• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ৯ হাজার ম্যাচে যা ঘটেনি, সেটাই ঘটল শেফিল্ড-ভিলা ম্যাচে

    ৯ হাজার ম্যাচে যা ঘটেনি, সেটাই ঘটল শেফিল্ড-ভিলা ম্যাচে    

    ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নিয়ে বিতর্কের কোনও শেষ নেই। ভিএআরের সাহায্যে অফসাইড এবং লাল কার্ড দেওয়া নিয়ে বিতর্ক লেগেই থাকে। তবে গোল লাইন টেকনোলজি নিয়ে তেমন বড় ধরনের কোনও বিতর্ক দেখা যায়নি এতোদিন। বল গোলের দাগ অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেফারির ঘড়িতে গোলে সঙ্কেত পৌঁছে যায়। তাই এই প্রযুক্তি এতোদিন বিতর্কের ঊর্ধ্বেই ছিল। তবে গতকাল বুধবার প্রিমিয়ার লিগের ফেরার প্রথম ম্যাচ ঘটল অভূতপূর্ব এক ঘটনা। বল গোল লাইন অতিক্রম করার পরও সংকেত পৌঁছেনি রেফারির ঘড়িতে। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেলেও নিয়মানুযায়ী গোলের সংকেত না পৌঁছাতে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে গোল বঞ্চিত থাকতে হয় শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। শেষ পর্যন্ত দুই দলের কেউই আর গোল করতে না পারায় ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়। করোনা-বিরতির পর প্রিমিয়ার লিগের শুরুটাও হলো বিতর্ক দিয়ে।


    এদিকে এই ঘটনার পর গোল লাইন প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হক-আই আনুষ্ঠানিকভাবে ভুল স্বীকার করে প্রিমিয়ার লিগ, শেফিল্ড ইউনাইটেড এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। বল গোল লাইন অতিক্রম করলেও গোল লাইন ব্যবহৃত ক্যামেরাগুলোর ভিউ ব্লকড থাকায় সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা, “গোলের দিকে মুখ করে স্ট্যান্ডে রাখা সাতটি ক্যামেরার সবগুলোর ভিউ গোলরক্ষক, ডিফেন্ডার এবং গোলপোস্টের কারণে ব্লক হয়ে গিয়েছিল। হক-আই গোল লাইন টেকনোলজি প্রয়োগ শুরুর পর থেকে প্রায় ৯ হাজার ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, তবে এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনোই ঘটেনি।” তবে পুরো ম্যাচজুড়ে এই প্রযুক্তি সচল ছিল বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

    এদিকে ম্যাচের পর গোল না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন শেফিল্ড ম্যানেজার ক্রিস ওয়াইল্ডার, “আমি হাসব না কাঁদব বুঝে উঠতে পারছি না। ঐ সময় দুই দলের খেলোয়াড় এবং স্টাফসহ উপস্থিত সবাই গোলের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন।”