• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ', এবার বললো অস্ট্রেলিয়া

    'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ', এবার বললো অস্ট্রেলিয়া    

    আইসিসি বারবার জোর দিয়ে বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি ‘অত্যন্ত ঝুঁকি’র মাঝে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস। 

    গতকাল বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও আইসিসি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সেটিকে পিছিয়ে দিয়েছে। এদিকে একই দিনে আইসিসির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দিয়ে ২০২১ সালের একই সময়ে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস।
     


    আইসিসির সূচি অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকেই বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতে পারে গুঞ্জন উঠেছে। অবশ্য আইসিসি বরাবরই বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী রবার্টস এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিশ্বকাপ যথাসময়ে আয়োজনের বিষয়টি ঝুঁকির মাঝে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, “বিশ্বকাপের সময় নির্ধারণ করাটা আসলে আইসিসির ব্যাপার। আমরা শুরুতে আশাবাদী ছিলাম যে, অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা সম্ভব হবে। তবে এই বিষয়টি এখন অনেকটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।”

    যদি চূড়ান্তভাবে বিশ্বকাপ পিছিয়ে যায় সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টটি পরবর্তীতে কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেটির বিষয়েও সাক্ষাৎকারে নিজের মত তুলে ধরেছেন রবার্টস, “যদি টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যায়, তাহলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং অক্টোবর-নভেম্বরে সেটি আয়োজন করা যেতে পারে।”

    তবে বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন কারণে আইসিসির জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, “টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে আইসিসির আগামী বেশ কয়েক বছরের সূচি এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। প্রথমে তাদের এবারের আসর কবে আয়োজন করা হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। এরপর আগামী বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতে হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া নারী ক্রিকেটের বিষয়টিও রয়েছে। আগামী বছর নিউজিল্যান্ডের নারীদের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। তাই আইসিসিকে অনেকগুলো বিষয় ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”