• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    মোস্তাফিজ এখনই টেস্টে নয়, মাহমুদউল্লাহকে অবসর নিতে বলেননি কোচ

    মোস্তাফিজ এখনই টেস্টে নয়, মাহমুদউল্লাহকে অবসর নিতে বলেননি কোচ    

    খুব বেশি দিন হয়নি, রায়ালপিন্ডি টেস্টের আগেই কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন  মোস্তাফিজুর রহমানকে কাজ করেই টেস্ট দলে ফিরতে হবে। অথচ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিরপুর টেস্ট দলের আগেই আবার মোস্তাফিজ জাতীয় দলে। আজ রাসেল ডমিঙ্গো ব্যাখ্যা করেছেন, মোস্তাফিজের ব্যাপার  ছিল ভুল বোঝাবুঝি। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টেস্ট থেকে অবসর নিতে বলেছেন, এমন মন্তব্যও নাকচ করে দিয়েছেন ডমিঙ্গো। 

    সেই ২০১৫ সালে মোস্তাফিজের অভিষেক হয়েছিল জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৩টি মাত্র টেস্ট। নিয়েছেন ২৮ উইকেট। অথচ এই সময়ের মধ্যে ওয়ানডেতে তার ১০০ উইকেট হয়ে গেছে, টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে ৫৩ উইকেট। টেস্টে মোস্তাফিজ অটোমেটিক চয়েস নন অনেক দিন থেকেই। গত দুই বছরে মাত্র পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন। দেশের মাটিতে সর্বশেষ আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্টে একাদশে যুযোগ পাননি, ভারত সফরেও সুযোগ পাননি একটি টেস্টেও। পাকিস্তান সিরিজের আগে তার বাদ পড়ায় তাই খুব একটা চমক ছিল না। 

    তবে চমক হয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মোস্তাফিজকে আবার দলে নেওয়ায়। বাদ পড়ার পর বিসিএলের প্রথম ম্যাচে ১০৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে অবশ্য ভালো করেছেন বেশ, ৬ উইকেট নিয়েছেন দুই ইনিংস মিলে। এরপরের ম্যাচে আবার দুই ইনিংস মিলে নিয়েছে ১ উইকেট। তবে নির্বাচকদের মনে হয়েছে সেটাই জাতীয় দলে ডাকার জন্য যথেষ্ট। মোস্তাফিজকে আবার দলে নেওয়ার পর ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, ‘বিসিএলে আমার ওর বোলিং দেখেছি, কোচরা তো আর দেখেনি, তাদের দেখা সম্ভব না। তার বোলিং দেখে মনে হয়েছে তাকে নেওয়া উচিৎ।"

    তবে ডমিঙ্গোর আজকের কথার পর বোঝা গেল, নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্নতা একটু হলেও আছে। সেটা কোচ স্বীকারও করে নিলেন, ‘ আমি জানি মোস্তাফিজের বিষয়ে কিছুটা যোগাযোগ বিভ্রাট হয়েছে। আমি মনে করি না, কিছু টেকনিক্যাল কাজ করার আগে সে দলে ফেরার জন্য তৈরি, যাতে করে সে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ভেতর বল সুযোগ পায়। তাকে দলে সুযোগ করে দেওয়ার মানে বোলিং কোচের সঙ্গে তাকে আরওকিছু কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রক্রিইয়া শুরু ক রা। খেলার জন্য নয়, বরং প্রশিক্ষণ করে নিজেকে ঠিকঠাক করার জন্যই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। গিবসনের সাথে আরেকটু কাজ করা, আস্থার জায়গা আরেকটু মজবুত করা। মোস্তাফিজ এই টেস্টে খেলছে না। প্রতিদিন সে বোলিং করবে। আমি তাকে বলেছি সাদা ও লাল বল , দুই ধরনের ক্রিকেটের জন্যই সে যাতে তৈরি হয় সেটা নিশ্চিত করতে।’

     

    মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারটা অবশ্য একটু অন্যরকম। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ব্যর্থতার পরেই শোনা যাচ্ছিল, বাদ পড়বেন। কোচ ডমিঙ্গো তাকে টেস্ট বাদ দিয়ে পুরোপুরি সাদা বলে মনযোগ দিতে বলেছেন, সেই খবরও দিয়েছিল বেশ কিছু গণমাধ্যম। ডমিঙ্গো সেটা স্বীকার না করলেও মাহমুদউল্লাহর টেস্ট-ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্নটা তুলে দিয়েছেন আবারও, ‘এই মুহূর্তে সে টেস্ট দলের বাইরে। ওর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করার ভার আমি ওকেই দিয়েছি। আমি সাদা বলের ক্রিকেটে ওর বড় ভূমিকা আছে মনে করি। রিয়াদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সে টেস্ট দলে ফিরতে চায়। সে ৪৯ টেস্ট খেলেছে, বাংলাদেশের হয়ে দারুণ করেছে। এই মুহূর্তে দলে অবশ্য তার জায়গা নেই। তবে ওর যে প্রতিজ্ঞা দেখেছি দলে ফেরার সেটা ভালো একটা ব্যাপার। কাউকে খেলা বন্ধ করতে তো আমি বলতে পারি না। যে খেলোয়াড়ের এতদিন ধরে সাফল্য পেয়েছে, সে কখন খেলা শেষ করবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার আছে। আমি ওকে বেনেফিট অব ডাউট দিতে চাই।’