আবারও রামোসের গোল, শিরোপার আরও কাছে রিয়াল
ফুলটাইম
অ্যাথলেটিক বিলবাও ০-১ রিয়াল মাদ্রিদ
সার্জিও রামোস গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন। এই গল্প আপনি আগেও বহুবার শুনেছেন। গত কয়েকদিনে শুনেছেন আরও বেশি। রামোস আর গোলের গল্প চলছেই। আরও একবার রামোসের পেনাল্টি গোলে ম্যাচ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জুনে লা লিগা ফেরার পর ৭ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতে বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে রিয়াল। বার্সেলোনার হাতে আছে এক ম্যাচ বেশি, রিয়ালের হাতে আছে ৪ ম্যাচ। নাটকীয় কিছু না ঘটলে তাই লা লিগার শিরোপা এবার যাচ্ছে মাদ্রিদেই।
মাত্র আড়াই দিন আগেও গেটাফের বিপক্ষে রামোসের গোলেই ম্যাচ জিতেছিল রিয়াল। সেদিন রিয়াল পেনাল্টি পেয়েছিল ৭৯ মিনিটে। সান মেমেসে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষেও ম্যাচের চিত্রপট ছিল প্রায় একই। গোলের জন্য এদিন অবশ্য রিয়ালকে আরেকটু কম অপেক্ষা করতে হয়েছে। বক্সের ভেতর থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ঘুরে বল ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন বিলবাওয়ের ড্যানি গার্সিয়া। কিন্তু ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃতভাবেই হোক, এক পায়ে বল পেলেও তার আরেক পা আগেই গিয়ে পড়েছিল মার্সেলোর পায়ের ওপর। রেফারি অবশ্য শুরুতে খেয়াল করেননি। পরে ভিএআরের পরামর্শে মাঠের বাইরে হাইলটাইস দেখে সিদ্ধান্ত বদলেছেন। ৭৩ মিনিটে রামোস আরও একবার নিচু শটেই সফল হয়েছেন।
স্থগিত হওয়ার পর লা লিগায় ৭ ম্যাচে রামোসের গোল ৫, আর মৌসুমে লিগে রিয়াল অধিনায়ক ছুঁয়েছেন ১০ গোলের মাইলফলক। ১৯৯৩/৯৪ মৌসুমে ফার্নান্দো হিয়েরোর পর দ্বিতীয় ডিফেন্ডার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন রামোস।
ডেডলক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হলেও রিয়ালকে তেমন একটা ভুগতে হয়নি পুরো ম্যাচে। বিলবাওয়ের মাঠে অবশ্য ম্যাচটা প্রাণবন্তই হয়েছে। দুই দলই প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। এর ভেতর অনুমিতভাবেই রিয়ালই আক্রমণে ধারালো ছিল বেশি। তবে ইনাকি উইলিয়ামস, রাউল গার্সিয়ারা নিখুঁত হলে রিয়ালকে বিপদেও ফেলে দিতে পারত বিলবাও।
এডেন হ্যাজার্ডকে এই ম্যাচেও বসিয়ে রেখে একাদশ সাজিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। টনি ক্রুসও মাঠে নেমেছেন পরে। আগের ম্যাচে মাথায় আঘাত পাওয়া রাফায়েল ভারানের জায়গা এসেছিলেন এডার মিলিতাও। বিলবাওকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে না দেওয়ার পেছনে বড় অবদান আছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের।
করিম বেনজেমার আক্রমণের সঙ্গী ছিলেন মার্কো আসেনসিও আর রদ্রিগো। আসেনসিওই ছিলেন রিয়ালের আক্রমণের মূল প্রাণ। ম্যাচের একেবারে শুরুতে ফ্রি-কিক থেকে বিলবাও গোলরক্ষককে ভালো সেভে বাধ্য করেছিলেন। এরপর বাম প্রান্ত দিয়ে তার অন্তত দুইটি ক্রস থেকে দুই দফায় গোল পেতে পারতেন রদ্রিগো আর বেনজেমা। প্রথমার্ধটা তাই গোলশূন্যভাবেই কাটাতে হয়েছে রিয়ালকে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়লেও অবশ্য গোল পাচ্ছিলেন না বেনজেমারা। রক্ষণের কাজ ঠিকঠাক করেও পরে ড্যানি গার্সিয়ার ভুল খালি হাত ফিরতে হয়েছে বিলবাওকেও। অবশ্য অন্যপ্রান্তে পেনাল্টি পাওয়ার পর রামোস নিজেও ড্যানি গার্সিয়ার মতো ভুল করে বসেছিলেন। বক্সের ভেতর পায়ে পাড়া দিয়ে বসেছিলেন রাউল গার্সিয়ার। তবে বল তখনও ছিল ডান প্রান্তে। তাই সে বিলবাও আর পেনাল্টি পায়নি তখন। টানা তৃতীয় ম্যাচে ১-০ স্কোরলাইনে জিতে আরও একটি ক্লিনশিট যোগ হয়েছে থিবো কোর্তোয়ারও।
বাকি ৪ ম্যাচে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আলাভেস, গ্রানাডা, ভিয়ারিয়াল ও লেগানেস। 'কঠিন পরীক্ষা' শেষে এখন সহজ পরীক্ষা অপেক্ষা করতে রিয়ালের জন্য।