• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    রুবেল-জিয়ার পর ইমরুল-সিমন্সে আরও এগিয়ে চট্টগ্রাম

    রুবেল-জিয়ার পর ইমরুল-সিমন্সে আরও এগিয়ে চট্টগ্রাম    

    রাজশাহী রয়্যালস ১৬৬/৮, ২০ ওভার (লিটন ৫৬, রেজা ২১, রুবেল ৩/২০, জিয়া ৩/১৮) 
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৭০/৩, ১৮.৩ ওভার (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, রাব্বি ১/২০)
    চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী  


    টেবিলের দুই শীর্ষ দলের লড়াই, লড়াইটা এখন এক নম্বরে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার। তবে সে লড়াইয়ে রাজশাহীকে ঠিক পাত্তা দিল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৬৬ রানতাড়ায় লেন্ডল সিমন্সের পর ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে রাজশাহীর বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। মিরপুরের অপেক্ষাকৃত ধীরগতির উইকেটে রানতাড়াকে চট্টগ্রাম দিয়েছেন দারুণ এক গঠন। 

    চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে এদিন আলাদা করে হয়তো নজর ছিল ক্রিস গেইলের ওপর, এই বিপিএলে এবারই প্রথম মাঠে নেমেছেন তিনি। প্রথম ওভারে স্ট্রাইক পাননি তিনি, দ্বিতীয় ওভারে ছিলেন চুপচাপ। পরের ওভারে আফিফ হোসেনকে কাউ কর্নার দিয়ে ছয় মেরে শুরু করলেন, সে ওভারে মারলেন আরও ৩ ছয়। সিমন্স এক ওভার ইরফানকে মেইডেন দেওয়ার পর গেইল কামরুল ইসলাম রাব্বিকে খোঁচা দিয়ে খেলতে গিয়ে হলেন কট-বিহাইন্ড। ১০ বল, ২০ রান- বিনোদন শেষ? 

    নাহ। সে দায়িত্বটা এবার নিলেন ইমরুল কায়েস, সিমন্স তাকে দারুণ সঙ্গই দিলেন বলতে হবে। ইমরুল যখন চতুর্থ গিয়ারে থেকে খেলছেন, সিমন্স দ্বিতীয় গিয়ারে থেকে এগুচ্ছেন তখন। ফিফটি করতে ৪২ বল খেললেন তিনি, এর পরপরই রান-আউটে ফিরতে হয়েছে তাকে। মাহমুদউল্লাহ মুখোমুখি প্রথম বলেই মারলেন চার, তবে রেজাকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন ৬ বলে ১০ রান করার পর। 

    ইমরুল অবশ্য দমলেন না, রেজাকে পুল করে ছয়ে পর রাসেলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে এই বিপিএলের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করলেন ৩১ বলে।  শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪১ বলে ৬৭ রান করে, ৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়।

    টসে জিতে অনুমিতভাবেই রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম। অবশ্য শুরুটা একটু দ্রুতগতির ছিল রাজশাহীর, এ উইকেটকে যেন চ্যালেঞ্জ জানানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তবে রুবেল হোসেনের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন আফিফ। ১৬ রানে ১ম উইকেট হারানোর পর ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে ৩৭ ও শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৪১ রানের জুটির পর নিজে ফিরেছেন লিটন। মাঝে শুক্কুর হয়েছেন রান-আউট, থ্রো একটু বাইরে থাকলেও নন-স্ট্রাইক প্রান্তে দারুণভাবে সেটি স্টাম্প ভেদ করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

    ৪০ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন লিটন, ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়ে। ফিফটির পর ৫ বলে করেছিলেন ৬ রান, এরপরই জিয়াউরকে ফ্লিক করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুললেন ক্যাচ, যেটি নিলেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। ৪৪ বল পরও লিটনের এমন টাইমিং হয়তো এ উইকেটের ধরনটা বুঝিয়ে দেয়, অথবা বুঝিয়ে দেয় লিটনকে নিয়ে জমতে থাকা আক্ষেপের ব্যাপারটা। 

    আন্দ্রে রাসেল এসে একটা ছোটখাট ঝড় তুলেছেন, ১ চার আর ২ ছয়ে। ১৪ ও ১৫তম- এই ২ ওভারে চট্টগ্রাম তুলেছিল ২৬ রান, রুবেল ফিরে আবার করলেন আঘাত। তাও আবার একটি নয়, দুটি। প্রথমে রাসেল ক্যাচ দিলেন, এরপর রবি বোপারা হলেন এলবিডব্লিউ। পরের ওভারে শোয়েব মালিককে রেখে জিয়াউরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কাপালিও। পরের দুই ওভারে মালিকের উইকেটসহ উঠেছিল ১৬ রান, তবে রাজশাহী একটু উড়ান দিয়েছে শেষ ওভারে গিয়ে। মুক্তারকে দুই ছয়ে সে ওভারে ১৫ রান তুলতে সহায়তা করেছিলেন ফরহাদ রেজা। 

    রুবেল হোসেন ও জিয়া নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট- রুবেল ২০ রানে, জিয়া ১৮ রানে।