• সিরি আ
  • " />

     

    রোনালদোর দুই গোলে আরও দুই পয়েন্ট এগিয়ে গেল জুভেন্টাস

    রোনালদোর দুই গোলে আরও দুই পয়েন্ট এগিয়ে গেল জুভেন্টাস    

    ফুলটাইম
    জুভেন্টাস ২-১ পার্মা


    তুরিনে ম্যাচের আগে ডিসেম্বর সিরি আর মাসসেরা খেলোয়াড়েরের পুরস্কার গ্রহণ করে মাঠে নেমেছিলেন। জানুয়ারিতে মাসসেরা কে হবেন সেটাও এই ম্যাচ শেষে আরেকবার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তেমনটা না হলেই আসলে বিস্মিত হবেন আপনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আরও একবার গোল করেছেন। একটি নয়, দুইটি। রোনালদোর জোড়া গোলে ইন্টার মিলানের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানও বাড়িয়ে নিয়েছে জুভেন্টাস। দিনের শুরুতে লেচ্চের মাঠে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল ইন্টার, জিতলেই শীর্ষে থাকা জুভেন্টাস এগিয়ে যেত ৪ পয়েন্টে। পার্মার বিপক্ষে সেই কাজটা রোনালদো সেরেছেন সিরি আতে টানা সপ্তম ম্যাচে গোল করে। 

    পার্মার বিপক্ষে দুইটিসহ লিগে এই মৌসুমে রোনালদোর গোল দাঁড়াল ১৬টি। ২৩ গোল রোনালদোর ওপরে চিরো ইম্মোবিলে। ২০০৫ সালে ডেভিড ত্রেজেগের পর প্রথম জুভেন্টাস খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৭ ম্যাচের গোলের ধারা টেনে নিয়ে গেছেন রোনালদো। পার্মার বিপক্ষে অবশ্য ঘরের মাঠে হতাশ হওয়ার মতো এক প্রথমার্ধ কাটাচ্ছিল জুভেন্টাস। এই মৌসুমে অবশ্য জুভেন্টাসের এমন রূপ নতুন কিছু নয়। একজনের জ্বলে ওঠা দরকার ছিল, জ্বলে উঠেছেন রোনালদো। তাই আর কাউকে প্রয়োজন হয়নি জুভেন্টাসের।


    রোনালদো শুরু থেকেই গোলে শট করার সুযোগ খুঁজছিলেন। সুযোগের খোঁজে থাকার পুরস্কার রোনালদো পেয়েছেন ৪৩ মিনিটে। বক্সের ভেতর বাম দিক থেকে কাট করে ঢুকে ডান পায়ে গোলে শট নিয়েছিলেন রোনালদো। এর পর পার্মা ডিফেন্ডার মাতেও ডারমিয়ানের গায়ে লেগে শটটা বেশ ভালো রকমের দিক পরিবর্তন করল। রোনালদোও পেয়ে গেলেন গোল। বিরতিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য আরেকটি গোল পেয়ে যেতে পারত জুভেন্টাস। তবে অ্যারন রামসে বক্সের ভেতর ভালো জায়গায় পেয়েও তখন মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে।

    এক গোলের লিড যে তেমন কিছুই নয়, সেটাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জুভেন্টাসকে আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছিল পার্মা। ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে বদলি আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস হেডে গোল করে জুভেন্টাসকে ভয় ধরিয়ে দেন। কিন্তু এমন সব পরিস্থিতি থেকেও মাউরিসিও সারির জুভেন্টাস আগেও ফেরত এসেছে, এবারও আসলো। পার্মাকে রোনালদো সমতায় থাকতে দিলেন ৩ মিনিটেরও কম সময়।

    পাউলো দিবালার সঙ্গে রোনালদোর সমন্বয়ের উন্নতি ঘটছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই। ধারাটা অব্যাহত থাকল এবারও। বক্সের ভেতর থেকে দিবালা যখন ডান পায়ে নিচু ক্রস করেছেন, রোনালদো তখন পেছন থেকে দৌড়ে এসে নিখুঁত ফিনিশে পেয়েছেন দ্বিতীয় গোলটি। এর পর দিবালার কাঁধে হাত রেখে রোনালদোর উদযাপনের মুহুর্তটা বিয়াঙ্কোনেরিদের চোখে শান্তি দিয়েছে আরেকটু বেশি। 

    হ্যাটট্রিক করার মতো যথেষ্ট সময় হাতে ছিল রোনালদোর। তবে এদিন আর সেটি হয়নি। শেষ মুহুর্তে কর্নার থেকে রোনালদো হেড মেরেছেন বাইরে দিয়ে। নইলে নতুন বছরের ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটিও পেয়ে যেতে পারতেন আগামী মাসে ৩৫ এ পা দিতে যাওয়া রোনালদো।

    পার্মাকেও এর পর আর খুব বেশি সুযোগ দেয়নি জুভেন্টাস। ইনজুরি আক্রান্ত মারে ডেমিরালের জায়গায় নেমে ম্যাথিয়াস ডি লিট এদিন রক্ষণে ভুল করেছেন কম। বদলি হিসেবে আরেকবার নেমেছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। গোল না পেলেও ঠিক পথেই ছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। তবে দিবালা আরেকবার বদলি হয়ে হতাশা লুকাননি। শেষ কবে পুরো ম্যাচ খেলেছেন দিবালা সেটা বোধ হয় তিনি নিজেও মনে করতে পারবেন না!