• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    রেকর্ড-বুক : মাশরাফির সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ৪ হাজার

    রেকর্ড-বুক : মাশরাফির সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ৪ হাজার    

    মাশরাফির সেঞ্চুরি

    অধিনায়ক হিসেবে শততম উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যান টিনোটেনডা মুতোমবদজির উইকেট দিয়ে এ মাইলফলক হলো তার। অধিনায়ক হিসেবে শততম উইকেট পাওয়া ৫ম বোলার হলেন মাশরাফি, ১৫৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। এছাড়া এই কীর্তি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক, পাকিস্তানের ইমরান খান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারের। শুরুর ৫ জনই পেসার, অধিনায়ক ও স্পিনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৯৫টি উইকেট বাংলাদেশের এখনকার স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির। 

    সবচেয়ে বড় জয়

    রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের জয়কে ছাড়িয়ে গেছে এটি। সে ম্যাচে মিরপুরে ৩২০ রান করেছিল বাংলাদেশ, অবশ্য সেঞ্চুরি ছিল না কারও। ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে বাংলাদেশের এটি ১৩তম জয়। অবশ্য উইকেটের হিসেবে 'পারফেক্ট' জয় নেই বাংলাদেশের, সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে তারা জিতেছে ৩ বার। 

    জিম্বাবুয়ের হারের বড় ভার

    রানের হিসেবে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় পরাজয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০১০ সালে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০০ রান তাড়া করতে গিয়ে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। সিলেটের ম্যাচটি বড় পরাজয়ের তালিকায় তাদের ১০ম। ২০১৮ সালের পর থেকে ১৫০ বা এর বেশি রানে চতুর্থবার হারলো জিম্বাবুয়ে। 

    শুরুতে শতক

    ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর আবারও কোনও বাংলাদেশ ওপেনার হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন লিটন দাস। সেবার চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ ওপেনারদের এটি ২৭তম সেঞ্চুরি, লিটনের ২য়। সবচেয়ে বেশি ১১টি সেঞ্চুরি আছে তামিমের, এরপর ৪টি করে আছে শাহরিয়ার নাফীস ও ইমরুলের। 

    মাহমুদউল্লাহর ৪ হাজার

    ৪র্থ বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৪ হাজার রান হলো মাহমুদউল্লাহর। ৬৯১৬ রান নিয়ে সবার ওপরে তামিম ইকবাল। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের রান ৬৩২৩, এরপর আছেন মুশফিকুর রহিম ৬১১৯ রান নিয়ে।

    সবার আগে ৪০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সাকিব, ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে। তামিম ৪০০০ রান পূর্ণ করেছিলেন তার পরের মাসে, ৫ মার্চ ২০১৫-তে। সবশেষ মুশফিকের ৪ হাজার পূর্ণ হয়েছিল ৯ অক্টোবর ২০১৬ সালে। 

    মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফির ইঁদুর-বিড়াল দৌড়

    এ ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ছিল ৬১টি, মাশরাফির ৬০টি। মাশরাফির প্রথম উইকেটটি এদিন এলো মাহমুদউল্লাহর হাত ধরে, পরে মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন আরেকটি ক্যাচ। মাঝে মিরাজের বলে মাশরাফি ক্যাচ নেওয়ায় দুজনের ব্যবধান এখন ২। এ দুজন ছাড়া ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ফিল্ডার হিসেবে ৫০টির বেশি ক্যাচ আছে আর দুজনের- তামিম ও সাকিব।