছিল রিভিউ নিয়ে।
নাঈমের পরের ওভারে বোল্ড হয়েছেন উপুল থারাঙ্গা, ১৪ বলে ৪ রানের সংগ্রাম শেষ হয়েছে তাতেই তার। নাঈমের তৃতীয় শিকার বনেছেন মাহিদুল অঙ্কন, কুমিল্লার অবস্থা তখন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার মতো। তাদেরকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়েছেন ডাভিড মালান ও সৌম্য সরকার।
প্রথম ১০ ওভারে কুমিল্লা তুলেছিল মাত্র ৪৩ রান, ধীরে ধীরে থিতু হওয়ার পর দুজন একটু সচল করেছেন কুমিল্লার রানের গতি। রান-বলের বেশ বড় ব্যবধানটা কমে এসেছিল দেলোয়ার হোসেনের করা ১৪তম ওভারে, মালানের তিন ছয়ে সে ওভারে উঠেছিল ২১ রান।
৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর মালান মেরেছিলেন আরও দুটি বাউন্ডারি, এবাদত ফিরে ফিরিয়েছেন তাকে। আপার-কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়ার আগে কুমিল্লা অধিনায়ক করেছেন ৪৯ বলে ৫৮ রান, মেরেছেন ২টি করে চার ও ছয়।
শেষ ২৪ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান, একটি করে ছয় ও চারের পর ডেভিড ভিসা ফিরেছিলেন ৮ বলে ১৩ রান করে, চার্লসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে। তখনও সুতোর ওপর ঝুলছিল কুমিল্লা, এবাদতের শেষ ওভারটি ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। সে ওভারে এবাদতকে চার-ছয়ে সৌম্য সিলেটকে দিলেন আরেকটি তিক্ত অভিজ্ঞতাই। শেষ ওভারের প্রথম বলে চার্লসকে চার মেরে খেলা শেষ করেছেন সৌম্য।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে সময় কাটিয়েছেন, তবে গিয়ার বদলানোর আগেই ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। ওপেনিংয়ে নামা আব্দুল মজিদ টিকে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত, তবে ৪০ বলে ৪৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তবে তাকে একপাশে রেখে অন্যপাশে কেউ দ্রুত রান তুলবেন, সিলেট ইনিংসের অনেকাংশজুড়েই হয়নি সেটি।
মজিদ শুরুতে ছিলেন চুপচাপই, ২৭ রানের ওপেনিং জুটিতে আন্দ্রে ফ্লেচারই করেছেন ২২। তিনে নামা জনসন চার্লস ১৫ বলে ২৬ করেছিলেন ১ চার ও ২ ছয়ে, আল-আমিন হোসেনের বলে উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। মুজিবের আগে স্টাম্পড হওয়ার আগে বেশ ধীরগতির ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন, ২৫ বলে তিনি করেছেন ১৮ রান।
শেষদিকে ১১ বলে ২৩ রানের ইনিংসকে সিলেটকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জিভান মেন্ডিস, সব মিলিয়ে ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি সিলেট।