• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    লিটনের ৭৫-এ অনায়াসে চট্টগ্রামকে টপকে শীর্ষে রাজশাহী

    লিটনের ৭৫-এ অনায়াসে চট্টগ্রামকে টপকে শীর্ষে রাজশাহী    

    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৫৫/৫, ২০ ওভার 
    রাজশাহী রয়্যালস ১৫৬/২, ১৭.৪ ওভার 
    রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী 

    লড়াইটা ছিল শীর্ষে এগিয়ে যাওয়ার, প্লে-অফ তো দুই দলেরই নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তবে কোয়ালিফাইয়ার-এলিমিনেটরের হিসাবের ফেরে এ ম্যাচেরও গুরুত্ব ছিল দারুণ। সেখানে রাজশাহী আরেকবার দেখিয়েছে রাজকীয় পারফরম্যন্স। লিটন দাসের ৪৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রামের ১৫৫ রান অনায়াসেই টপকে গেছে তারা, এ জয় দিয়ে চলে গেছে টেবিলের শীর্ষেও। 

    ইনিংসের মাঝপথে চট্টগ্রামের ১৫৫ রানের স্কোরকে অবশ্য খুব একটা কম মনে হচ্ছিল না। উইকেটে বাউন্সের বৈচিত্র ছিল, ব্যাটিং খুব একটা সহজ বলে মনেও হচ্ছিল না। তবে লিটন যেন ব্যাটিং করছিলেন ভিন্ন কোনও উইকেটে। আফিফও তাকে সঙ্গ দিলেন দারুণ, লিটন খেলে গেলেন তার সহজাত সব স্ট্রোক। পাওয়ারপ্লেতেই ৬০ রান তুলে ফেলেছিল রাজশাহী, লিটন-আফিফ এ টুর্নামেন্টে এ নিয়ে ৬ষ্ঠ বার গড়লেন ফিফটি জুটি।

    ২৯ বলে ফিফটি করে ফেলেছিলেন লিটন। পেস, স্পিন- চড়াও হয়েছেন সবার ওপরই। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের বলে একটা লিডিং-এজ হয়েছিল, অবশ্য সে ওভারেই স্লোয়ার বুঝতে না পেরে হয়েছেন এলবিডব্লিউ।। তবে এর আগেই প্রায় জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন রাজশাহীকে। 

    প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে ১১তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল চট্টগ্রামকে, নাসুম আহমেদকে স্লগ করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়ার আগে আফিফ করেছিলেন ৩১ বলে ৩২ রান। অবশ্য তার উইকেটের পরও শোয়েব মালিকের সঙ্গে লিটনের আরেকটি ৫০ রানের জুটি রাজশাহীকে নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মালিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৪৩ রানে। 

    এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম ১৫৫ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল মাহমুদউল্লাহর ৩৪ বলে ৪৮ রানের সঙ্গে নুরুল হাসান সোহানের ১৬ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে। ৮ বোলার মিলে চাপটা অনেক্ষণ ধরে রেখেছিলেন, তবে ডেথ ওভারে ঠিক আগের চাপটা ধরে রাখতে পারেনি রাজশাহী, শেষ ৩ ওভারে তারা গুণেছে ৪৫ রান। 

    শুরুতে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও জুনাইদ সিদ্দিক টিকে ছিলেন, তবে গিয়ার বদলানোর আগেই ফিরে গেছেন দুজন। পাওয়ারপ্লেতে চট্টগ্রাম তুলেছিল ৩৮ রান, ৭ম ওভারে রাজশাহীকে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন শোয়েব মালিক। তার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে জুনাইদ করেছেন সমানসংখ্যক বলে ২৩ রান। গেইলও করেছেন ওই ২৩ রানই, আফিফ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। 

    দারুণ ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসও শুরু করেও বড় করতে পারেননি ইনিংস, তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ১৮ বলে ১৯ রান। চ্যাডউইক ওয়ালটনও এরপর বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহকে, আবু জায়েদের বলে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন তিনি। অন্যদিকে গেইল তাইজুলকে টানা দুই ছয় মেরেছিলেন, তবে গিয়ার বদলানো হচ্ছিল না যেন তারও। 

    নুরুল নেমে একটু নড়বড়ে ছিলেন, খানিক পরই খুঁজে পেলেন ছন্দ। ১৮তম ওভারে রাব্বিকে দুই চারের সঙ্গে এক ছয়ে তুললেন ১৭ রান, পরের ওভারে ইরফানকে আরেকটি চারের পর ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। নুরুল ফেরার পর ৭ বলে আরো ১৭ রান যোগ করেছেন মাহমুদউল্লাহ, ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারে উঠেছে ১৭ রান।