র্যাংকিংয়ে ২৯ ধাপ এগুলেন নাঈম, এগুলেন মুশফিক-মুমিনুলও
৪৫২ দিন পর টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে জয়োৎসব করেছে টাইগারারা। বল হাতে নাইম হাসান আর ব্যাটিংয়ে মুশফিক-মমিনুলদের দারুণ পারফরমেন্সে ভর করেই দীর্ঘদিন পর এই ফরম্যাটে জয় এসেছে। আর ব্যাট এবং বল হাতে অবদান রেখে মুশফিক-নাইমরা তাই আজ প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে নতুন সংস্করণ এগিয়েছেন বেশ কয়েক ধাপ। সবচেয়ে বড় লাফটি অবশ্য দিয়েছেন তরুণ স্পিনার নাইম হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে টেস্ট বোলিং র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা ৩৮ তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
এই টেস্টে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিমও র্যাংকিংয়ে উন্নতির দেখা পেয়েছেন। পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২০ তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। সমান পাঁচ ধাপ এগিয়ে টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক রয়েছেন ৩৯ তম স্থানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সৌরভ ছড়িয়েছেন তিনি। ১৩২ রান করে দলের রান বাড়ানোর সাথে অপর প্রান্তে থাকা মুশফিককেও দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন মমিনুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি হলেও অধিনায়ক হিসেবে এই প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।
এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া আবু জায়েদ রাহীও এগিয়েছেন র্যাংকিংয়ে। ১১ ধাপ উপরে ওঠে এখন ৪৬ তম স্থানে তিনি।
আর ভিরাট কোহলিকে টপকে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানটি আবারও নিজের করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। এই নিয়ে অষ্টমবার র্যাংকিংয়ে সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা পেলেন স্মিথ। ২০১৫ সালে প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন তিনি।
স্মিথ শীর্ষে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই দুইয়ে নেমে গেছেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ২১ রান করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতও সেই টেস্ট বাঁচাতে পারেনি। ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে তারা।