• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    মারা গেলেন সাবেক বাংলাদেশ উইমেনস হেড কোচ ও ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার ডেভিড ক্যাপেল

    মারা গেলেন সাবেক বাংলাদেশ উইমেনস হেড কোচ ও ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার ডেভিড ক্যাপেল    

    মারা গেছেন বাংলাদেশ উইমেনস দলের সাবেক হেড কোচ, সাবেক ইংল্যান্ড ও নর্দাম্পটনশায়ার অলরাউন্ডার ডেভিড ক্যাপেল। দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগে বুধবার নিজ বাসায় মারা গেছেন তিনি ৫৭ বছর বয়সে। 

    ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সালের মাঝে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫টি টেস্ট ও ২৩টি ওয়ানডে খেলেছিলেন ক্যাপেল। ইয়ান বোথামের সঙ্গে তুলনা করা আরেকজন অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি সে সময়। পরিসংখ্যানে বোথামের ধারেকাছে যেতে না পারলেও তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিল ঘটনাবহুল। 

    হেডিংলিতে অভিষেক টেস্টে ৩১ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর নেমে ফিফটি করেছিলেন তিনি ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামদের সামলে। ৭৭ বছর পর নর্দাম্পটনশায়ার কাউন্টির একজন হয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন ক্যাপেল। 

    অভিষেকের পাঁচ মাস পর করাচিতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ৯৮ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো ঐতিহাসিক টেস্টে খেলেছেন, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ের সময় অপরাজিত ছিলেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সময় নষ্ট করার কৌশল আর বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল সেবার ইংল্যান্ডের জয়ের আশা। 

    টেস্টে ব্যাটিংয়ে ১৫ আর বোলিংয়ে ৫০ গড় নিয়েই থেমেছিলেন তিনি। তবে ২১ উইকেটের মাঝে ৩ বার তিনি আউট করেছিলেন ভিভ রিচার্ডসকে। 

    ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারটা সাদামাটা হলেও নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে সেটি ছিল বর্ণিল। ৩১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৯.৬৮ গড়ে ১২২০২ রান ও ৩২.১৮ গড়ে ৫৪৬ উইকেট, সঙ্গে ৩৪৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৭০১১ রান ও ২৮১টি উইকেট আছে তার। 
     


    বাংলাদেশের হয়ে নিজের শেষ সফরের আগে ডেভিড ক্যাপেল (সামনের সারিতে বাঁ থেকে চতুর্থ)


    ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রথম শ্রেণি খেলেছেন তিনি, লিস্ট ‘এ’ খেলেছেন ২০০২ সাল পর্যন্ত। আজীবন নর্দাম্পটনশায়ারের একজন হয়ে থাকা ক্যাপেল তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

    ১৯৯৯ সালেই নিজ কাউন্টির ডিরেক্টর অফ এক্সিলেন্স পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্লাবের একাডেমির কোচ হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে কেপলার ওয়েসেলসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নিয়েছিলেন হেড কোচের দায়িত্ব। ২০০৯ সালে স্বল্প ব্যবধানে নর্দান্টসদের ডিভিশন ওয়ানে তুলতে পারেননি। 

    জর্জ থম্পসন, ডেনিস ব্রুকস, বিষান বেদি, অ্যালান ল্যাম্ব, মুশতাক মোহাম্মদদের সঙ্গে কয়েক মাস আগে তাদের হল অফ ফেমে যুক্ত করা হয়েছিল ক্যাপেলকে। 

    ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর ধরে নর্দাম্পটনশায়ারের সঙ্গে ক্রিকেটার, কোচ-- কোনও না কোনোভাবে যুক্ত থাকার পর ইংল্যান্ড উইমেনস দলের সহকারি কোচ ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ উইমেনস-এর। 

    ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শেষ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এরপর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি তার সঙ্গে, তবে সে সফরের ঠিক পরপরই হওয়া এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। 

    সে বছরেরই অক্টোবরে মস্তিস্কে টিউমার ধরা পড়েছিল ক্যাপেলের, যা অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল পরে। 

    ক্যাপেলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে নর্দাম্পটনশায়ার, ইসিবি, আইসিসি ও বিসিবি।