• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ওয়ানডে আম্পায়ারিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়ছেন আলিম দার

    ওয়ানডে আম্পায়ারিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়ছেন আলিম দার    

    ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আম্পায়ার রুডি কোয়ার্টজেনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের আলিম দার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে দারের ২১০তম, কোয়ার্টজেনের রেকর্ড ছিল ২০৯ ম্যাচের। 

    ২০০০ সালে গুরজানওয়ালাতে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল দারের। ২০০৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ, এর আগে আম্পায়ারিং ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে ট্যাক্সি চালিয়েছিলেন, তার আম্পায়ারিংয়ের গল্পটা বেশ নাটকীয়ই। 

    ২০০৩ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তার। গত বছরের ডিসেম্বরে স্টিভ বাকনরের ১২৮ টেস্টকে ছাড়িয়ে এ ফরম্যাটেও সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৩৮৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেটিও যে কোনও আম্পায়ারের জন্য বেশি। 

    আম্পায়ারিংয়ে আসার আগে প্রায় এক দশক বিস্তৃত ক্যারিয়ারে প্রথম শ্রেণি খেলেছিলেন দার, তবে ৩০ বছর বয়সেই পেশাদার ক্রিকেট ছেড়ে এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে আসেন আম্পায়ারিংয়ে। 

    আরও পড়ুন-- কাকতাড়ুয়া, সাদা হ্যাট আর কয়েকটি স্বপ্নের গল্প

    সাইমন টফেলের সঙ্গে কয়েকবার আইসিসির সেরা আম্পায়ারিং টিমের পুরস্কার জেতার পর ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার হয়েছিলেন দার। 

    ওয়ানডে রেকর্ড গড়ার আগে তার ‘বস’ আইসিসির আম্পায়ার ও রেফারিদের ম্যানেজার আড্রিয়ান গ্রিফিথ প্রশংসা করেছেন দারের, “আলিম দার বেশ অনেক বছর ধরেই খুবই ধারাবাহিক একজন আম্পায়ার, এবং আইসিসির এলিট প্যানেলে তার ১৬ বছর ধরে থাকাতেই এটি ফুটে ওঠে। আমরা আলিমকে তার মাইলফলকের জন্য অভিনন্দন জানাই, এবং আসছে ম্যাচ ও সিরিজগুলিতে তার জন্য শুভকামনা। আমরা নিশ্চিত, উঠতি অনেক ম্যাচ অফিশিয়ালই আলিমকে অনুসরণ করে, এবং সে পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।” 

    আইসিসির দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মাইলফলকের আগে নিজের মনোভাব জানিয়েছেন দার, “টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই আম্পায়ারদের তালিকায় শীর্ষে ওঠা আমার জন্য সম্মানের। যখন এই পেশা শুরু করি, কখনোই ভাবিনি এতদূর আসব। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি মাঠে প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করেছি এবং শিখেছি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”

    “আমার পাশে থাকার জন্য আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই, এবং সুযোগ দেওয়ার জন্য আইসিসি এবং পিসিবির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার সব সতীর্থদের প্রতি তাদের সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।”