• সিরি আ
  • " />

     

    নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে মিলান ডার্বি জিতে শীর্ষে উঠল ইন্টার

    নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে মিলান ডার্বি জিতে শীর্ষে উঠল ইন্টার    

    ফুলটাইম
    ইন্টার মিলান ৪-২ এসি মিলান


    প্রথমার্ধ শেষে ইন্টার মিলানের টিকে থাকার স্বপ্ন দেখতে পেরেছিলেন কয়জন? ১৯৫০ সালের পর দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে আর মিলান ডার্বি জেতার কোনো রেকর্ডই ছিল না ইন্টারের। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে বাজি ধরার পক্ষে লোক কমই থাকার কথা। তারওপর দলের অন্যতম মূল ভরসা লাউতারো মার্টিনেজও ছিলেন না নিষেধাজ্ঞায়। এসব কিছু তুচ্ছ করে নাটকীয় এক প্রত্যাবর্তনে মিলান ডার্বি জিতে নিয়েছে ইন্টার। তাতে জুভেন্টাসের সমান ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে গোলব্যবধানে সিরি আর শীর্ষস্থানেও উঠে গেছে আন্তোনিও কন্তের দল। মিলান ডার্বির আগের দিন ভেরোনার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে পয়েন্ট হারিয়েছিল জুভেন্টাস।


    নতুন কোচ স্টেফানো পিওলির অধীনে শেষ ১১ ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছিল মিলান। সান সিরোতে তাদের শুরুটাও ছিল ভালো। হাকান চালহানগ্লুর শট বারপোস্টে লেগে ফেরত না এলে শুরুর দিকেই এগিয়ে যেতে পারত মিলান। সেই কাজটা ৪০ মিনিটে করেছেন আনতে রেবিচ। ইব্রাহিমোভিচের লে অফ থেকে গোলরক্ষক দানিয়েল পাদেল্লির ভুলের সুযোগ নিয়ে বল কাঙ্খিত লক্ষ্যে ঠেলে দেন তিনি। বিরতির কিছুক্ষণ আগে ইব্রাহিমোভিচ পেয়ে যান মৌসুমের দ্বিতীয় গোল। হেডে গোল করে মিলানকে তিনি এনে দেন দুই গোলের লিড।

    ইন্টারের ফেরার লড়াইয়ের সূচনা হয়েছিল মার্সেলো ব্রজোভিচের ভলিতে করা গোল দিয়ে। ৫১ মিনিটের ওই গোলের পর অ্যালেক্সিস সানচেজের কাটব্যাক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মাতিয়াস ভেসিনো। ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে কর্নার থেকে হেডে গোল করে স্টেফান ডি ভ্রাই নেরাজ্জুরিদের আনন্দে ভাসান।

    নাটকের অবশ্য আরও অনেক কিছুই বাকি ছিল তখনও। বদলি হিসেবে নেমে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনও ইন্টারের নায়ক হয়ে যেতে পারতেন। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া এরিকসেনের ফ্রি-কিক গোলে পরিণত হয়নি বারপোস্টের কোণায় লেগে। বারপোস্টের কারণে সব আলো কাড়া হয়নি ইব্রাহিমোভিচেরও। স্কোরলাইন ৩-২ থাকা অবস্থায় গোলের সামনে থেকে নেওয়া ইব্রাহিমোভিচের হেডও গিয়ে লাগে সাইডপোস্টে।

    এতোসব নাটকের পর শেষে গিয়ে রোমেলু লুকাকু আরও এক গোল করে ইন্টার জয় নিশ্চিত করে ফেলেন যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। এই নিয়ে ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের মতো মিলানকে টানা ৪ ডার্বিতে হারালো ইন্টার। অবশ্য কন্তের দলের তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার সময় নেই মোটেই। এই সপ্তাহেই কোপা ইতালিয়াতে নাপোলির মুখোমুখি হবে তার দল। এর পরের সপ্তাহে সিরি আ-তে নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচ ইন্টারের।