• সিরি আ
  • " />

     

    টট্টির গলা শুনে কোমা থেকে ফেরার পর ভক্ত পেলেন তার দেখাও

    টট্টির গলা শুনে কোমা থেকে ফেরার পর ভক্ত পেলেন তার দেখাও    

    রোমা কিংবদন্তী ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টির রেকর্ড করা ভিডিও কোমা থেকে ফিরতে সাহায্য করেছিল ইতালির এক তরুণীকে। কোমা থেকে ফেরার পর এবার তিনি পেলেন স্বয়ং টট্টির সাক্ষাৎও। তাকে দেখতেই হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন সাবেক ইতালি স্ট্রাইকার।

    ১৯ বছর বয়সী ইলেনিয়া মাতিলি রোমার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী লাৎসিওর হয়ে খেলতেন। গত ডিসেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এরপর ৯ মাস টানা কোমায় ছিলেন মাতিলি। ওই একই দুর্ঘটনায় সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও হারিয়েছেন মাতিলি। তার ফিরে আসাটাও ছিল তাই মিরাকল। মাতিলি কোমায় থাকা অবস্থায় তাকে একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে পাঠিয়েছিলেন টট্টি। তাতে টট্টি মাতিলিকে উদেশ্য করে বলেছিলেন, "হাল ছেড়ো না, আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি। আমরা জানি তুমি পারবে।"


    কোমায় থাকা অবস্থায় পরিবার ওই ভিডিও চালানোর পর মাতিলির সাড়া দিয়েছিলেন। ফিরে আসার প্রক্রিয়ায় টট্টির ভিডিও বর প্রভাবক হিসেবে কাজ করে ছিল বলেই মনে করে তার পরিবার।  পুরোপুরি সুস্থ্য হতে মাতিলির এখনও অনেকটা সময় প্রয়োজন। তবে তার আগেই টট্টি তার একান্ত ভক্তের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। জানিয়েছেন, তার ভিডিও কাজে দেবে জানলে আরও আগেই সেটি পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন তিনি।

    "এটা দারুণ মুহুর্ত ছিল। আমার জন্যও এটা একটা বিরাট ব্যাপার। আশা করি ওর জন্য এটা এর চেয়ে ভালো কিছু বয়ে আনবে। আমি খুবই আনন্দিত। ওর সঙ্গে দেখা করলাম, ও এখনও কথা বলতে পারছে না। তবে আমাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলেছে।"

    "আমি যদি জানতাম এই ভিডিও কাজে দেবে, তাহলে আরও আগেই পাঠিয়ে দিতাম! ও হাসপাতাল ছাড়ুক, ওর সঙ্গে আবার দেখা করব।" 

    মাতিলির পরিবার এই নয় মাসে বহুবার রোমার অ্যান্থেম বাজিয়েও তার চেতন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। লাৎসিওর হয়ে খেললেও মাতিলি রোমার পাঁড় সমর্থক। বিশ্বকাপজয়ী ইতালি কিংবদন্তীর সফরে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাতিলির পরিবার বাড়িতেও দাওয়াত দিতে রেখেছে তাকে। টট্টিও গ্রহণ করেছেন সেই নিমন্ত্রণ।

    "এই দিনটা আজীবন মনে থাকবে। টট্টির সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে আমি যেন আমার ভাইয়ের সঙ্গেই কথা আলাপ করছি।"- টট্টি হাসপাতাল ছাড়ার পর জানিয়েছেন মাতিলির বাবা।

    "ইলেনিয়ার এখনও পুরোপুরি সুস্থ্য হতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। ফ্রানসেস্কো আমাকে কথা দিয়েছে ইলেনিয়া আবার হাঁটা শুরু করলে আমাদের বাড়িতে রাতের খাবার খেতে আসবে।"- টট্টির আগমনে আনন্দিত মাতিলির মা।