• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    রেকর্ড বুক : বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ৬৪০, আর যে রেকর্ড চাননি আল-আমিন

    রেকর্ড বুক : বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ৬৪০, আর যে রেকর্ড চাননি আল-আমিন    

    তামিমের ১৫৮

    বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেললেন তামিম ইকবাল, ভাঙলেন নিজের রেকর্ডই। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তামিম করেছিলেন ১৫৪ রান। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ‘ড্যাডি সেঞ্চুরি’ এ দুটিই। ১৪০-পেরুনো ইনিংস আছে দুটি- ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস- দুজনই করেছিলেন ১৪৪ রান। 

    ২০১৮ সালের পর আরেকটি সেঞ্চুরি পেলেন তামিম, ক্যারিয়ারে এটি ১২তম তার। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সেঞ্চুরিসংখ্যায় ব্যবধানটা ৩-এ নিয়ে গেলেন তামিম। সব ফরম্যাট মিলিয়েও সবচেয়ে বেশি ২২টি সেঞ্চুরি তামিমের, দুইয়ে থাকা মুশফিকের সেঞ্চুরিসংখ্যা ১৪টি। 


    সবার আগে তামিমের ৭০০০

    ৮৪ রান পেছনে থেকে এ ম্যাচে নেমেছিলেন, ১২তম সেঞ্চুরির পথে ডোনাল্ড টিরিপানোকে চার মেরে তামিম পূর্ণ করেছেন ৭ হাজার। ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁলেন তামিম। 

    ৭০০০ ক্লাবে সবচেয়ে বেশি ৯ জন আছেন ভারতের, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার আছে যথাক্রমে ৮ ও ৭ জন। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ জন আছেন এই ক্লাবে। 
     



    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোর

    একসময় এ ম্যাচটাকেও মনে হচ্ছিল একপেশে। ডোনাল্ড টিরিপানো ও টিনোটেনডা মুতোমবোদজি ভাবলেন অন্য কিছু। হঠাৎ ঝড় তুললেন সিলেটে, জিম্বাবুয়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত থামলো ৪ রানের দূরত্বে। তবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সমন্বিত স্কোর গিয়ে দাঁড়ালো ৬৪০ রানে, যা দুই দলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ। এ ম্যাচ ছাড়িয়ে গেছে ২০০৯ সালের বুলাওয়ের সেই ‘রেকর্ড’ দুই ইনিংসের ম্যাচকে। যেদিন সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪ রানের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন চার্লস কভেন্ট্রি। সেদিনও তামিম গড়েছিলেন তখনকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড, করেছিলেন ১৫৪। জিম্বাবুয়ে হেরেছিল সেদিনও। 

    যে রেকর্ড চাননি আল-আমিন

    শেষ ওভারে ২০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে মাঝে টানা ২ ছয় খেয়ে শঙ্কা জাগিয়েছিলেন আল-আমিন হোসেন। শেষ পর্যন্ত লাইন পার করিয়েছেন বাংলাদেশকে, তবে রেকর্ডের হাত থেকে বাঁচেননি। ১০ ওভারে এই পেসার গুণেছেন ৮৫ রান, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের লড়াইয়ে যা সবচেয়ে খরুচে। তিনি ‘মুক্তি’ দিয়েছেন মাহবুবুল আলমকে, ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে এই পেসার দিয়েছিলেন ৮৩ রান। 

    সব মিলিয়ে এক ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান খরচের দুটি রেকর্ডই শফিউল ইসলামের, ২০১০ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৭ রানের আগে সে বছরই ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি দিয়েছিলেন ৯৫ রান। 

     


    মুশফিকের জয়ের সেঞ্চুরি

    সিলেটের ম্যাচটি মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারে শততম ওয়ানডে জয়ের। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই অভিজ্ঞতা হলো তার। ২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই হারারেতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন মুশফিক, সেবার অবশ্য ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি। বাংলাদেশের জয়ের অংশীদারীত্বে মুশফিকের পরে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা (৯৬), সাকিব আল হাসান (৯৪), তামিম ইকবাল (৮৭) ও মাহমুদউল্লাহ (৮৪)।

    সব মিলিয়ে রেকর্ডটা সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের, ক্যারিয়ারে ২৬২টি ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি (আইসিসি একাদশসহ)। এরপর শীর্ষ পাঁচে আছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে (২৪১, এশিয়া একাদশসহ), ভারতের শচীন টেন্ডুলকার (২৩৪), শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া (২৩৩, এশিয়া একাদশসহ) ও পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (২১৮, এশিয়া একাদশসহ)।