• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই : ক্রিস গেইল

    যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই : ক্রিস গেইল    

    তখন তিনি ব্যাটিংয়েও নামেননি। এমনকি সীমানায় ফিল্ডিং করছেন, সেটিও না। ওভারশেষে প্রান্তবদলের সময় ওপাশ থেকে এপাশে আসতে আসতে দুহাত তুলে ধরলেন, দর্শকদের ‘গেইল গেইল’ চিৎকারের জবাব দিতে। বিপিএলে এবারের আসরে মাঠে কয়েক ওভার যেতে না যেতেই ক্রিস গেইল তার উপস্থিতি জানান দিলেন। ব্যাপারটা যখন বিনোদনের, ক্রিস গেইলকে আপনি তার সমার্থক বলতেই পারেন। 

    অবশ্য এই বিনোদন ক্রিকেট মাঠে কতদিন আর পাওয়া যাবে, প্রশ্ন সেটি। গেইল বলছেন, ক্রিকেট এখনও উপভোগ করছেন, যতদিন সম্ভব চালিয়ে যেতে চান খেলা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। আর অবসরের পর কোচিং ধরনের কোনও কাজ করতে চান না, তবে এখনকার মতোই নানা প্রান্তে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা তার।

    “এখনও অনেক মানুষ ক্রিস গেইলকে মাঠের মাঝে দেখতে চায়”, বলছেন গেইল, “আমার এখনও ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা ও প্যাশন আছে। টি-টোয়েন্টি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আমি যতদিন সম্ভব চালিয়ে যেতে চাই। এখনও বিশ্বের এখানে-সেখানে কিছু ম্যাচ খেলি আমি, এবং আমার মনে হয় এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার।”

    গত বছর চল্লিশ পেরিয়ে যাওয়া গেইল খেলতে চান আরও ৫ বছর, “শরীর এখনও ভাল আছে, আমার মনে হয় যত দিন যাচ্ছে তত তরুণ হচ্ছি আমি। আমি সেদিকে তাকিয়ে আছি। ৪৫ মানে একটা ভাল সংখ্যা। ৪৫ নিয়েই কথা হোক। আমার মনে হয় এটা ভাল একটা সংখ্যা, আমার প্রথম জার্সি নম্বর।”  
     


    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে গেইল/বিসিবি


    বিশ্বকাপকে বিদায় বললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কবে বিদায় বলবেন, সেটি নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। এরপর ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তিনি। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে খেলেছেনও, অবশ্য গত বছরের মার্চের পর টি-টোয়েন্টি খেলেননি তিনি আর। নিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি, “ভালই হবে তো ব্যাপারটা। সুযোগের জন্য দরজা খোলা আছে সবসময়ই। দেখা যাক কী হয়। আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কিছু তরুণ আছে। আমি আমার দরজা খোলা রেখেছি। আমি তাদের (নির্বাচকদের) থেকে শুনতে চাই।” 

    অবশ্য ক্রিকেটের পরও জীবন আছে, গেইল মনে করিয়ে দিচ্ছেন সেটি, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ বছর হয়ে গেল, ২০ বছর ক্রিকেটে হয়ে গেল। ক্রিকেটের পর সবসময়ই জীবন থাকে, এবং সেটির জন্য কিছু পরিকল্পনা করতে হয়। এখন আর আগের মতো হবে না, যে সব টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ খেলব। এগুলো দেখতে হবে।” 

    মেজানসি সুপার লিগের পর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ জানিয়েছিলেন গেইল। বিপিএলের ড্রাফটে কীভাবে তার নাম এসেছে, সেটি নাকি জানতেনই না তিনি। তবে নতুন নতুন লোকদের সঙ্গে পরিচয়কে দারুণভাবেই নিচ্ছেন তিনি, “জীবন সবসময়ই শুরু হয়। আমি সবসময়ই এটি উপভোগ করি, এবং জীবনের সঙ্গে ক্রিকেট মেশাই না। 

    “গত ২০ বছর ধরেই এমন করছি, কারণ আমি বেশিরভাগ সময়ই ঘর থেকে দূরে ছিলাম। আমি নতুন মানুষদের সঙ্গে মিশি, নতুন ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিশি। ফলে নতুন বন্ধন তৈরি হয়, নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়। আমার জীবনটা দারুণ ছিল না, এবং যতদিন না আমি ক্রিকেট ও জীবন মিশিয়ে ফেলি, ততদিন উপভোগ করে যাব।” 

    তবে ক্রিকেটের পর কোচিংটা পরিকল্পনার মধ্যে নেই তার, “সত্যি বলতে কোচিং আমার পরিকল্পনায় নেই। তবে যে কোনও কিছুই তো হতে পারে। জীবনে আপনি সবসময়ই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা নিতে চাইবেন। ক্রিকেটের পরও আমি ভ্রমণ করতে চাই।” 

    এবং হ্যাঁ, বিনোদনটা দিতে চান।