• ক্রিকেটারদের আলাপ
  • " />

     

    ২০১৫ বিশ্বকাপে 'বাড়তি জিদ' কাজ করেছিল রুবেলের

    ২০১৫ বিশ্বকাপে 'বাড়তি জিদ' কাজ করেছিল রুবেলের    

    রুবেল হোসেন এক হাত তুলে উড়তে চাচ্ছেন, তার পেছনে সবাই। ২০১৫ বিশ্বকাপে জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ছুটছেন রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম আইকনিক এক ছবি সেটি- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেডের সে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ গিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষের আলোটা কেড়ে নিয়েছিলেন রুবেল, অথচ বিশ্বকাপের আগেও যিনি ডুবতে ধরেছিলেন আঁধারে। 

    বিশ্বকাপের আগে এমনকি কারাবাসও করতে হয়েছিল এই পেসারকে। সেখান থেকে ফিরে বিশ্বকাপে গিয়ে ‘ভাল করার বাড়তি জিদ’ কাজ করেছিল তার ভেতর। অ্যাডিলেডে সেদিন শুরুতে উইকেট পাওয়াও তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। 

    তামিম ইকবালের ফেসবুক শো-তে এসে রুবেল ফিরে তাকিয়েছেন ২০১৫ সালের দিকে, “আমি জানি, ২০১৫ সালে আমার জীবনের বড় একটা ট্র্যাজেডি গেছে। চিন্তিত ছিলাম- স্বপ্নের বিশ্বকাপটা খেলতে পারব না। আত্মবিশ্বাস ছিল, কারণ বিশ্বকাপের আগে ভাল খেলছিলাম। তারপরের ওই ঘটনা আমার জীবনটা বদলে দিয়েছে, হয়তো আমারই সমস্যা ছিল। আমার একটা ভুল ছিল। চিন্তিত ছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছি।” 

    “বিশ্বকাপে যখন যাই, চাইতাম যে কিছু একটা করতে। আমি প্রতিটা ম্যাচের আগেই ভাবতাম- যাতে এমন একটা পারফরম্যান্স করি যেটা চোখে লেগে থাকবে, মানুষ মনে রাখবে। তো তারপর তো চলে আসলো অ্যাডিলেড, আমার জীবনের জন্য স্মরণীয়। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি ভাল করার। 

    “অন্যরকমের একটা জিদ কাজ করছিল। শক্তি কাজ করছিল, যে না আমাকে পারফর্ম করতেই হবে। শুরুর দিকে যখন পারফর্ম করছিলাম, উইকেট পাচ্ছিলাম, আমার মনে হচ্ছিল, আজ আমার দিন, আমার পারফর্ম করতে হবে।”

    শেষ ২ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের, নন-স্ট্রাইকে ছিলেন ৪০ বলে ৪২ রান করা ক্রিস ওকস। এরপর সাকিবের একটা কথায় বাড়তি প্রেরণা পেয়েছিলেন রুবেল, “যখন অধিনায়ক বলটা দিয়েছে, সাকিব ভাইয়ের একটা কথা খুবই শক্তি জুগিয়েছিল। ‘যে রুবেল, সবাই তাকিয়ে আছে, তুই দেশের জন্য হলেও কিছু কর, তোর নিজের জন্য হলেও কিছু কর’। নিজের ভেতর প্রেরণা জুগিয়েছে। শরীরের ভেতর অন্যকিছু একটা কাজ করেছে তখন।”

    ৩ বলের ব্যবধানে প্রথমে স্টুয়ার্ট ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে রুবেল এরপর উল্লাসে ভাসেন।  

    “এর পেছনে কিছু মানুষ আছে, যাদের কথা না বললেই নয়। নাজমুল হাসান পাপন, আমাদের বিসিবি প্রেসিডেন্ট। শেখ সোহেল ভাই। আকরাম খান- হয়তো আমার পরিবারের রক্তের কেউ না, তবে দোয়া করি আমার পরিবারের সবাই তার জন্য- আল্লাহ তার পরিবারকে ভাল রাখুক। বাগেরহাটের মানুষকেও ধন্যবাদ দিয়েছি”, বলেছেন রুবেল।