• জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    মুশফিককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলের জন্য তার অবদানের কথা ভাবতে বললেন মাশরাফি

    মুশফিককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলের জন্য তার অবদানের কথা ভাবতে বললেন মাশরাফি    

    মুশফিকুর রহিম কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে খেলছেন না, সেটি কাল পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার জন্য এই ব্যাপারটা যে একরকম ‘শাস্তিই’, সেটাও বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। আজ সিলেটে শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজাও বললেন, মুশফিককে নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদানটা মনে রাখা উচিত।

    পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে মুশফিক আর বিসিবি এখন একরকম মুখোমুখি। বিসিবি সভাপতি প্রচ্ছন্ন হুমকি এর মধ্যেই দিয়ে রেখেছেন, পাকিস্তান সফরে মুশফিকের না যাওয়ার ব্যাপারটা ভালোভাবে দেখছেন না তারা। মুশফিকও তার অবস্থানে অনড়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে বসিয়ে দেওয়া হতে পারে, এমন একটা আভাসও শোনা যাচ্ছিল। সেটা হয়নি যদিও। তবে শেষ ওয়ানডেতে মুশফিককে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এ নিয়ে মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল আজ। কূটনৈতিক উত্তর দিলেও মুশফিককে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি যে মাশরাফির পছন্দ হচ্ছে না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন, ‘এগুলা কিন্তু ছোটোখাটো টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত, যেগুলো অধিনায়কও নিতে পারে না। আমি নিজে মনে করি মুশফিক এমন একজন খেলোয়াড় কখনো ব্যাড প্যাচ গেলে চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশের জন্য ওর অবদান, বাংলাদেশের হয়ে সে কত রান করেছে। আপনারা যারা ঘাঁটাঘাঁটি করেন তারা জানেন মুশফিক এখন চারে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। এগুলো মাথায় রাখতে হবে। যে ছেলেটা পারফর্ম করে আসছে, ১২-১৩ বছর খেলেছে... আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সে যেন মানসিক চাপে না থাকে। কিন্তু ওর সাথে যদি নরমভাবে আলোচনা করা হয়, ওকে যদি বোঝানো হয় যে আমাদের প্রক্রিয়া তোমার চিন্তা কী, তখন যদি দুই পক্ষ একটা জায়গায় আসতে পারে তাহলে জিনিসটা আলোচনার বিষয় না। সিনিয়র হিসেবে মুশফিকের সাথে আলাপ করা যেন ও চাঙা থাকে, বোর্ডেরও প্ল্যান ঠিক থাকে...  সে জায়গাটায় পৌঁছাতে পারলে আমি মনে করি ঠিক আছে।’

    মাশরাফি বার বারই বললেন, মুশফিক নয়, যে কোনো সিদ্ধান্তই দীর্ঘ মেয়াদের কথা মাথায় রেখে ভাবা উচিত, ‘একটা কোচ যখন নতুন আছে সে তার মতো হ্যাণ্ডল করে। মুশফিককে নিয়ে জোকিংয়ের যদি সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে আমাদের কি অ্যাসেট আমরা নাড়াচাড়া করছি সেটা আমরা ভাবি কিনা। ও আর কয়দিন খেলবে? পাঁচ –ছয় বছর। তার কাছ থেকে সেরাটা নিয়ে আসার জন্য ও সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার যে প্রক্রিয়াটা আছে সেটাই পেশাদারিত্ব। এখানে খেলোয়াড়, বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট সবার দায়িত্ব আছে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। দেশটা আমাদের।  এখানে যদি কেউ এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চায় যেটা দলের জন্য ভালো হবে তাহলে তাকে সমর্থন দেওয়া উচিত। কিন্তু যদি এমন হয় যে সেখানে সন্দেহ আছে তাহলে তাকে থাময়ে দেওয়া উচিত।’