• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    'বিরতি' দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে, পরিকল্পনায় নেই রুবেল

    'বিরতি' দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে, পরিকল্পনায় নেই রুবেল    

    সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ কবে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, সেটা একটু চিন্তা করলে আপনি মনে করে ফেলতে পারেন। শততম টেস্টের আগে সেই যে বাদ পড়েছিলেন, এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাটিতে দুই টেস্টে জায়গা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ দিয়ে ফেরার পর টানা ১৬টি টেস্টে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এবার দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জায়গা হয়নি তার। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন যেটিকে বলছেন ‘বিরতি’।

    সিনিয়র বলে ‘বিরতি’ শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বার্তা পরিষ্কার, আপাতত মাহমুদউল্লাহকে চিন্তা করছেন না তারা। মূলত সর্বশেষ চার টেস্টে ব্যর্থতার জন্যই সরে যেতে হয়েছে। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের টেস্ট থেকে টানা চার ম্যাচে ফিফটি পাননি একটিও। বিশেষ করে পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে আউট হয়েছেন, সেটা মাহমুদউল্লাহকে কিনার থেকে ফেলে দিয়েছে খাদে।

    মজার ব্যাপার হচ্ছে, তার আগের কয়েক টেস্টে আবার মাহমুদউল্লাহর ব্যাট কথা বলেছে সাদা পোশাকে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু, পরের তিন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। তখন ভাবা হচ্ছিল, টেস্টে এবার বোধ হয় থিতু হলেন।  সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাদা পোশাকে। কিন্তু এবারও জায়গা রাখতে পারলেন না।

    রুবেল হোসেনের ব্যাপারটা অন্যরকম। তাসকিন আহমেদ না থাকায় রাওয়ালপিন্ডিতে ডাক পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানদন্ডে পারফরম্যান্স যে খুব খারাপ ছিল তাও নয়, ১১৩ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কিন্তু এখন মিনহাজুল বলেছেন, ‘রুবেলকে আপাতত দীর্ঘ মেয়াদের ক্রিকেটের জন্য ভাবছি না।’ এক টেস্টের জন্য তাহলে রুবেলকে কোন পরিকল্পনা থেকে খেলানো হলো, সেই প্রশ্ন উঠবেই।

    আল আমিন চোটে ভুগছিলেন, পাকিস্তান সফরে একমাত্র টেস্টে খেলেননি। এখনও সেরে ওঠেননি পুরোপুরি। আপাতত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় এই সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। আর বিয়ের পিড়িতে বসার জন্য সৌম্য সরকার আপাতত ছুটি নিয়েছেন বেশ কদিনের জন্য।