পিছিয়ে যাচ্ছে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপ, সম্ভাব্য সূচি 'ফেব্রুয়ারি-মার্চ' ?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি আইসিসি। তবে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। পিসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মানছেন, ঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাবনা খুব কম।
করোনা ভাইরাসের ধাক্কার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনও বন্ধ। সামনের মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর দিয়ে তা আবার শুরু হওয়ার কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অবশ্য এখনো মাস চারেকের মতো বাকি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৬টি দল মিলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা কমই দেখছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি, ‘এই বছর যদি টুর্নামেন্ট হয়ও তাহলে তারা হয়তো সেটা বায়ো-বাবলের মধ্যে করার চেষ্টা করবে। পাকিস্তান যেভাবে ইংল্যান্ডে যাচ্ছে। দলগুলো যাবে, হোটেলে থাকবে, মাঠে কোনো দর্শক থাকবে না। এক দুইটা দলের জন্য এটা হতে পারে তবে ১৬টা দলের জন্য এটা অসম্ভব। আমার মনে হয় না এখন পর্যন্ত এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব।’ মানি নিজেও আইসিসির সভাপতি ছিলেন আগে, এই মুহূর্তে আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বিষয়ক কমিটিতেও আছেন তিনি। আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খরচের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই কমিটিরই।
এবারের টুর্নামেন্টের যে আয়োজক, সেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস এই আয়োজন নিয়ে সন্দিহান, ‘এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই টুর্নামেন্ট স্থগিত বা বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমার মনে হয় এটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। টুর্নামেন্টের অংশ নেওয়া অনেক দেশ যেখানে করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেখানে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত বলা ঠিক হবে না। এখন আমাদের আইসিসির সাথে বসে দেখতে হবে কী কী বিকল্প আছে।’ অস্ট্রেলিয়া অবশ্য করোনা ভাইরাসের ধাক্কা সামলে উঠেছে, আর প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডে এর মধ্যে মাঠে দর্শকও ফিরতে শুরু করেছে। তবে বৈশ্বিক আয়োজনটা এই মুহূর্তে প্রায় অসম্ভব, সেটি মেনে নিচ্ছেন এডিংস।
তাহলে কি এই টুর্নামেন্ট পরের বছর পিছিয়ে যাবে? পিসিবি চেয়ারম্যান মানি সেরকম সম্ভাবনাই দেখছেন, ‘আমার মনে হয় এবারের টুর্নামেন্ট ২০২১ সালে হতে পারে। আইসিসির সূচিতে তো ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে টুর্নামেন্ট আছে। মাঝের ওই এক বছরের ফাঁকা সময়টা আমরা চাইলে কাজে লাগাতে পারি।’
এডিংস প্রস্তাব করেছেন, যেন এবারের আসরটা পরের বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২১ সালে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে, সেটি তখন পিছিয়ে যেতে পারে এক বছর। সেক্ষেত্রে ভারতকে ছয় মাসের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হবে। বিসিসিআই এখনো এ নিয়ে কিছু বলেনি, তবে তারা এখন পর্যন্ত এমন কিছু করতে চাইছে না বলে জানাচ্ছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
আরেকটি বিকল্প হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চার মাস পিছিয়ে ফেব্রুইয়ারি-মার্চে নিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে মেয়েদের বিশ্বকাপটা জানুয়ারিতে নিয়ে আসতে হবে আইসিসিকে। এখন পর্যন্ত এই বিকল্পটার কথাই ভাবছে আইসিসি, জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।