• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    টেস্টে প্রতি ৪৫-৫০ ওভার পর বল বদলানোর প্রস্তাব টেন্ডুলকারের

    টেস্টে প্রতি ৪৫-৫০ ওভার পর বল বদলানোর প্রস্তাব টেন্ডুলকারের    

    স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি বলে থুতু-লালা ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব অনুমোদনও হয়েছে। তবে সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের অনেকেই আইনটির পেছনের যুক্তি বুঝলেও এটি প্রয়োগ করা আদৌ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দিহান। আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পাওয়ায় এখন নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায় তা ভাবতে বসেছেন তারা। এক্ষেত্রে শচীন টেন্ডুলকারের পরামর্শ, টেস্টে প্রতি ৪৫-৫০ ওভার পরপর বল বদলানোর। এমনটা করা হলে বোলারদের জন্য নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।

    সাবেক অজি পেসার ব্রেট লি-র সঙ্গে এক ভার্চুয়াল চ্যাটে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ লম্বা আলাপ করেছেন টেন্ডুলকার। তার মতে নতুন আইনে টেস্ট ক্রিকেট হবে ওয়ানডের ধাঁচে, “টেস্ট ক্রিকেটে আপনি যদি থুতু-লালা ব্যবহার না করতে পারেন সেক্ষেত্রে সেটি অনেকটা দিবারাত্রির ওয়ানডে ম্যাচের মতো মনে হবে। কারণ ঘাম দিয়ে কাজ চালানো যায় ঠিক, তবে সব কন্ডিশনে আপনি নাও ঘামতে পারেন। দিবারাত্রির ওয়ানডে ম্যাচে সাধারণত যেটা হয় আরকি, দিনের বেলা শুষ্ক আবহাওয়ায় বোলিং করা সহজ হয়, কিন্তু রাতের ইনিংসে বোলিংয়ের সময় শিশিরের সমস্যা দেখা দেয়।”


    টেন্ডুলকারের সঙ্গে একমত পোষণ করে লিও আইনের প্রয়োগের আইসিসিকে কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার অবশ্য ওয়াক্স ব্যবহারের পরামর্শও দিচ্ছেন, “থুতু-লালার বদলে সবার মত নিয়ে নতুন কিছু একটা বের করা যায়, যেটা দিয়ে বোলাররা কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আমার কাছে ওয়াক্স ব্যবহারের প্রস্তাবটি ভালো মনে হয়েছে। এছাড়া নতুন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইসিসিকে কিছুটা রয়েসয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। কোনও খেলোয়াড় আইন ভঙ্গ করলে তাকে অন্তত দুই-তিনবার সতর্ক করা হোক। কারণ নতুন নিয়ম মানতে খেলোয়াড়দের কষ্ট হবে।”

    ঝামেলা এড়াতে তাই টেন্ডুলকারের পরামর্শ প্রতি ৪০-৪৫ ওভার পরপর বল বদলানোর, “টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের মান ভালো না হয়ে খেলাও ভালো হয় না। কারণ তখন ব্যাটসম্যান বুঝে যান যে, এই উইকেটে আমি বাজে শট না খেললে আমাকে কেউ আউট করতে পারবে না। বোলাররাও বুঝে যান যে এখানে আমাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। এরকম অবস্থায় খেলার মান উন্নত করতে ৪৫-৫০ ওভার পরপর নতুন বল ব্যবহার করা যায়। ওয়ানডেতে কিন্তু এমনটা এরই মধ্যে করা হচ্ছে, ৫০ ওভারের ইনিংসে দুটি বল ব্যবহার করা হচ্ছে এতে করে একটি বলে কার্যত মাত্র ২৫ ওভার খেলা হচ্ছে।”