তামিম : জানতাম বড় কিছু আসবে, টিম ম্যানজেমেন্টকে ধন্যবাদ আস্থা রাখার জন্য
সবচেয়ে বড় অপেক্ষাটা ছিল সম্ভবত তামিম ইকবালের নিজেরই। একটা বড় স্কোরের খোঁজে ছিলেন তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই, অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, ওয়ানডেতে সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অবশেষে তিন অঙ্কের অপেক্ষা ঘুচল তার, সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
শুধু অপেক্ষা যে ঘুচল তা নয়, তামিম এদিন নিজের রেকর্ডই ভাঙলেন আবার। গড়লেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের নতুন রেকর্ড- ১৫৮। এমন ইনিংসের পর টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন এই ওপেনার। বলছেন, তার ওপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
ম্যাচের আগেরদিনও ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি বলেছিলেন, শুরুতে একটি-দুটি বাউন্ডারি বদলে দিতে পারে তামিমের গতিপথ। এদিন শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক, ফিফটি করেছিলেন মাত্র ৪২ বলে। শুরু থেকেই চড়াও হয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান পেসারদের ওপর, আগবাড়িয়ে খেলেছেন ড্রাইভ।
ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে গেছেন ৬৩ বলে, এরপর দেড়শ পূর্ণ হয়েছে তার মোট ১৩২ বলে- বাংলাদেশের হয়ে দুটি ড্যাডি সেঞ্চুরিই এখন তামিমের। শেষ পর্যন্ত তামিম থেমেছেন ২০টি চার ও ৩টি ছয় মেরে।
তামিম বলছেন, তিনি জানতেন বড় কিছু আসছে তার জন্য, “টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা সবসময়ই আমার ওপর আস্থা রেখেছে। টেস্ট ম্যাচ বা নেটে আমি ভাল ব্যাটিং করছিলাম, এবং জানতাম বড় কিছু আসছে। একটু উত্থান-পতন গেছে, তবে সব মিলিয়ে এটা দারুণ ব্যাটিং উইকেট ছিল।”
তামিমকে এদিন বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস, তবে এরপর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দুটি জুটিতে তিনি যোগ করেছেন যথাক্রমে ৮৭ ও ১০৬ রান। লিটন তার শটে ব্যাক-আপ করতে গিয়ে রান-আউট হয়েছেন, শান্ত ফিরেছেন ভুল বুঝাবুঝিতে। তামিম কৃতিত্ব দিচ্ছেন সবাইকেই, “মুশি (মুশফিকুর রহিম) একদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছে। তরুণরা ভাল করেছে- লিটন প্রথম ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করেছে। শান্তর ব্যাটিং ভাল দেখাচ্ছে, সে শীঘ্রই বড় ইনিংস পাবে। রিয়াদ ভাল করেছে। আমরা ভাল ব্যাটিং করছি, এটা দারুণ। এক পর্যায়ে ম্যাচ তাদের নাগালে চলে গিয়েছিল, আমরা সেখান থেকে ফিরে এসেছি। এটা দলীয় প্রচেষ্টা।”
আর তামিমকে ‘স্পেশাল’ ক্রিকেটার বলছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, “সে সবসময়ই আমাদের জন্য স্পেশাল। ভাল দিক হচ্ছে, রান করার পর সে খুশি। অন্যরাও তার আশেপাশে ভাল ব্যাটিং করেছে, এটাও দারুণ।”
আর একসময় সহজ মনে হওয়া ম্যাচটা এমন পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাশরাফির ব্যাখ্যা এমন, “আমার যেটা মনে হয়, জয় তো জয়ই। আমরা স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। এই জয়টা নিয়েই আমরা পরের ম্যাচে যাব।
“এই ম্যাচের পর সবাই বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, তবে (এটা ব্যাটিংয়ের জন্য) দারুণ উইকেট ছিল, একটু শিশিরও ছিল। বোলারদের জন্য কঠিন ছিল। ‘ক্লোজ’ ম্যাচ জেতা সবসময়ই আপনাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।”