কাসুজা-মাম্বার ফিফটির দিনে উজ্জ্বল শাহাদাত
প্রথম দিন, স্টাম্পস
জিম্বাবুয়ে ২৯১/৭* (কাসুজা ৭০, মাম্বা ৫৪*, শাহাদাত ৩/১৬, আল-আমিন ২/৪০) বনাম বিসিবি একাদশ
দুই ওপেনারের রান পাওয়া, মিডল অর্ডারে ধস, এরপর শেষদিকে আটে নেমে কার্ল মাম্বার ফিফটি- একমাত্র টেস্টের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রথম দিনটা এমনই কেটেছে জিম্বাবুইয়ানদের। ১০৫ রানে বিনা উইকেট থেকে ১৪৬ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয়েছিল তারা অ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অফস্পিনার শাহাদাত হোসেনের তোপে।
বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া জিম্বাবুয়েকে দারুণ শুরুই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও কেভিন কাসুজা। লাঞ্চের আগে উইকেট হারায়নি তারা, দুজন মিলে তুলেছিলেন ৯৫ রান। ৯৯ বলে ফিফটিও করে ফেলেছিলেন কাসুজা। তবে লাঞ্চের পর তার বদলে নেমেছিলেন ব্রায়ান মুদজিঙ্গানিয়ামা।
প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে বিসিবি একাদশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১তম ওভার পর্যন্ত, অধিনায়ক আল-আমিনের বলে উইকেটকিপার আকবর আলিকে ক্যাচ দিয়েছেন মাসভাউরে, ৭৭ বলে ৪৫ রান করার পর।
অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন এসে কাসুজার সঙ্গে যোগ করেছেন ২০ রান, প্রায় ১০ ওভার ব্যাটিং করে। শাহাদাত এরপর নিয়েছেন দিনে নিজের প্রথম উইকেট, তার বলে সুমন খানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, ব্যক্তিগত ১০ রান করেই। পরের ওভারে শরিফুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন মুদজিঙ্গানিয়ামাও, ৪২ বলে ১৭ রান করে।
৪৯তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত করেছেন শাহাদাত, ৩ বলের ব্যবধানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন রেজিস চাকাভা ও টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি। ৬ষ্ঠ উইকেটে এরপর ৩১ রান উঠেছে, শেষ পর্যন্ত ১৩০ বলে ৭০ রান করে রান-আউট হয়েছেন কাসুজা, মেরেছেন ১২টি চার।
মাম্বা এরপর টিমাইসেন মারুমা ও এইনলে নদলোভুকে নিয়ে ৭ম ও ৮ম উইকেটে গড়েছেন যথাক্রমে ৪৯ ও ৬৫ রানের জুটি- যার মধ্যে পরেরটি এখনও অবিচ্ছিন্ন।
মাম্বা ফিফটি করেছেন ৯৮ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত আছেন ১০৫ বলে ৫৪ রানে। সঙ্গী নদলোভুর রান ২৫।
সব মিলিয়ে ৭ জন বোলার ব্যবহার করেছেন বিসিবি একাদশ অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র, ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল শাহাদাতই। আল-আমিন নিজে ২ উইকেট নিয়েছেন ৪০ রানে, ১ উইকেট নিতে শরিফুল খরচ করেছেন ৪৫ রান। লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন যথাক্রমে ১৯ ও ১২ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৭৭ ও ২৬ রান।