• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মুখে প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগা

    বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মুখে প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগা    

    করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন বিপুল ধসের দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো ফুটবলও এখন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসেব কষছে। প্রিমিয়ার লিগ এবং লা লিগা কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যদি এই মৌসুম শেষ করা না যায় এবং বর্তমান অচলাবস্থা আরও ঘনীভূত হয়, তাহলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে ১ বিলিয়ন ইউরো।

    প্রিমিয়ার লিগের দুটি ক্লাব নন-প্লেয়িং স্টাফদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে সরকারের ‘জব রিটেনশন স্কিমে’র আওতায় সরকারি কোষাগার থেকে তাদের সিংহভাগ বেতনের ব্যবস্থা করেছে। আর প্রিমিয়ার লিগের ধনী ক্লাবগুলোর এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে দেশটির ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি জুলিয়ান নাইট তাদের তিরস্কার করে বলেছেন, প্রিমিয়ার লিগ কঠিন এই সময়ে ‘নৈতিক সংকট’-এর মাঝে রয়েছে। নাইটের এমন মন্তব্যের জবাব দিতেই তার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন প্রিমিয়ার লিগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মাস্টার্স।

    সেই চিঠিতে প্রিমিয়ার লিগের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে ক্লাবগুলোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে মাস্টার্স বলেন, “যদি আমরা ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ করতে না পারি এবং এই মহামারীর প্রকোপ যদি আরও বাড়ে, তাহলে আমরা প্রায় ১ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির মুখে পড়ব। তাই পুরো অর্থনীতির জন্য ঘোষিত সরকারের স্কিমের সুবিধা কয়েকটি ক্লাব নিতেই পারে। অবশ্য ক্লাবগুলো যথেষ্ট বিচক্ষণতার সাথে এই স্কিম ব্যবহার করা বা না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এছাড়া আর্থিক দিক দিয়ে একেকটি ক্লাবের অবস্থা একেক রকম, তাই স্কিম নেওয়ায় দোষের কিছু নেই।”


     আরও পড়ুন

     করোনায় কেন বেতন কাটতে হচ্ছে ধনী ফুটবল ক্লাবগুলোর?


    চিঠিতে আয়ের কোন কোন ক্ষেত্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ক্লাবগুলো অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে  তাও সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন মাস্টার্স। এক্ষেত্রে ম্যাচ টিকিট, ব্রডকাস্টিং রাইটস, ম্যাচডে আয় এবং স্পনসরশিপ চুক্তিগুলো থেকে অর্থাগম বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে আলোকপাত করেছেন তিনি।

    এদিকে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাসও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে একই সুরে সতর্কবাণী দিয়েছেন। এই মৌসুম আর শুরু না হলে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি, যদিও আদতে এমন অবস্থা হবেই এমনটা মনে করেন না তেবাস।

    মঙ্গলবার সেই ভিডিও কনফারেন্সে করোনার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন তেবাস, “যদি লিগ পুনরায় শুরু না হয়, সেক্ষেত্রে স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হবে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে শুধু লিগের আয়ই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে যে আয় হত সেটাকেও যুক্ত করা হয়েছে। যদি মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো ফাঁকা মাঠে আয়োজন করতে হয়, সেক্ষেত্রে ৩০০ মিলিয়ন এবং যদি ফ্যানদের সামনে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হবে আমাদের।” তেবাস আর্থিক ক্ষতি যতটা কমিয়ে আনা যায় সেদিকে মনোযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।