• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    সাকিব ভাইয়ের না থাকা টেস্টের ফলের ওপর প্রভাব ফেলছে : তাইজুল

    সাকিব ভাইয়ের না থাকা টেস্টের ফলের ওপর প্রভাব ফেলছে : তাইজুল    

    সাকিব আল হাসান না থাকায় স্পিন-বিভাগ ভুগছে, এবং সেটার প্রভাব গিয়ে পড়ছে দলের ওপর- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটির টেস্টের আগে এমন মনে হচ্ছে তাইজুল ইসলামের। তবে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলে তার নামটা একটু বেশি উচ্চারিত হয়, তাইজুল এমন মানতে রাজি নন। প্রতিপক্ষ নয়, সবকিছু ‘ভাল জায়গায় বোলিং করা’র ওপর নির্ভর করে বলেই মনে করিয়ে দিতে চান তিনি। 

    সব মিলিয়ে ২৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১০৫ উইকেট এই বাঁহাতি স্পিনারের, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্কোয়াডে সবচেয়ে বেশি উইকেট তারই। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বলতে গেলে দলের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব তার কাঁধেই, তবে টেস্টে ভরাডুবির বৃত্ত থেকে এখনও বেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তো বাংলাদেশ নিয়ে গিয়েছিল পেস-নির্ভর আক্রমণ, অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাইজুল ছাড়াও আছেন নাঈম হাসান ও চোট কাটিয়ে ফেরা মেহেদি হাসান মিরাজ। 

    “এখন যারা স্পিনার আছে তারা ভালো নয়, সাকিব ভাইয়ের মতো নয়- এটাই সত্যি”, বলছেন তাইজুল, “সাকিব ভাই থাকলে ভালো হতো......(শেষ ৬ টেস্টে হারের কারণ স্পিন কিনা, সে প্রশ্নের) উত্তর আমার কাছে এটিই। তার মানের খেলোয়াড় আসতে হবে। এখন সেই মানের খেলোয়াড় নেই। সেই মানের স্পিনার নেই। এই কারণে পেসার নেওয়া হয়েছে কিনা জানি না।”

    “পেসার আছে, কিংবা স্পিনারও দুইজন গিয়েছিল, পাকিস্তানেও গিয়েছিল, আমিও খেলেছি। আমি যেটা বললাম যে, ওই মানের স্পিনার এখনও আসেনি, সেই কারণে ফলাফলটি এমন হচ্ছে”, যোগ করেছেন তিনি। 

    অবশ্য সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর দেশের মাটিতে এই প্রথম টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, রেকর্ড অনুযায়ী তাইজুলের সবচেয়ে ‘প্রিয়’। ক্যারিয়ার গড় ৩৩.৪৬ থেকে তাদের বিপক্ষে নেমে আসে ২১.১১-তে। কোনও একটি দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩৫টি উইকেটও তার জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই। 

    তবে জিম্বাবুয়েকে শুধু আর একটা প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখতে চান তিনি, “(জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা হলে নাম বেশি উচ্চারিত হয়) আসলে আমার এই কথাটা ভালো লাগলো না। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই যে শুধু উইকেট পেয়েছি এমন তো না। আরো অনেক দলের সঙ্গেই খেলেছি। আমি এর আগেও বলেছি যে আপনি যাদের সঙ্গেই খেলেন ভালো জায়গায় বল না করলে হয় না। আর ওরা যে একেবারে খারাপ দল এমনটা তো না। ভালো জায়গায় যখন বল করবো না তখন খারাপ হবে, আবার যখন ভালো জায়গায় বল করবো তখন অনেক সুযোগ আসবে, উইকেটের সুযোগ আসবে বা দলের জন্য ভালো হবে।”

    আর দেশে খেলার ব্যাপারে তিনি বলছেন, “আসলে দেশে যখন খেলা হয় তখন নিজের কাছে একটু অন্যরকম লাগে আপনারা জানেন যে ভালো করবো কিংবা ভালো করার সেই অনুভূতিটা থাকে। আমার কাছে মনে হয় ভালো করাটাই স্বাভাবিক।”

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে একটি টেস্ট হারকেও ‘দূর্ঘটনা’ বলতে নারাজ তিনি। তাইজুলের মতে, “ভাল না খেললে হারাটাই স্বাভাবিক।” 

    একটি জয় দলের আত্মবিশ্বাস ফেরাবে বলেও বিশ্বাস তার, “অবশ্যই জয়টা প্রয়োজন। সেটা জিম্বাবুয়ে হোক কিংবা অন্য দল হোক। এখন জেতাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন জিতলে হয়তোবা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, এবং সেটা আমাদের দলের জন্য বেশ ভালো হবে।”

    ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে।