• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্যস্ততাই মায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে গার্দিওলাকে

    ব্যস্ততাই মায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে গার্দিওলাকে    

    করোনা ভাইরাস পৃথিবী জুড়ে কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ। আপনার, আমার কাছের অনেকেই চলে গেছেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে। আরও অনেকের মতো পেপ গার্দিওলাকেও সইতে হয়েছে প্রিয়জন হারানোর দুঃখ। মাকে হারিয়েছেন এপ্রিলের শুরুতে। আজ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে গার্দিওলা বলেছেন, কাজের মধ্যেই মাকে হারানোর শোক ভুলে থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি।

    করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকে ছোবলটা বেশি গিয়েছিল স্পেনের ওপর। তখনই গার্দিওলার ৮২ বছর বয়সী মা প্রাণ হারান। সে সময় গার্দিওলা স্পেনেই ছিলেন। এরপর কেটে গেছে সময়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফিরে এসেছেন ইংল্যান্ডে। কঠিন ওই সময়ের কথা বলতে গিয়ে হয়ে পড়েছেন কিছুটা আবেগাপ্লুত, ‘যাদের আমরা হারিয়েছি তারা সবাই যার যার পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই পরিবারকে দরকার আমাদের, শক্ত থাকার জন্য, একসঙ্গে থাকার জন্য। আরও অনেকের মতো আমিও আপনজন হারিয়েছি, এই সময়টা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য।’

    তবে স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষকে ফিরতে হয় দৈনন্দিন ব্যস্ততায়। গার্দিওলাকেও ফিরতে হয়েছে, ইংল্যান্ডে ফিরে কাজে মন দিয়েছেন। সেটা শোক ভুলে থাকতে সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছেন, ‘একটা সময় তো আমাদের স্বাভাবিক হতেই হবে। আমাকেও তাই হয়েছে। আমি এখন কাজে ফিরতে বলব খুশিই।’

    গার্দিওলা কাজে ফিরলেও দল হিসেবে সিটি কতটা তৈরি সেটি নিয়ে সংশয় আছে তার। স্পেন বা জার্মানির মতো ইংল্যান্ডে একসঙ্গে সেভাবে অনুশীলন করানোর সুযোগও পায়নি তার দল। গার্দিওলাকে অবশ্য সেটা মেনে নিতে হচ্ছে, ‘এই কয়েক সপ্তাহ নিয়ে আমি একটু বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম।  স্পেন বা জার্মানির মতো হয়নি এখানে। কিন্তু কিছু করার নেই, এটাই মেনে নিতে হবে আমাদের। সবাই কাজে ফিরছে, সবকিছু আবার শুরু হচ্ছে। আমাদেরও যার যার কাজ শুরু করতে হবে।’

    ‘একটা ম্যাচ হয়তো খেলা যায়, কিন্তু তিন দিন পর আরেকটি ম্যাচ বা চার দিন পর যখন আরেকটি ম্যাচ খেলার কথা আসে, তখন আমি বলব আমরা তৈরি নই। এটা শুধু ম্যান সিটি নয়, সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু এটা মেনে নিয়ে আমাদের সব খেলোয়াড়কেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। যাদের শারীরিকভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি তারা বেশি ভালো করবে।’