শেষ মুহুর্তের গোলে জার্মানিকে জিততে দিল না স্পেন
ফুলটাইম
লিগ এ গ্রুপ ৪
জার্মানি ১-১ স্পেন
জার্মানির জয়টা নাটকীয়ভাবেই ছিনিয়ে নিল স্পেন। ম্যাচের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে হোসে গায়া গোল করে নেশনস লিগের প্রথম ম্যাচে দলের হার এড়াতে সাহায্য করেছেন। প্রায় ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে দুই দলের প্রথম ম্যাচটা তাই শেষ পর্যন্ত ড্র হলেও রোমাঞ্চই ছড়িয়েছে।
স্টুটগার্টে টিমো ভার্নারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। এর আগে প্রথমার্ধে ডেভিড ডি গিয়া অন্তত তিনটি ভালো সেভ আটকে রেখেছিলেন জার্মানদের। পরে ম্যাচ অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন ডি গিয়া। এর ভেতর লিরয় সানের রকেট গতির শটে ডি গিয়ার সেভ ছিল দেখার মতো। অন্যপ্রান্তে জার্মান গোলরক্ষক কেভিন ট্র্যাপও অবশ্য একেবারে মন্দ করেননি। জার্মানির দেওয়া উপহার থেকে গোলের সামনে চলে গিয়েছিলেন রদ্রিগো। কিন্তু তিনি গোলে শট করার আগেই দ্বিতীয় চেষ্টায় বল ছিনিয়ে নিয়েছেন ট্র্যাপ। এরও আগে দ্রুত গোলে শট না করে আরেকবার সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন রদ্রিগো।
জার্মানি খেলেছে কিছুটা ব্যতিক্রম ধারায়। থ্রি ম্যান ব্যাকলাইনে রুডিগার আর সুলের সঙ্গে ছিলেন চান। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী বায়ার্ন মিউনিখের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবশ্য এই জার্মান দলে ছিলেন না। পিএসজির হয়ে ফাইনাল খেলে হুলিয়ান ড্রাক্সলার অবশ্য খেলেছেন পুরো ম্যাচই।
প্রথমার্ধে কিছুটা অগোছালোই ছিল দুইদলের খেলা। বেশ কয়েকবার বল পজেশন হারিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল দুই দলের খেলোয়াড়রাই। আলভারো মোরাতা, ডিয়েগো কস্তার অনুপস্থিতিতে হেসুস নাভাস, ফেরান তোরেসের সঙ্গে মূল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় ছিলেন রদ্রিগো।
গোলশুন্য প্রথমার্ধের পর ডেডলক ভাঙতে আর মিনিট পাঁচেক সময় নিয়েছিলেন ভার্নার। মিডফিল্ড থেকে দ্রুত প্রান্ত বদলের পর বাম দিকে বল পেয়েছিলেন রবিন গোসেনস। তার কাটব্যাক থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে ভার্নার এরপর রামোসদের কাটিয়ে নিচু শটে করেছেন গোল। এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য জার্মানি অন্তত দুইবার ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত। একবার সানেকে সময়মতো ট্যাকেল করে থিয়াগো আলকান্তারা বাঁচিয়েছেন স্পেনকে। আরেকবার সানের ক্রস থেকে ভার্নার বল মেরেছেন সাইডনেটে।
লুইস এনরিকে দ্বিতীয় দফায় স্পেনের কোচ হওয়ার পর জার্মানির বিপক্ষে প্রথমবার ছিলেন ডাগআউটে। দ্বিতীয়ার্ধেই ১৭ বছর বয়সী আনসু ফাতির অভিষেক করিয়ে দেন সাবেক বার্সেলোনা কোচ। ম্যান সিটির নতুন খেলোয়াড় ফেরান তোরেস এরপর প্রান্ত বদল করে ফেলেন। ফাতি, তোরেস দুইজনই আলো কেড়েছেন। ফাতির প্রথম ম্যাচ আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত ৯০ মিনিটে তার গোলটি বাতিল না হলে। ফাতিহ হেডে বল জড়িয়েছিলেন জালে, তবে সার্জিও রামোস তার আগেই ফাউল করে বসেছিলেন ম্যাথিয়াস গিন্টারকে। যদিও রেফারির সিদ্ধান্তটা বেশ দুর্বলই ছিল।
স্পেনের আফসোস শেষে কমেছে গায়ার গোলে। রদ্রিগোর হেড থেকে গোলের সামনে বল পেয়েছিলেন গায়া। এরপর স্পেনের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল পেতে আর সমস্যা হয়নি তার। ম্যাচের শেষ কিকেই নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
একাদশ
জার্মানি
ট্র্যাপ, চান, সুলে, রুডিগার, কেহরের, গুন্দোয়ান, ক্রুস, গোসেনস, ড্রাক্সলার, সানে, ভার্নার
স্পেন
ডি গিয়া, কারভাহাল, রামোস, পাও তোরেস, গায়া, থিয়াগো, বুসকেটস, ফাবিয়ান, নাভাস, রদ্রিগো, ফেরান তোরেস
পরবর্তী ম্যাচ
৭ তারিখ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইউক্রেনের মুখোমুখি হবে স্পেন। একই দিনে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে জার্মানি। গ্রুপের অন্য ম্যাচে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর ইউক্রেন ২-১ গোলে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ডকে।