• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা থেকেই প্রেরণা নিয়েছেন শান্ত

    খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা থেকেই প্রেরণা নিয়েছেন শান্ত    

    মুশফিকুর রহিম খুব কাছে গিয়েছিলেন। একবার নয়, দুই বার। পারেননি। মুমিনুল হকও নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছে থেমে গেছেন। কাছাকাছি গিয়েও পারেননি সৌম্য সরকার। তবে এবারের বিপিএলে দেশীদের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিটা যে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসবে, সেটা কালকের আগ পর্যন্তও কেউ ভাবেননি। যে ব্যাটসম্যানের প্রথম ৮ ম্যাচে রান ১১৫, শেষ ম্যাচে গিয়ে তিনি ঠিক ১১৫ রানই করলেন। কেমন এমন অশান্ত হয়ে উঠলেন শান্ত, সেটা বলতে গিয়ে খুলনা টাইগার্সের এই ব্যাটসম্যান কৃতিত্ব দিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন ও স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামকে।

    এই বিপিএলে প্রথম চারটা ম্যাচ ভুলে যাওয়ার মতো কেটেছে শান্তর। একবারও দুই অংকে পৌঁছাতে পারেননি। এর পরের তিন ম্যাচে মোটামুটি রান পেয়েছেন, কিন্তু তাও আটকে যাচ্ছিলেন ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। কিন্তু সব অপ্রাপ্তি ঘুঁচিয়ে দিলেন শেষ ম্যাচে এসে।  ৫৭ বলে ১১৫ রান করে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটা শান্ত সেঞ্চুরি দিয়েই লেখালেন নতুন করে। খুলনার টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সহকারী কোচ সোহেল ইসলামের কথা বললেন আলাদা করে, ‘লাস্ট দুই মাসে খালেদ মাহমুদ সুজন স্যার আর কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সোহেল স্যার আমাকে যেভাবে সাপোর্ট করেছে সেটা আমার ব্যাটিংয়ে হেল্প করেছে। সেই বিশ্বাস আমার মধ্যে এসেছে। প্রথম চার ম্যাচে রান না পাওয়ার পরও আমি আপসেট হইনি। বিশেষ করে সুজন স্যার শুরুতে যখন রান পাছিলাম না তখন আমাকে এসে বললেন ‘তুই এই দলের মেইন প্লেয়ার’। এ কথাটা শুনে খুব ভালো লেগেছিল।’

    বিশেষ করে সুজনের প্রেরণাটাই বেশি কাজে এসেছে শান্তর। নিজেই বললেন, ‘উনি সব সময় আমাকে মানসিকভাবে সমর্থন করে। এমন না যে আমার ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছে। কিন্তু সব সময় আমাকে বলে তুই ভালো করতে পারবি, তোকে দিয়ে হবে। তো এই কথাগুলো বেশ কাজে আসে আর কী।’

    কিন্তু প্রথম কয়েক ম্যাচের ব্যর্থতায় কি মুষড়ে পড়েছিলেন? শান্ত স্বীকার করেছেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একটু আত্মবিশ্বাস কম থাকে তার, ‘সত্যি কথা বললে বেশ হতাশ ছিলাম। এই একটা ফরম্যাটে আমি একটু হতাশ হয়ে যাই, এখানে লুকানোর কিছু নেই।’

    তবে আত্মবিশ্বাস হারাননি খারাপ করার পরেও, ‘ক্রিকেট খেলায় একদিন ভালো হবে, একদিন খারাপ হবে এটাই নিয়ম। সামনে চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা ধরে রাখার।’

    শুরুতে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিং তাকে আত্মবিশ্বাস দিতে অনেক সাহায্য করেছে বলে জানালেন শান্ত, ‘মিরাজ শুরুতে ব্যাট করেছে সেটা আমার জন্য ভালো ছিল, কিন্তু শুরু থেকে ব্যাটে বলে আমার ওভাবে কানেক্ট হচ্ছিল না। কিন্তু পরে শট খেলতে পারি, আর উইকেটও খুব ভালো ছিল।’

    ঘরোয়া লিগে তো অনেক দিন ধরেই নিয়মিত রান করে যাচ্ছেন। জাতীয় দলে সেই রান আসছে না কেন? শান্ত আগে বললেন পার্থক্যের কথা, একটা কথা আমি বলতে চাই আমাকে ছোটবেলা থেকে কোচ বলেছেন রান যেখানে করি রান তো রান। আমাদের দেশে ভালো বোলার যে নেই তা নয়, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো বল অনেক বেশি হয়। এখানে যদি আমরা মানসিকভাবে তৈরি থাকি তাহলে ওখানে ভালো করা সম্ভব। ’ জাতীয় দলে জায়গা পাকাপাকি করারই লক্ষ্য আপাতত, ‘তিনটা ফরম্যাটেই খেলেছি। যাওয়া সার মধ্যে আছি। একটু আপসেট জায়গাটা ধরে রাখতে পারছি না। এইজ লেভেলে যেভাবে পারফর্ম করেছি জাতীয় দলেও সেটা ধরে রাখতে চাইব।’