• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রাশফোর্ডের প্রতিবাদের মুখে নতি স্বীকার ব্রিটিশ সরকারের, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি শিশুদের

    রাশফোর্ডের প্রতিবাদের মুখে নতি স্বীকার ব্রিটিশ সরকারের, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি শিশুদের    

    শুরুতে সরকার উড়িয়ে দিয়েছিল তার দাবি। কেউ কেউ বলেছিলেন এটা ‘অবাস্তব’। মার্কাস রাশফোর্ড দমে যাননি। ‘মেক দ্য ইউ টার্ন’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল প্রতিবাদ করে গেছেন, সরব হয়েছেন গণমাধ্যমে। যতদিন একটা শিশু অভুক্ত থাকবে, ততদিন নিজের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে ব্রিটিশ সরকারের, রাশফোর্ডের দাবির পর তারা গরম ছুটিতেও শিশুদের জন্য খাবার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেজন্য বরিস জনসনের সরকারের ব্যয় হবে অতিরিক্ত ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড।

    ইংল্যান্ডে সাধারণত কর্মজীবী বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুলেই রেখেই কাজ করতে চান। স্কুলে ছেলেমেয়েরা অনেকটা সময় থাকে, দুপুরের খাবারটা সেখানেই খায়। আর এই খাবারটা আসে স্কুলের যার মানে সরকারের তরফ থেকেই। রাশফোর্ড নিজেও এভাবে বড় হয়েছেন। তার মা ছিলেন চাকুরে, ছেলেকে স্কুলে রেখে এরপর সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতেন। কিন্তু এই এক বেলা খাবার জোগানোই কঠিন হত তার জন্য। ইংল্যান্ডের অসংখ্য নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোক তাই স্কুলের খাবারের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে।

    করোনা ভাইরাসের শুরুতে এই স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিপাকে পড়েছিলেন অভিভাবকেরা। দুপুর বেলা এই খাবারের খরচ কোত্থেকে আসবে? তার ওপর অনেকেই হয়ে পড়েছিলেন চাকুরিহীন। সে সময় সরকার ১৫ পাউন্ড করে প্রায় ১৩ লাখ শিশুর জন্য দৈনিক খাবারের ভাউচার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তখন অভিভাবকদের জন্য তা স্বস্তি হিসেবেই এসেছিল।

    কিন্তু সামনে গরমের ছুটির সময় এই ভাউচার চালু না রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। যেটা বিনা মেঘে বজ্র্বপাতের মতো হয়ে এসেছে অভিভাবকদের জন্য। এরকম হলে প্রায় ২০ লাখ শিশুকে না খেয়ে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে চুপ করতে থাকতে পারেননি রাশফোর্ড।

    খোলা চিঠিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু করেছেন তুমুল প্রচারণা। ইংল্যান্ডের অনেকে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও যোগ দিয়েছেন তার সঙ্গে, সেই আন্দোলন পরিণত হয়েছে গণমানুষের দাবিতে। শেষ পর্যন্ত রাশফোর্ডের দাবির মুখে পিছু হটেছে ব্রিটিশ সরকার।

    করোনার সময় এর মধ্যেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করেছেন রাশফোর্ড। বধির শিশুদের জন্য ইশারার ভাষা শিখেছেন। এবার নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়।