• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    ভালো করার জন্য '২-৩ ম্যাচ সুযোগ' আছে, জানেন সাইফ

    ভালো করার জন্য '২-৩ ম্যাচ সুযোগ' আছে, জানেন সাইফ    

    তাইজুল ইসলামের হাতের স্টিকারবিহীন ব্যাটটা বোধহয় নতুন। মুমিনুল হক তার দিকে বল ছুঁড়ছিলেন, হয়তো নক করার কাজটা এগিয়ে রাখছিলেন। তামিম ইকবাল তার সিএ ব্যাটটা হাতে করেই আসছিলেন। তাইজুলের কাছ থেকে ব্যাটটা নিয়ে শট খেললেন কয়েকটা। একটু পর যে কাজটা করলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। খানিক বাদে মুমিনুলের এসজি নিয়েও তামিম করলেন একই কাজ। তামিমের হাতের ব্যাটটা বদলাচ্ছিল। যেমন বদলাচ্ছে তার ওপেনিংয়ে সঙ্গী, বেশ অনেকদিন ধরেই। টেস্টেও যা ব্যতিক্রম নয়। 

    ২০১৭ সালের পর থেকে ছয়জন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে টেস্টে ওপেনিং করেছেন তামিম। সর্বশেষ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ছিলেন সাইফ হাসান। অভিষেক টেস্টটা এই তরুণের অবশ্য মনমতো হয়নি, প্রথম ইনিংসে ডাকের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৬। 

    সাইফ অবশ্য জানেন, শীর্ষ পর্যায়ে টিকে থাকতে হলে পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। ‘২-৩ ম্যাচ খারাপ করলেই বাদ দেওয়া হবে’, সাইফ নিজেই বলছেন সেটি। তামিমের ওপেনিংয়ে সঙ্গী বদলটা চাপ নয়, বরং তার সঙ্গে ব্যাটিংটা স্বপ্নপূরণের মতোই বলে মনে হচ্ছে তার। 

    সাইফ অবশ্য তামিমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের এই অনুভূতিটা বলে গিয়েছিলেন টেস্ট অভিষেকের আগেই। প্রথম ইনিংসে কিছুটা ‘নার্ভাস’ ছিলেন, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক হয়ে গেছে সেটি। এবার দেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি, সঙ্গে ওই ভাল করার ব্যাপারটা আছে মাথায়। 

    তবে সেটি সহজ নয়, বলছেন তিনি, “এতটা সহজ হবে না। কিন্তু এই পর্যায়ে আসার জন্যই সব কিছু করা। চেষ্টা করবো সামনের ম্যাচে যদি সুযোগ আসে ভালো খেলার।

    দীর্ঘ সংস্করণে খেললেও টেস্ট কেন সহজ নয়, সে ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন তিনি, “সহজ হবে না বলতে আমরা যেভাবে খেলে আসছি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেদিক থেকে চিন্তা করলে অত সহজ না। আমাদের মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে। প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে খুব জাতীয় দলের। সুযোগ পেলে রান বড় করতে হবে।”

    “যেখানেই খেলেন না কেন যদি ২-৩ ম্যাচ খারাপ করেন আপনাকে কিন্তু বাদ দেওয়া হবে। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে (এসব)। ভালো খেললে জায়গাটা থাকবে। খারাপ খেললে বেরিয়ে যেতে হবে।”

    পাকিস্তান যাওয়ার আগে বিসিএলে যে ম্যাচ খেলেছিলেন, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ, ৩৩৩ মিনিট ব্যাটিং করে রান করেছিলেন ৫৮। অবশ্য রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর বিসিএলের এক রাউন্ডে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ২ রান। তবে সাইফের মাথায় এখনও বেশিক্ষণ ব্যাটিং করার ভাবনাই, “যখনই নেটে যাচ্ছি চেষ্টা করছি আউট না হওয়ার। যত বেশি খেলা যায়। সেশন ধরে ধরে যাতে খেলা যায় এটা তো মাথায় থাকেই। প্রস্তুতি ওভাবেই হচ্ছে। নতুন বল যখন খেলছি যাতে উইকেট না পড়ে- এটা যদি মাঠে প্রয়োগ করতে পারি আশা করি ভালো কিছু হবে।”

    নিজে যেমন ভাল করার চেষ্টা করছেন, দল হিসেবেও সামনের টেস্ট থেকে বাজে সময় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা আছে সাইফদের, “শেষ টেস্ট হারের পর আমরা সবাই বসেছিলাম। ওখানে আমরা সবাই নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করেছি, পরিকল্পনা করার চেষ্টা করছি কীভাবে আরও ভালো করা যায়। ছোট ছোট জিনিস থেকে আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আশা করি সামনের টেস্ট থেকে এটা শুরু হবে। ভালো একটা ফলাফল সামনে পাব আশা করি।”