• সিরি আ
  • " />

     

    রোনালদোর জোড়া গোলে লাৎসিওকে হারিয়ে শিরোপার পথে জুভেন্টাস

    রোনালদোর জোড়া গোলে লাৎসিওকে হারিয়ে শিরোপার পথে জুভেন্টাস    

    ফুলটাইম
    জুভেন্টাস ২-১ লাৎসিও


    মৌসুমের লম্বা একটা সময় জুভেন্টাসকে শীর্ষস্থানে তাড়া করেছে লাৎসিও। কিন্তু জুনে আবার লিগ ফেরার পর খেই হারিয়ে জুভেন্টাসের সঙ্গে দূরত্ব কেবল বেড়েছে তাদের। জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচে সেই দূরত্ব কমানোর একটা সুযোগ ছিল। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তাদের উলটো ঠেলে দিয়েছেন যোজন যোজন দূরে। জোড়া গোলে একগাদা রেকর্ড গড়েছেন পর্তুগিজ। আর জুভেন্টাস ৪ ম্যাচ বাকি থাকতে শীর্ষস্থানে লিড নিয়েছে ৮ পয়েন্টের। টানা নবমবারের মতো সিরি আর শিরোপা ছোঁয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার জুভেন্টাসের জন্য।


    অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দুই দলই বারপোস্টে বল লাগিয়েছিল। একবার অ্যালেক্স সান্দ্রোর হেড লাগে বারপোস্টে, আরেকবার চিরো ইম্মোবিলের বক্সের বাইরে থেকে করা শটও গোলে পরিণত হয়নি একই কারণে। ম্যাড়মেড়ে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন রোনালদো। তবে তখন তার চেষ্টা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লাৎসিওর লাজ্জারি।

    লাৎসিও অবশ্য এরপর আর রোনালদোকে আটকাতে পারেনি। ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রোনালদোর নেওয়া শট লাগে বাস্তোসের হাতে। রেফারি অবশ্য শুরুরতে ফ্রি-কিক দিয়েছিলেন। পরে হাইলাইটস দেখে নিশ্চিত হয়েছিলে পেনাল্টি বক্সের ভেতরই হয়েছে হ্যান্ডবল। আরও একবার নিচু শটে পেনাল্টি থেকে সফল হয়ে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রোনালদো।

    সিরি আতে গোলের হাফসেঞ্চুরিও পূরণ হয়ে যায় তখন রোনালদোর। সিরি আর ইতিহাসে পঞ্চাশ গোল করতে সবচেয়ে কম ম্যাচও (৬১) খেলেছেন তিনি। রেকর্ডবুক অবশ্য সেখানেই ভাঁজ করতে দেননি রোনালদো। মিনিট তিনেক পরে আরেক গোল করে সে দফায় ছাড়িয়ে যান চিরো ইম্মোবিলেকেও। সঙ্গে অনন্য আরেকটি মাইলফলকও যোগ হয়েছে পর্তুগিজের ক্যারিয়ারে। যেখানে তার সঙ্গী সাথী নাই কেউ। সিরি আ, প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগায় এক মৌসুমে অন্তত ৩০ গোল করা একমাত্র খেলোয়াড়ও এখন রোনালদো।

    রোনালদোর দ্বিতীয় গোলে পাউলো দিবালার বড় অবদান। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পুরো ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত। জুভেন্টাসের গোলের সুযোগগুলোর প্রায় সব তিনিই তৈরি করছিলেন। রোনালদোর দ্বিতীয় গোলটাও তার দেওয়া উপহার। মিডফিল্ড থেকে বল কেড়ে নিয়ে একেবারে গোলের সামনে গিয়ে ফাঁকায় থাকা রোনালদোকে পাস দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রোনালদো আরেক টোকায় কাজটা সেরেছেন। রোনালদো হ্যাটট্রিক পূরণ করতে পারেননি নিজের দোষেই। একবার হেডে সরাসরি বল মেরেছেন গোলরক্ষকের হাতে, আরেকবার প্রায় একই জায়গা থেকে একই কায়দায় রোনালদোর হেড লাগে বারপোস্টে।

    আগের তিন ম্যাচে খাবি খেলেও জুভেন্টাস আর লাৎসিওকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিচ্ছিল না তেমন। তবে শেষদিকে আরও একবার কাজটা কঠিন করে ফেলে জুভেন্টাস। লিওনার্দো বনুচ্চি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ইম্মোবিলেকে। পেনাল্টি থেকে গোল তিনিও মৌসুমে ৩০ গোলে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। পেনাল্টি ঠেকাতে না পারলেও  এরপর মিলিঙ্কোভিচ সাভিচের দারুণ এক ফ্রি-কিকও ঠেকিয়ে জুভেন্টাসকে আর পথ হারাতে দেননি ভোজায়িক সেজনি।