• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আর্সেনালের হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন ডেভিড লুইজ

    আর্সেনালের হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন ডেভিড লুইজ    

    ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটি দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে ডেভিড লুইজের। দুর্দান্ত সিটির কাছে ৩-০ গোলে আর্সেনালের হারের পেছনে তার দায়টাই যে সবচেয়ে বেশি। ম্যাচের পরে নিজের মারাত্মক দুটি ভুলের জন্য কোনও সাফাই দিলেন না, দলের হারের দায় সরাসরি নিজের কাঁধে নিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

    ম্যাচের ২৪ মিনিটে সেন্টার ব্যাক পাবলো গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর বদলি হিসেবে নেমেছিলেন লুইজ। ম্যাচে তখনও আর্সেনাল ভালোভাবেই টিকে ছিল। ইতিহাদে গোলশূন্য এগিয়ে যাচ্ছিল খেলা। তবে লুইজের আগমনের পরেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। আক্রমণে গতি খুঁজে পায় সিটিজেনরা। একের পর এক দুর্দান্ত সেভ দিয়ে তখন গানারদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছেন গোলরক্ষক বার্নড লেনো। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লুইজের ভুলের পর আর দলকে বাঁচাতে পারেননি লেনো। রহিম স্টার্লিংয়ের উদ্দেশ্যে কেভিন ডি ব্রুইনের পাস লুইজের একেবারে পাশ দিয়ে চলে গেছে, বলের বাউন্সটা বুঝতেই পারেননি। 


    দ্বিতীয়ার্ধে বিপদ আরও বাড়ালেন লুইজ, বক্সের ভেতর অযথা ফাউল করে বসলেন রিয়াদ মাহরেজকে। সেই ফাউলের কারণে দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটেই তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন রেফারি অ্যান্থনি টেইলর। আর সেই স্পট কিক থেকে গোল করে ডি ব্রুইন কার্যত আর্সেনালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন।

    আর তাই ম্যাচ শেষে দলের হারের জন্য অকপটে নিজের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন এই ডিফেন্ডার, “এটা আমার ভুল। দল ভালো খেলেছে, ১০ জন নিয়েও লড়াই করেছে। কোচ এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা সবাই নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করেছেন।”

    এরপরই ক্লাবের সঙ্গে নিজের চুক্তির অবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন লুইজ। তবে চুক্তির অবস্থার কারণে পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে মত তার, “গত দুই মাসে চুক্তি নিয়ে আমার একটি ভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ ছিল, আমি সেটা করিনি। এখানে (আর্সেনালে) আমি আর ১৪ দিন আছি। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও আগেই ভাবা উচিৎ ছিল। তবে চুক্তির অবস্থাকে আমি কোনও অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করব না। আমি এখানে খেলার বিষয়টি উপভোগ করছি। আমি পরিশ্রম করে যাব।”